নাটোরের সিংড়ায় যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে রামদা ও লাঠিসোঁটা উঁচিয়ে মিছিল নিয়ে সিএনজি (অটোরিকশা) পরিবহন মালিক সমিতির অফিস ভাঙচুর ও দখল নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা ‘ধর ধর চাঁদাবাজ ধর, ধরে ধরে জবাই কর’ বলে স্লোগান দেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জনি হাসান লাবুর নেতৃত্বে মিছিলটি বের করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সিংড়া উপজেলা সিএনজি পরিবহন মালিক সমিতির সদস্যদের উন্নয়নের নামে ২০১৫ সাল থেকে প্রতিদিন অটোরিকশাপ্রতি ৪০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন সংগঠনটির সভাপতি সেলিম রেজা সেন্টু ও সাধারণ সম্পাদক রনজু মন্ডল। বৃহস্পতিবার অটোরিকশাপ্রতি ৪০ টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা নির্ধারণ করে দেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস। এ সময় তিনি সমিতিতে নতুন সহসভাপতি হিসেবে সামছুজোহা বাপ্পী ও যুগ্ম সম্পাদক পদে সিংড়া পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি জনি হাসান লাবুর নাম ঘোষণা করেন। সেই দায়িত্ব পেয়েই শুক্রবার মিছিল নিয়ে সমিতির কার্যালয় দখল করতে আসেন সামছুজোহা বাপ্পী ও জনি হাসান। এ সময় সমিতির সভাপতি সেলিম রেজা ও সাধারণ সম্পাদক রনজু মন্ডলের ভাতিজা শ্রমিক নেতা রনি মন্ডলের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে জনি হাসানের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী অস্ত্র নিয়ে সমিতির কার্যালয় ভাঙচুর করে চলে যায়।
হত্যার হুমকিও দিয়েছে।
চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, মালিক সমিতি অফিস থেকে কোনো চাঁদা উত্তোলন করা হয় না। প্রতিটি সিএনজি থেকে ২০ টাকা উত্তোলন করা হয়। এর মধ্যে ১০ টাকা শ্রমিক কল্যাণে ও ১০ টাকা চেইন মাস্টার পান। আমরা শুধু পরিচালনা করি।
সাধারণ সম্পাদক রনজু মন্ডল বলেন, জনি হাসানের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে মালিক সমিতি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও দখল নেওয়া হয়েছে। এতে আমি ও আমার সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
সিংড়া পৌর যুবলীগের সভাপতি জনি হাসান বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর প্রশাসন চাঁদা বন্ধ করতে পারেনি। তাই চাঁদা আদায় বন্ধ করতে অস্ত্রসহ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই মিছিল করা হয়েছে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে
পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মিছিলের বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।