27 April 2023
মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৯ মার্চ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির প্রশংসা করে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে এই অগ্রগতিকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন কংগ্রেসে রেজ্যুলেশন উত্থাপনকারি কংগ্রেসম্যান (রিপাবলিকান-সাউথ ক্যারলিনা) জো উইলসনকে অভিনন্দন জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিত্বকারি ১৬৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক যুক্ত বিবৃতি দিয়েছেন। ২৩ এপ্রিল রোববার প্রদত্ত এই বিবৃতিতে উত্থাপিত এই রেজ্যুলেশন পাশের জন্যে নিজ নিজ এলাকার কংগ্রেসম্যানের সাথে দেন-দরবারের জন্যে দেশপ্রেমিক প্রতিটি প্রবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, রেজ্যুলেশন উত্থাপণকারি কংগ্রেসম্যান উইলসন কংগ্রেসে পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রভাবশালী সদস্য এবং কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসেরও কো-চেয়ার। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীগণের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজ্ঞানী, গবেষক, অধ্যাপক, প্রকৌশলী, কবি, সাহিত্যিক, কলামিস্ট ছাড়াও রয়েছেন সিটি মেয়র, স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ, সিটি কাউন্সিলম্যান এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রবাসীরা নানাভাবে সহায়তা করছি, এবং আমরা সর্বান্তকরণে আশা করছি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমানের উন্নয়ন-অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ঃ নিউহ্যামশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ (রিপাবলিকান) আবুল খান, নিউহ্যামশায়ার মিলবোর্ন সিটি মেয়র (ডেমক্র্যাট) মাহাবুবুল আলম তৈয়ব, নিউজার্সি প্লেইন্সবরো সিটির কাউন্সিলম্যান ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুননবী, নিউহ্যামশায়ার মিলবোর্ন সিটির কাউন্সিলম্যান নুরুল হাসান, মিশিগান হ্যামট্রমিক সিটির কাউন্সিলম্যান আবু আহমেদ মুসা, পেনসিলভেনিয়ার ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, কলামিস্ট ও লেখক হাসান ফেরদৌস, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি বিজ্ঞানী ড. সুফিয়ান এ খন্দকার, বিজ্ঞানী ও লেখক ড. আশরাফ আহমেদ, বীর প্রতিক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব:) মঞ্জুর আহমেদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত লেখক জ্যোতি প্রকাশ দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক ড.মহসিন আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মনসুর, বীর মুক্তিযোদ্ধা খুরশিদ আনোয়ার বাবলু, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান, শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, সমাজ-চিন্তক ও লেখক বেলাল বেগ, মূলধারার রাজনীতিতে প্রবাসীদের পথিকৃত মোর্শেদ আলম, কবি ও শিক্ষক হাসান আল আব্দুল্লাহ, বস্টন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবু হাসনাত, বিজ্ঞানী বামন দাস বসু, চিকিৎসক ডা. ফারুক আজম, ইঞ্জিনিয়ার রানা হাসান মাহমুদ, ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের মিয়া, সিনিয়র সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার, মূলধারার রাজনীতিবিদ এম এ সালাম, ইন্টারন্যাশনাল সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ইকবাল ইউসুফ, ফ্লোরিডাস্থ বাই-ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক্সিকিটিভ ভাইস চেয়ার আতিকুর রহমান, ফ্লোরিডাস্থ পামবীচের বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেমক্র্যাটিক ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হাসান জাহাঙ্গির, ফ্লোরিডা ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডাইভার্সিটি এ্যান্ড ইনক্লুসন কমিটির ভাইস চেয়ার জুনায়েদ আকতার, বস্টন কমিউনিটি লিডার শাফেদা বসু, নিউইয়র্ক সিটি ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. মহসিন পাটোয়ারি, নর্থ ক্যারলিনার অধ্যাপক ড. এ বি এম নাসির, বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ড. হেমায়েত উল্লাহ, পেশাজীবী ড. মাহবুব প্রামাণিক, পেশাজীবী ড. প্রদীপ কর, লেখক পূরবী বসু, কবি মিশুক সেলিম, কবি খালেদ শরফুদ্দিন, কবি-কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস, কবি ফারহানা ইলিয়াস তুলি, কবি সৈয়দ মামুনুর রশীদ, কবি স্বপ্নিল ফিরোজ, কবি আবু সাঈদ রতন, নিউইয়র্ক কমিউনিটি লিডার লিটন আহমেদ, জর্জিয়া থেকে যথাক্রমে ব্যবসায়ী নেতা মাহবুবুর রহমান ভুঁইয়া, কম্যুনিটি লিডার মিন্টু রহমান, কম্যুনিটি লিডার নাদিরা রহমান, মিউজিশিয়ান গোলাম মহিউদ্দিন, কম্যুনিটি লিডার নজরুল ইসলাম, কম্যুনিটি লিডার ফারুক আহমেদ, কম্যুনিটি লিডার মহিন, কম্যুনিটি লিডার মোহাম্মদ মাওলা, কম্যুনিটি লিডার আবুল হাসান, কম্যুনিটি লিডার আহমাদুর পারভেজ, কম্যুনিটি লিডার আরেফিন বাবুল, কম্যুনিটি লিডার ড. মোহাম্মদ নাসিম, কম্যুনিটি লিডার ড. শাহাব সিদ্দিকী, কম্যুনিটি লিডার মাহমুদ আব্বাস, কম্যুনিটি লিডার মোহাম্মদ আকবর খান, কম্যুনিটি লিডার রেজা করিম, কম্যুনিটি লিডার সোস্যাল লিডার আলী হোসেন, কম্যুনিটি লিডার নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক রুমি কবির, কম্যুনিটি লিডার পিন্টু ইউসুফ, কম্যুনিটি লিডার নুরুল কবির নাহিদ, কম্যুনিটি লিডার মোজাম্মেল, ব্যবসায়ী মশিউর রহমান, ব্যবসায়ী রাসেল ভুঁইয়া, শিক্ষক আরেফিন পিয়াল, কম্যুনিটি লিডার মাহরুফুর ভুঁইয়া, কম্যুনিটি লিডার বোরহান উদ্দিন, ব্যবসায়ী রাশেদুল করিম ও কন্ঠশিল্পী বিন্দু হোসেন, নিউইয়র্ক থেকে যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বীর মুক্তিযোদ্ধাআবুল বাশার চুন্নু, সাংবাদিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদ আহমেদ, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত আলী, বিজ্ঞানী ড. আব্দুল বাতেন, কম্যুনিটি লিডার মোহাম্মদ আলী বাবুল, ব্যবাসায়ী জাকারিয়া চৌধুরী, সাংবাদিক ও মানবধিকার নেতা শীতাংশু গুহ, কম্যুনিটি লিডার অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, সাংবাদিক ও সম্পাদক কৌশিক আহমেদ, মূলধারার সংগঠক ড. দীলিপ নাথ, লেখক ফাহিম রেজা নূর, ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম বাদশা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লুৎফুন্নাহার লতা, শিক্ষক নিনি ওয়াহেদ, কম্যুনিটি লিডার রাফায়েত চৌধরী, কম্যুনিটি লিডার সিরাজ আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সউদ চৌধুরী, ব্যবসায়ী বেদারুল ইসলাম বাবলা, কম্যুনিটি লিডার শ্যামল চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার প্রাণবন্ধু চক্রবর্তী, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ফজলুল হক, কম্যুনিটি লিডার পরিমল কর্মকার, সাংস্কৃতিক সংগঠক ঝর্ণা চৌধুরী, ব্যবসায়ী সৈয়দ রশীদ আহমেদ কারমানি, রোকসানা কারমানি, ব্যবসায়ী ফারুক আহমেদ, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট দিলারা আহমেদ, আহমেদ তৌকিদ চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার সানিয়েট আহমেদ চৌধুরী, পিএইচডি স্টুডেন্ট তৌজিয়াত চৌধুরী, ব্যাবসায়ী আলিম খান আকাশ, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট স্বীকৃতি বড়ুয়া, ড. প্রতাপ দাস, কবি ইশতিয়াক রুপু, সাংস্কৃতিক সংগঠক গোপাল স্যান্নাল, ব্যবসায়ী মাহাবুবুর রহমান টুকু, সাংস্কৃতিক সংগঠক সবিতা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল বাশার ভুঁইয়া, পেশাজীবী শ্যারেভ আহমেদ ও পেশাজীবী রন্টুলাল দাস, ভার্জিনিয়া থেকে যথাক্রমে সাংবাদিক দস্তগীর জাহাঙ্গির, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন চৌধুরী, লেখক ও কবি সন্তোষ বড়ুয়া, নুপুর চৌধুরী, কন্ঠশিল্পী গীতিকার গৌরব গল্প ও নৃত্যশিল্পী নাসরিন আহমেদ মুন্না, আলাবামাস্থ অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেন, নিউজার্সি থেকে যথাক্রমে বিজ্ঞানী ড. জীনাত নবী, বিজ্ঞানী ড. মনোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী নাহিদ চৌধরী, কম্যুনিটি লিডার মীর চৌধুরী, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি গোলাম ফারুক ভুঁইয়া ও শিক্ষক ড. হাসান মামুন, আরিজোনা কম্যুনিটি লিডার মাহাবুব রেজা রহিম, ক্যানসাস ডেমক্র্যাট রেহান রেজা, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে যথাক্রমে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদুল মাহমুদ জামি, কম্যুনিটি লিডার মমিনুল হক বাচ্চু,, ব্যবসায়ী তৌফিক সুলেমান খান, কম্যুনিটি লিডার ব্যবসায়ী নজরুল আলম, অধ্যাপক ড. আবু নাসের রাজিব, ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তা মো. রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার তাসনিম সালাম আসলাম, চিকিৎসক ড. আনিসুল আসলাম, শেরিফ অফিসার মিজানুল কবির, কম্যুনিটি লিডার আবুল হাসনাত রায়হান, কম্যুনিটি লিডার আসাদুজ্জামান বাচ্চু,, কম্যুনিটি লিডার মাসুদ চৌধুরী, ও কম্যুনিটি লিডার মোহাম্মদ হোসেন রানা, মিশিগান থেকে যথাক্রমে ইঞ্জিনিয়ার আহাদ আহমেদ, কম্যুনিটি লিডার আলী আহমেদ ফারিশ, ব্যবসায়ী রুহুল আমিন, ব্যবসায়ী আব্দুল মুহিত মুক্তা, ব্যবসায়ী মহসিন উদ্দিন টিপু ও কম্যুনিটি লিডার মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন টিপু, ওয়াশিংটন ডিসিস্থ ক্যাথলিক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আদনান মোর্শেদ, এফডিএ সিনিয়র ম্যাথম্যাটিক্যাল স্ট্যাটিসটিক্স ড.আতিয়ার রহমান, ড. সাদেক চৌধুরী, কম্যুনিটি লিডার আলাউদ্দিন আহমেদ, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ড. জাহিদ চৌধুরী, হিউজ নেটওয়ার্কের সিইও নিজামউদ্দিন আহমেদ, পেনসিলভেনিয়ার ডিপার্টমেন্ট অব হস্পপিটালস চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফা, কম্যুনিটি এক্টিভিস্ট সালেহ আহমেদ, পেনসিলভেনিয়া কম্যুনিটি লিডার রবিউল করিম বেলাল, টেক্সাস কম্যুনিটি লিডার যথাক্রমে ড.আহসান চৌধুরী হিরো, হাসমত মবিন, শাহ হালিম ও স্বাপ্নিক খান, ডিসি কম্যুনিটি লিডার রেদোয়ান চৌধুরী।
উল্লেখ্য,রেজ্যুলেশনটি উত্থাপনের সময় কংগ্রেসম্যান জো উইলসন ৫১ বছর আগের পরিস্থিতি মনে করিয়ে দেন। এতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর তখন সবে পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন বাংলাদেশিরা। এরপর ১৯৭২ সালের ৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র সদ্যস্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দরিদ্র দেশ থেকে দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশের গত পাঁচ দশকের যাত্রা ছিল অভাবনীয়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বাংলাদেশিদের মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৭ ডলারে, যা এখন প্রতিবেশী অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ৯ বিলিয়ন ডলার। গত ৫ দশকে তা বেড়ে ৪৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গড় আয়ু ৪৭ বছর থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। শিক্ষার হারও ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এসব অর্জনকে অভাবনীয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্য উৎপাদন, দুর্যোগ সহনশীলতা, দারিদ্র্য কমিয়ে আনা, স্বাস্থ্য-শিক্ষা খাতের উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন খাতে নজরকাড়া অগ্রগতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে একটি উদারপন্থী মুসলিম সমাজ বিদ্যমান। উগ্রবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্জন প্রশংসনীয়। দেশটির জনগণ বরাবরই স্বৈরাচারী শাসন না মেনে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি সমর্থন বজায় রাখতে চেয়েছে বলেও এই বিলে উল্লেখ করা হয়েছে। রেজু্যৃলেশনে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) সবচেয়ে বড় উৎসও যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তাজনিত সহযোগিতার মাধ্যমে দেশটি মার্কিন অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করে রেজ্যুলেশনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে গণহত্যার মুখে থাকা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ। এ জন্য আমেরিকার জনগণের প্রশংসা কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। এই সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের মানবিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ নেতৃত্বের আসনে রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে মার্কিন জনগণের প্রশংসা পেয়েছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ-দুই দেশই মানুষের সঙ্গে মানুষের এবং সরকারের সঙ্গে সরকার পর্যায়ে উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময় করছে। এমনকি করোনা মহামারি মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে টিকা সহায়তা দেওয়ায় মার্কিন জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এসব পরিস্থিতি ও ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা ও স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে এই রেজ্যুলেশন উত্থাপন করা হয়েছে। বিলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে পারস্পরিক অর্থনৈতিক, সামাজিক ও জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের গঠনমূলক অংশীদার থাকার আন্তরিক দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।