রাজনৈতিক এতিম

ড. আবদুল লতিফ মাসুম : বাংলাদেশের আসন্ন একক নির্বাচন নিয়ে রীতিমতো রাজনৈতিক এতিমদের প্রদর্শনী চলছে। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শুধু সাংবিধানিকতার দোহাই দিয়ে যে নির্বাচনটি জোর করে হচ্ছে তা আসলে ক্ষমতাসীনদের গদি চিরস্থায়ী করার আগেকার প্রয়াসগুলোর মতোই অনভিপ্রেত। আমরা যদি রাজনৈতিক পরিসংখ্যানে বিশ^াস করি তাহলে দেখব- গরিষ্ঠ মানুষকে বাইরে রেখে অথবা তাদের মতামতের কোনো তোয়াক্কা না করেই একপেশে ব্যবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, প্রধান ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামী ও সাম্প্রতিক জনপ্রিয় ইসলামী আন্দোলনকে কলে-কৌশলে বাইরে রেখে যে নির্বাচনটি হচ্ছে তা অবশ্যই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারকে প্রতারিত করার ষড়যন্ত্রের নামান্তর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নানা নামে ও নানা ধামে এই নির্বাচন উপহাস করছেন। কেউ বলছেন সার্কাস, আবার কেউ বা বলছেন প্রীতিম্যাচ অথবা তামাশা- সবই জুতসই শব্দ। কিন্তু নির্বাচনের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা একে নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক এতিমদের প্রদর্শনী বলে অভিহিত করতে পারেন। সরকারি দল আওয়ামী লীগের একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন মোকাবেলা করার মুরোদ নেই। বিএনপি নির্বাচন করলে সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি নিশ্চিত। সুতরাং এই দলকে কোনোক্রমে, কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া যাবে না। সুতরাং তাদের মধ্যে বিএনপি মোকাবেলায় একটি অসহায়ত্ব লক্ষ করা যায়- যা এতিমের লক্ষণ। এখন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ক্রমহ্রাসমান জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনে আনা হয়েছে। জাতীয় পার্টির আবদার- তাদের আসনে আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।

তারা জানে, অপর কোনো বৃহৎ দলের ঘাড়ে সওয়ার হওয়া ব্যতীত তাদের উতরানোর সম্ভাবনা নেই। তারা কখনো গোস্যা, কখনো জেদ আবার কখনো বা তোষামোদ-খোশামোদ করে তাদের রাজনৈতিক এতিম অবস্থা প্রকাশ করছে। প্রেসিডেন্ট এরশাদের ইন্তেকালের পর আসলেই এ দলটি এতিম হয়ে গেছে। এতিমের সম্পদ নিয়ে যেমন লুটপাটের প্রতিযোগিতা চলে, ঠিক তদ্রƒপভাবে জাতীয় পার্টির দুই-তিন গ্রুপ উত্তরাধিকারের নগ্ন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ। সরকারি দলের মহাজোটের মহা এতিম নেতারা আকুলি-বিকুলি করছেন সরকারি কৃপার জন্য। বিশাল বামপন্থী নেতা রাশেদ খান মেনন রাজনৈতিক এতিমের মতো নৌকায় চড়ে বসতে চেয়েছেন। ১৪ দলের জন্য মাত্র ছয়টি আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন পারসেন্টেজ করলে সেই ইনুর আধা-সিকির সন্ধান করতে হবে। এর আগের নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের বিপরীতে নির্বাচন করলে বিদ্রোহী খেতাবে ভূষিত করা হতো। বহিষ্কার করা হতো। প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে এখন এতই এতিম দশা যে, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহকে উৎসাহিত করছে। ডামি প্রার্থী দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রমাণ করতে চাইছে। এর চেয়ে রাজনৈতিক এতিম দশা আর কী হতে পারে।

প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে লোভ-লালসা ও ভীতি প্রদর্শন করে ব্যর্থ হয় শাসকদল। যাদের নাম ঘোষণা করে বাগাতে চেয়েছিল তারাও অবশেষে ক্ষমতাসীন দলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। এখন পর্যন্ত বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কেউই মীর জাফরের খাতায় নাম লেখায়নি। যদিও ২০ দলীয় জোটের একজন বড় রাজনীতিবিদ বড় ধরনের ডিগবাজি খেয়েছেন, তাতে তার আখের খোয়া গেছে, বিএনপি মিত্রদের তেমন ক্ষতি হয়নি। আরেকজন মধ্যম সারির বিএনপি নেতা প্রায়ই বড় বড় লম্ফঝম্ফ দিতেন। নেতাকর্মীরা তাকে বলতেন, বাহবা বাহবা বেশ। অবশেষে তিনি নিজেকে জয়বাংলার লোক বলে পরিচয় দিয়ে আসল চেহারায় ফিরে গেছেন। সরকারি দলের জাল অনেক বিস্তৃত ছিল। কিন্তু নেতাদের ব্যক্তিত্ব ও সংহতিকে ধন্যবাদ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে সরকারি দল সরাসরি জেল থেকে নিয়ে নমিনেশন দিয়ে তাদের রাজনৈতিক এতিম দশা প্রমাণ করেছে। আর বড় নেতা এখন নৌকার নিশ্চয়তা না পেলেও অর্থের নিশ্চয়তা পেয়েছেন বলে রাজনৈতিক গুজব রটেছে।

সবচেয়ে মজার ঘটনা ঘটেছে কিংস পার্টি হিসেবে কথিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, তৃণমূল বিএনপি, কল্যাণ পার্টি ও সুপ্রিম পার্টি প্রমুখ কাগুজে দলের ব্যাপারে। সরকারি দল যখন দেখেছে বিএনপিকে নির্বাচনে আনা যাবে না, তখন তারা বিএনপির অপভ্রংশ দিয়ে খায়েশ মেটাতে চেয়েছে। তাদের আসন, অর্থ ও ক্ষমতার লোভ দেখানো হয়েছে। তারা খলের আশ্বাসবাক্য বিশ্বাস করেছে। এখন বিএনএমএর চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে- এমন আশ্বাসে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। এরপর যদি দেখি নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না, ভোটের পরিবেশ নেই, তাহলে বিএনএম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই নেতাকে আওয়ামী লীগ পূর্বপ্রতিশ্রুতি মোতাবেক আসন তো দেয়ই নি; বরং এখন বৈরী আচরণ করছে। আরেকজন নেতা তৈমূর আলম খন্দকার, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচন করছেন। তাকেও মুলো দেখানো হয়েছে। এ নেতারা এখন মুলোর পরিবর্তে লাঠি দেখবেন। রাজনৈতিক এতিমদের পরিণতি এরকমই হয়ে থাকে।

দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ইসলাম এই দেশে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হয়েছে বারবার। যারা প্রকৃত আলেম ওলামা ও পীর মাশায়েখ তারা কখনোই রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি হিসেবে নিজেদেরকে ব্যবহার করেননি। কিন্তু এক ধরনের সুবিধাবাদী আলেমশ্রেণী যারা এই মানচিত্রে সবসময়ই সরকারি দলের আনুকূল্য খুঁজেছে, তারা এবারো তাদের কালো চেহারা দেখিয়েছে। বর্তমানে ২৯টি দল নিবন্ধিত আছে। এর মধ্যে ১১টি ইসলামী বা ইসলামী ভাবধারাপুষ্ট দল। আওয়ামী লীগের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নানা কথার মারপ্যাঁচে সাতটি দল ভোটের মাঠে আছে। দলগুলো হলো- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন বটগাছ প্রতীকে; ইসলামী ঐক্যজোট মিনার প্রতীকে; বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মোমবাতি প্রতীকে; ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ চেয়ার প্রতীকে; জাকের পার্টি গোলাপ ফুল প্রতীকে; বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন ফুলের মালা প্রতীকে ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি একতারা প্রতীকে। এ দলগুলোতে নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের সমীকরণ ঘটেছে। বিভক্তি এসেছে। ভালো মানুষেরা ভালো কিছু করতে চেয়েছে। মন্দ লোকেরা মন্দকাজ করেছে। মূলত সরকার নানা ধরনের কারসাজি করে এদেরকে নির্বাচনে এনেছে। কাউকে কাউকে আসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে সুপ্রিম পার্টির প্রধান আরেকজন মাইজভাণ্ডারীর কথা বলা যায়। তিনি এখন প্রকাশ্যে বলছেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা হয়েছে। অন্যান্য দলও ক্ষমতাসীনদের সাথে আসন সমঝোতা করতে চেয়েছে।

২৩ ও ৩০ নভেম্বর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেন ১৪ ইসলামী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৫ নেতা। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ সার্বিক-বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা চেয়েছিলেন। ফলাফল শূন্য। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, আওয়ামী লীগ যখন যেমন তখন তেমন আচরণ করতে অভ্যস্ত। কাজে না লাগলে মরা ইঁদুরের মতো তারা ছুড়ে ফেলে দেয়। একটি উজ্জ্বল উদাহরণ দেয়া যায়। যখন প্রয়োজন ছিল তখন ১৪ দলের নেতারা আওয়ামী লীগে আদরণীয় ছিলেন। এখন যখন ফুরিয়েছে তাদের প্রয়োজন তখন ওবায়দুল কাদেররা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করছেন। গতবারের চেয়ে তাদের আসন কমিয়ে এবার তিনটি দলকে মাত্র ছয়টি আসন দেয়া হয়েছে। আসন বাড়ানোর জন্য তাদের কান্নাকাটিতে কান দেননি শাসকদলের কর্তাব্যক্তিরা।

আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে যে ব্যবস্থাটিকে সবচেয়ে বিপর্যস্ত করেছে, তা হচ্ছে নির্বাচনব্যবস্থা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে যেভাবে ভোটারবিহীন নির্বাচন হয়েছে, এখন নেতাকর্মীরা তাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। সমাগত ২০২৪ সালের নির্বাচনকে ঘিরে একই সমস্যা বিরাজ করছে। এটি হাসির কথা যে, আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা নেতা-মন্ত্রী ডামি প্রার্থীকেও ভয় পাচ্ছেন। খবর এসেছে, ১৫ মন্ত্রীর আসনে নিজ দলের শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এতে মন্ত্রীদের বুক ধড়ফড় শুরু হয়েছে। অন্যান্য আসনে একই অবস্থা। অবস্থাদৃষ্টে নির্বাচনের পরে ডামি ব্যবস্থা যদি বুমেরাং হয়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ভোটদানকারীর সংখ্যা বেশি দেখানোর যে কৌশল আওয়ামী লীগ করতে যাচ্ছে তা তাদের সর্বনাশের কারণ হতে পারে। লোকজন আওয়ামী লীগের ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ যে, প্রতিবাদের উপলক্ষ যদি হয় খড়কুটো তাহলেও তা আঁকড়ে ধরতে চায় মানুষ। এ ক্ষেত্রে খোলামাঠে গোল দেয়ার ভাগি জাতীয় পার্টি যদি রাজনৈতিক এতিমের মতো আওয়ামী লীগের কাছে ধরনা না ধরত, সেখানে প্রতিবাদের ছাপ পড়ত।

হাসির কথা, প্রত্যেক জাতীয় পার্টির প্রার্থীর প্রার্থনা তাদের আসনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীও থাকতে পারবে না। আহা কী আবদার! তবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঠে থাকবেন। আসন সমঝোতার মাধ্যমে কিভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী তুলে নিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী সব আসনে থাকছে। জাতীয় পার্টি নির্বাচন নিয়ে যে নাটকীয়তা দেখিয়েছে তা এর আদর্শিক দেউলিয়াত্বের প্রমাণ বহন করে। প্রথম দিকে গরম গরম অবশেষে নরম নরম কৌশল নিয়েও নানা ধরনের সমীকরণের হিসাব-নিকাশ রয়েছে। সবশেষের দৃশ্যে বিদ্রোহের যে আলামত লক্ষ করা গেছে তাও নাকি ঘটেছে নাটকীয়তার মধ্যে। দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের একটি অংশ ‘দালালি নয়, রাজপথ রাজপথ, নির্বাচন নয়, বর্জন বর্জন’সহ নানা স্লোগানে বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য কার্যালয় ঘিরে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা কার্যালয়ের ভেতরে জাপার চেয়ারম্যানের কক্ষে গিয়ে বসেন। রাজনীতিতে সক্রিয় বহুল কথিত এজেন্সি ভীতির মাধ্যমে জাপার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা প্রতিহত করে বলে গুজব রটেছে। সেখানেও ওই একই কথা। জাপা নেতারা যদি শক্তি প্রদর্শনকে উপেক্ষা করে সাহস দেখাতে পারতেন, তাহলে তারা হিরো হয়ে যেতেন। এখন তারা জিরো হয়ে গেলেন। একেই বলে রাজনৈতিক এতিম প্রদর্শনী।

বাংলাদেশের মানুষের দুর্ভাগ্য এই যে, বিগত ৫০ বছরেও আমাদের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানাদি অগ্রগতি লাভ করেনি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ভাষায়- রাজনৈতিক উন্নয়নের পরিবর্তে রাজনৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। এ জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী রাজনৈতিক নেতৃত্ব। রাজনৈতিক এলিটরা ক্ষমতা ও শুধু ক্ষমতার কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এত দিনে যে রাজনৈতিক সক্ষমতা অর্জিত হওয়ার কথা তা রাজনৈতিক এতিমদের ভূমিকায় অনিবার্যভাবেই তাদের অসহায়ত্ব প্রমাণ করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ স্বৈরাচার, গৃহপালিত বিরোধী দল ও নির্বাচন উপলক্ষে নানা রঙের নানা ঢঙের রাজনৈতিক দলগুলো যে রঙ্গমঞ্চের অবতারণা করেছে তা তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই রঙ্গমঞ্চে এই মুহূর্তে যে নাটকীয়তা ও ক্ষমতার নগ্ননৃত্য প্রদর্শিত হচ্ছে তা দেখে নাচের গান মনে পড়ছে-

সোহাগ চাঁদবদনি ধ্বনি নাচো তো দেখি
বালা নাচো তো দেখি বালা নাচো তো দেখি
নাচেন ভালো সুন্দরী আর বাঁধেন ভালো চুল
হেলিয়া দুলিয়া পরে নাগ কেশরের ফুল
বালা হেলিয়া দুলিয়া পরে নাগ কেশরের ফুল
বালা নাগ কেশরের ফুল
সোহাগ চাঁদবদনি ধ্বনি নাচো তো দেখি।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com