গ্রেপ্তার সোনিয়া আক্তার স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা মহিলা দলের সদস্য। সোনিয়া রাজবাড়ী শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করেন। গত ৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন বুধবার বিকেলে সোনিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে ১০ অক্টোবর রাজবাড়ীর এক নম্বর আমলি আদালতে সোনিয়া আক্তারের জামিনের আবেদন করা হয়। বিচারক কায়ছুন নাহার সুরমা জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ ছাড়া গ্রেপ্তারের দিনও জামিনের আবেদন করা হয়েছিল।
রাজবাড়ী সদর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সামসুল আরেফিন চৌধুরী ওই ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। মামলা হওয়ার প্রায় এক মাস আগে সোনিয়া আক্তার ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট সোনিয়া আক্তার তাঁর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বক্তব্যের সমালোচনা করে ‘আপত্তিকর’ কথা লেখেন। অনেকে পোস্টটি দেখায় প্রধানমন্ত্রীর সুনাম ক্ষুণ্ন ও মানহানি হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোনিয়া আক্তারকে কারাগারে পাঠানোর পর কয়েক দফায় তাঁর বাড়িতে যান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা। এ সময় জেলা কমিটি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা তাঁর পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিকে সোনিয়া আক্তারের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে রাজবাড়ী জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।