ঢাকা
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। যারা সরকারি দল করে, তারাই শুধু ভালো আছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুজিবুল হক এ কথা বলেন।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত রাজধানীর বিজয়নগর থেকে পল্টন পর্যন্ত এই মানববন্ধন হয়। জাতীয় পার্টির বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড থেকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধনে যোগ দেন।
মুজিবুল হক বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশ এক কঠিন সময় অতিবাহিত করছে, যখন দেশে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ। বিশেষ করে করোনাকালে যারা কর্মহীন হয়ে পড়েছে, তাদের সবার কর্মসংস্থান হয়নি। দেশে বেকারের সংখ্যা অন্তত পাঁচ কোটি। এমন বাস্তবতায় যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তাতে মনে হয় দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই। সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না, মানুষের মনের ভাষা বোঝে না।
জাপার মহাসচিব বলেন, সাধারণ মানুষ প্রতিদিনের বাজার করতে পারছে না। অর্থের অভাবে প্রয়োজনীয় ওষুধ কিনতে পারছে না, চিকিৎসা নিতে পারছে না। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, যারা সরকারি দল করে, তারাই শুধু ভালো আছে। দেশে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি আর দলবাজি করে একটি শ্রেণি ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছে। আর দেশের বেশির ভাগ মানুষ দিনে দিনে আরও গরিব হচ্ছে। মানুষের আয় নেই কিন্তু ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ।
অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, ‘যদি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, যদি দুর্নীতি, দেশের টাকা পাচার বন্ধ না হয়, টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি বন্ধ না হয়, তাহলে জাতীয় পার্টি আর রাজপথ ছাড়বে না। আমরা গণমানুষের দাবি নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।’
১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তিন জোটের রূপরেখা অনুযায়ী রাষ্ট্রক্ষমতা হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে বাজারব্যবস্থা ভেঙে দিয়েছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এস এম ফয়সাল চিশতী, মীর আবদুস সবুর, সাইফুদ্দিন আহমেদ, শফিকুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার, এমরান হোসেন মিয়া প্রমুখ।