
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আক্রমণাত্মক বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। মোদির বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধভাবাপন্ন বক্তব্য তার (বিজেপি) সরকারের উগ্রপন্থী মানসিকতা উন্মোচন করেছে।
বুধবার পাক পররাষ্ট্রদফতরের পক্ষ থেকে মোদির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এটিকে দায়িত্বহীন ও যুদ্ধপ্ররোচিত বক্তব্য বলে উল্লেখ করা হয়।
মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে জাতীয় সমর শিক্ষার্থী বাহিনীর (এনসিসি) এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মোদি বলেন, সামরিক বাহিনী পাকিস্তানকে ধুলায় মিশিয়ে দিতে ৭-১০ দিনের বেশি সময় নেবে না। প্রতিবেশী দেশটি আমাদের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধ হেরেছে। কিন্তু দশকের পর দশক ধরে ‘ছায়াযুদ্ধ’ চালিয়ে এসেছে তারা।
এদিন এক বিবৃতিতে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আয়শা ফারুকি বলেন, পাকিস্তান সর্ম্পূণভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দায়িত্বহীন এবং যুদ্ধপ্ররোচিত মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে। কাশ্মির বিরোধী ও জাতিগত বিরোধী নীতি অবলম্বন করায় দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখে পড়ে মনোযোগ ঘোরাতে এমন বক্তব্য দিয়েছে বিজেপি সরকার।
তিনি যোগ করেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হুমকি ও উত্তেজক বিবৃতি বিজেপির চরমপন্থী মানসিকতার ব্যাখ্যা দেয়; যেগুলো স্পষ্টত ভারতের রাজ্যগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতে ওই অনুষ্ঠানে মোদির দাবি করেছিলেন, স্বাধীনতার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মিরে সমস্যা রয়েছে। কয়েকটি পরিবার ও রাজনৈতিক দল উপত্যকার ইস্যুগুলোকে জিইয়ে রেখেছে।
তার ফল হিসেবে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বছরের পর বছর ধরে হাজার হাজার নিরাপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। বাসিন্দাদের কাশ্মির ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। বর্তমান সরকার কয়েক দশক ধরে চলে আসা এই সমস্যাগুলোর সমাধানের চেষ্টা করতে চায়।
কাশ্মির ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, সাবেক সরকারগুলো ওই সমস্যাকে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা হিসেবে দেখেছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইলেও তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। সাবেক সরকারগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন বক্তব্যে পুরো পাকিস্তানে প্রতিবাদের ঝড় উঠে।