মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে বাইডেনকে চিঠি ১০১ বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিকের

logo

অনলাইন ডেস্ক

(১১ ঘন্টা আগে) ১৯ জুন ২০২৩, সোমবার, ৯:৩৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

mzamin

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বরাবর চিঠি দিয়েছেন ১০১ জন বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক। শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে ভারত অনুরোধ করতে পারে চিঠিতে এমন ধারণা উদ্বৃত করে তারা লিখেছেন, ভারত এমন কোনো অনুরোধ করলে বাইডেন যেন তা প্রত্যাখ্যান করেন।

রোববার হোয়াইট হাউজের ঠিকানায় পাঠানো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ঐ চিঠির শিরোনাম ‘মি. প্রেসিডেন্ট;  অনুগ্রহ করে বাংলাদেশের  স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে সহযোগিতা করতে নরেন্দ্র মোদির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করুন’।

চিঠিতে বলা হয়-বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রতি বিপুল জনসমর্থন সৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে চীন কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রবলভাবে এগিয়ে এসেছে। আমেরিকার কঠোর সমালোচনা করে চীন ঘোষণা করেছে যে, তারা স্বৈরতান্ত্রিক সরকারকে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে  সাহায্য করতে এখনই প্রস্তুত। এছাড়া চীন বলছে ‘বাংলাদেশ তার নিজস্ব বাস্তবতায় পথ  ঠিক করবে’।

চীনের এই বক্তব্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্বৈরশাসককে ক্ষমতায় রাখার একটি ধূর্ত আবরণ।
চিঠিটিতে আরো বলা হয় ‘গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ভারতের বিশেষ প্রভাব ছিল। এই সময়ে চীন প্রভাব বিস্তার করেছে যা ভারত রোধ করতে পারেনি যা গণতন্ত্রের জন্য মোটেই ভালো ফল বয়ে আনেনি। পাশাপাশি ভারত বার্মার সামরিক জান্তাকেও সহযোগিতা করে যাচ্ছে। জান্তার নির্মম গণহত্যার শিকার হয়ে প্রায় দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

চিঠির শেষদিকে প্রেরকরা বলেন, মি. নরেন্দ্র মোদি যখন ওয়াশিংটন সফর করছেন; তখন ভারতের গণমাধ্যমগুলোতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে সুপারিশ করার ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। মি. মোদির এই অনুরোধ বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন যদি মোদির এই অনুরোধে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের উপর থেকে সৃষ্ট চাপ থেকে বিরত থাকেন; তাহলে তা পুরো ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের মানুষের কাছে একটি ভুল বার্তা দেবে।

সেই বার্তাটি হল যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সুরক্ষার ব্যাপারে আন্তরিক নয়; আর এই বার্তাটি চীনের অবস্থানকে প্রবলভাবে সমর্থন জানাবে।
 

চিঠিতে সাক্ষরকারীরা হলেন-
সেলিম রেজা, নিউইয়র্ক
রুহুল আমিন নাসির, নিউইয়র্ক
আব্দুল কালাম আজাদ, নিউইয়র্ক
মোকাররম চৌধুরী, নিউইয়র্ক
আশিক মাহমুদ, নিউইয়র্ক
আবদুর রহিম, পেনসিলভেনিয়া
রাইজ উদ্দিন, ক্যালিফোর্নিয়া
জাহিদুর রহমান, ওয়াশিংটন ডি.সি
আসাদুল্লাহ গালিব, নিউইয়র্ক
নাজিম উদ্দিন, নিউইয়র্ক
সোহেল মাহমুদ, নিউইয়র্ক
আবু জাফর, ক্যালিফোর্নিয়া
আব্দুল কাদের, নিউইয়র্ক
আরাফাত আহমেদ, নিউইয়র্ক
আলী হোসেন, নিউইয়র্ক
জাহিদুর রহমান, ডেলওয়্যার
মাহতাব খান, নিউইয়র্ক
মাহতাব আহমেদ, নিউইয়র্ক
আলী হোসেন, নিউইয়র্ক
আবদুর রব, মেরিল্যান্ড
ইমরান আনসারী, নিউইয়র্ক
জিয়াউল হক মিশন, নিউইয়র্ক
রেজাবুল কবির, নিউইয়র্ক
মোহাম্মদ হক, ম্যাসাচুসেটস
শামীম ইসলাম, নিউ জার্সি
আব্দুর রকিব, ক্যালিফোর্নিয়া
সোহরাব খান, ম্যাসাচুসেটস
তানভীর নেওয়াজ, ম্যাসাচুসেটস
মো. বদিউল আলম, নিউইয়র্ক
আমলুক হোসেন ফয়সাল, নিউইয়র্ক
মো. সোহরাব হোসেন, নিউইয়র্ক
মো. খলিলুর রহমান, নিউইয়র্ক
কামাল হোসেন হাওলাদার, নিউইয়র্ক
সাইদুর রহমান, নিউইয়র্ক
মোহা. নাসির উদ্দিন, নিউইয়র্ক
মো. সাইফুর রহমান, নিউইয়র্ক
মোহ. আলী হাসান, নিউইয়র্ক
জোহুরা বেগম, নিউইয়র্ক
জুমা আক্তার, নিউ ইয়র্ক
রিয়াজ মাহমুদ, নিউইয়র্ক
রুবেল গাজী, নিউইয়র্ক
মো. মহসিন, নিউইয়র্ক
তরিকুল ইসলাম প্রিন্স, নিউইয়র্ক
আলমগীর হোসেন মৃধা, নিউইয়র্ক
মোহা. হাসান, নিউইয়র্ক
মারুফ আহমেদ, নিউইয়র্ক
হাফিজুর রহমান চৌধুরী রবিন, নিউইয়র্ক
ওয়াহিদুজ্জামান রিয়াদ, নিউইয়র্ক
মাহবুব হোসেন, নিউইয়র্ক
মোহা. আলা উদ্দিন, নিউইয়র্ক
সুমন রহমান, নিউইয়র্ক
আকবর এ. আবেদিন, নিউইয়র্ক
মোহা. আল আমিন, নিউইয়র্ক
কামরুজ্জামান সামীম, নিউইয়র্ক
মহুয়া পারভিন, নিউইয়র্ক
খালেদ হোসেন, নিউইয়র্ক
আখতার উজ্জামান, নিউইয়র্ক
ইসরাত জাহান, নিউইয়র্ক
মোহা. আনোয়ার হোসেন, নিউইয়র্ক
আজিজুল হক, নিউইয়র্ক
মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরী, নিউইয়র্ক
জয়নাল আবেদিন, নিউইয়র্ক
মাইন উদ্দিন, নিউইয়র্ক
মিজানুর রহমান, নিউইয়র্ক
নুরুল করিম, নিউইয়র্ক
রহমত উল্লাহ, নিউইয়র্ক
রনি আহমেদ, নিউইয়র্ক
খান আল আমিন, টেক্সাস
আখতার আহমেদ, ওয়াশিংটন ডি.সি
শোয়েব আহমেদ, নিউ জার্সি
রোকন উদ্দিন, টেক্সাস
জাহিদ খান, ভার্জিনিয়া
কোরেশি আহমেদ, কানেকটিকাট
আবদুস সামাদ, নিউ জার্সি
মোহাম্মদ আজাদ, নিউ জার্সি
বোরহান আহমেদ, ওয়াশিংটন ডি.সি
নোমান তাহের, ভার্জিনিয়া
মনিরুল ইসলাম, নিউইয়র্ক
আলমগীর পাটোয়ারী, নিউইয়র্ক
আজিজ আহমেদ, নিউইয়র্ক
মোহাম্মদ সৈয়দ, নিউইয়র্ক
হালিমা হালিনা, নিউ ইয়র্ক
মাহমুদ হাসান, নিউইয়র্ক
এমদাদ হক, নিউইয়র্ক
ওসমান গনি, টেক্সাস
সামিরা খান, নিউইয়র্ক
ওয়াজেদ খান, নিউইয়র্ক
জহুরুল ইসলাম, ওয়াশিংটন ডি.সি
সাদিয়া জাহান, টেক্সাস
ফখরুল ইসলাম, জর্জিয়া
মিসবাহ হক, নিউইয়র্ক
তোফায়েল আহমেদ, নিউইয়র্ক
আক্তার ভূইয়া, নিউ ইয়র্ক
গোলাম ফারুক শাহিন, নিউইয়র্ক
কাজী মোবাশ্বের হাশেমী, নিউইয়র্ক
মো. শাহাবুদ্দিন, নিউইয়র্ক
মোহাম্মদ সোলায়মান, নিউইয়র্ক
মো. ইউসুফ, নিউইয়র্ক
সাবিনা ইয়াসমিন, পেনসিলভানিয়া
গোলাম কাদের, পেনসিলভানিয়া
সুলায়মান আলী, ডেলাওয়্যার