- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ মে ২০২২, ১৬:২৬, আপডেট: ১৬ মে ২০২২, ১৭:৫২
দল পৌঁছালো প্রায় রান পাহাড়ে। যার ব্যাটে এলো এত রান তার রইল আক্ষেপ। অল্পের জন্য পেলেন না ডাবল সেঞ্চুরি। ম্যাথুসকে আউট হতে হলো ১৯৯ রানে। তারপর চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভালো সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা। সবকটি উইকেট হারিয়ে দলটির সংগ্রহ ৩৯৭ রান।
প্রথম দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ২৫৮ রান। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমাল দ্বিতীয় দিনেও দারুণ শুরু করেন ব্যাট হাতে। এই জুটি ক্রমশ স্কোরকে সমৃদ্ধ করেন। চান্দিমাল পেয়ে যান ফিফটির দেখা। তিন শ’ ছাড়িয়ে যখন শ্রীলঙ্কার রান তখন বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন প্রথম দিনের মতো নাঈম ইসলাম। এক ওভারেই তিনি তুলে নেন দুই উইকেট।
দলীয় ৩১৯ রানের মাথায় বিদায় নেন চান্দিমাল। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল রিভার্স সুইপ করার চেষ্টায় ব্যাটে খেলতে পারেননি তিনি। এলবিডব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ভাঙে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সাথে তার ২৮৭ বল স্থায়ী ১৩৬ রানের জুটি। রিভিউ নিতে দেরি করেননি চান্দিমাল। কিন্তু বাঁচতে পারেননি। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ১৪৮ বলে ৬৬ রান করেন লঙ্কান এই মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান।
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে নাঈমকে সুইপ করে ৩ রান নেন নিরোশান ডিকভেলা। কিন্তু ১ বল পর ফিরে যান ওই রানেই। শরীরের খুব কাছের বল কাট করার চেষ্টায় সফল হননি। বল তার ব্যাট ফাঁকি দিয়ে ছোবল দেয় অফ স্টাম্পে। ডিকভেলার রান ৩।
লাঞ্চের পর ঝলসে ওঠেন সাকিব আল হাসান। এক ওভারে তিনিও তুলে নেন দুই উইকেট। রমেশ মেন্ডিসের স্টাম্প এলোমেলো করার পরের বলেই লাসিথ এম্বুলদেনিয়াকে এলবিডব্লিউ করে দেন তিনি। ১১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি জোরের উপর করেন সাকিব। নিচু হয়ে যাওয়া সোজা বল ব্যাটে খেলতে পারেননি রমেশ। বোল্ড হয়ে যান ১ রান করে। পরের বলটি হালকা ভেতরে ঢোকে বাঁহাতি এম্বুলদেনিয়ার জন্য। কিন্তু ব্যাটে বল লাগাতে পারেননি তিনি। জোরাল আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সাথে কথা বলে রিভিউ নেন ব্যাটসম্যান। ইমপ্যাক্ট ছিল আম্পায়ার্স কল, তাতে টিকে থাকে রিভিউ, তবে ফিরে যেতে হয় ব্যাটসম্যানকে। পরের ওভারে দেড়শতে পার রাখেন ম্যাথুস, ২৯৩ বলে। ক্যারিয়ারে লঙ্কান এই মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানের এটি চতুর্থ দেড় শ’ ছাড়ানো ইনিংস।
ম্যাথুসের সাথে এরপর সঙ্গ দিতে পারেননি ফার্নান্দো। রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে ফেরেন সাজঘরে ৮৪ বলে ১৭ রান করে। আসিথা ফার্নান্দোকে বোল্ড করেন নাঈম ইসলাম। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন অ্যাঞ্জেলে ম্যাথুস। ব্যক্তিগত ১৯৯ রানের মাথায় ম্যাথুসকে ফেরান সেই নাঈমই। ক্যাচ লুফে নেন সাকিব আল হাসান।
৩৯৭ বলের ইনিংসে ম্যাথুস হাঁকান ১৯টি চার ও একটি ছক্কা। টেস্ট ক্যারিয়ারে ম্যাথুসের ডাবল সেঞ্চুরি আছে একটি। সেটি ২০২০ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে, ২০০ নট আউট। বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট নেন মিরাজের বদলে দলে ঢুকা নাঈম ইসলাম। সাকিব তিনটি, তাইজুল নেন এক উইকেট।