যেমন_হবে_হযরত_শাহজালাল_আন্তর্জাতিক_বিমানবন্দরের_তৃতীয়_টার্মিনাল

যেমন_হবে_হযরত_শাহজালাল_আন্তর্জাতিক_বিমানবন্দরের_তৃতীয়_টার্মিনাল

17 December 2019

Image may contain: outdoor

নান্দনিক আর অত্যাধুনিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত হতে যাচ্ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। আগামী ২৮ ডিসেম্বর নতুন এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাইকার অর্থায়নে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য এ টার্মিনালভবন হবে তিন তলাবিশিষ্ট। দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এ ভবন ও টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে চার বছর। এটি চালু হলে নতুন করে ১২ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে নতুন-পুরাতন টার্মিনাল মিলিয়ে মোট ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে বছরে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

দৃষ্টিনন্দন এ স্থাপনার নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন। তিনি এনওসিডি-জেভি জয়েন্ট ভেঞ্চার পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আওতাধীন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সিপিজি করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের (সিঙ্গাপুর) স্থপতি।

উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতোই অত্যাধুনিক সব নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হবে এ স্থাপনায়। থাকবে অত্যাধুনিক লাউঞ্জ, চেক ইন কাউন্টার, গমন ও আগমনী কাউন্টার, স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, দোকান, রেস্টুরেন্ট, শপিং মলসহ অন্যান্য সুবিধা। এটি চালু হলে বদলে যাবে দেশের প্রধান এ বিমানবন্দরের যাত্রী সেবার মান। এর মধ্য দিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দর নতুনভাবে বাংলাদেশকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবে।

স্বাধীনতার পর গত প্রায় অর্ধশত বছরে বাংলাদেশের অ্যাভিয়েশন শিল্পে তেমন কোনো বিনিয়োগ হয়নি। তাই এ শিল্পে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এ খাতে নতুন করে সরকারের বিশাল এ বিনিয়োগ অ্যাভিয়েশন খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) তথ্য মতে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে। যদিও প্রথম ধাপে চালু করা হবে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেল্ফ সার্ভিস চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেক ইন কাউন্টার থাকবে। এছাড়াও ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ থাকবে মোট ৬৬টি ডিপারচার বা গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে। আগমনীর ক্ষেত্রে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেক ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেক ইন অ্যারাইভাল কাউন্টার থাকবে। এর বাইরে টার্মিনালে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে।আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট স্থাপন করা হবে। এছাড়া অতিরিক্ত ওজনের ব্যাগেজের জন্য চারটি পৃথক বেল্ট স্থাপন করা হবে। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হবে। এতে ১০৪৪টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের সঙ্গে ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গ পথ ও উড়াল সেতু নির্মাণ করা হবে, যার মাধ্যমে মেট্রোরেল ও ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ ব্যবস্থা থাকবে। এতে থাকবে আন্তজার্তিক মানের অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। এছাড়া লাউঞ্জ, দোকান, রেস্টুরেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রেই আর্ন্তজাতিক মানের যাত্রীসেবার সুবিধা রাখা হবে।

সোর্স: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর