মেহেদীর ঘূর্ণিতে ব্যাটিং অর্ডার পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সপ্তম ওভারে তার জোড়া আঘাতে ৩৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকরা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। ৬.৩ ওভারে শুরুতে আন্দ্রে ফ্লেচারকে শূন্য রানে স্টাম্পড করিয়েছেন। এক বল পর চেজকেও (৭) ফিরিয়েছেন লিটনের গ্লাভসবন্দি করে। যা ছিল মেহেদীর চতুর্থ শিকার! শুরুতে অবশ্য চেজকে আম্পায়ার আউট দেননি। রিভিউ নেওয়াতেই মিলেছে সাফল্য।
এর আগে ইনিংসের দ্বিতীয় ভার করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিলেন তাসকিন আহমেদ। ব্র্যান্ডন কিংকে ফেরান টাইগার এই পেসার। পরের ওভারে মেহেদী নিলেন পুরানের উইকেট। এতে ২ রানে ২ উইকেট হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পঞ্চম ওভারে মেহেদীর বলে হাসান মাহমুদের ক্যাচে পরিণত হয় চার্লস (১২ বলে ২০)।
এর আগে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নেস ভেলে স্টেডিয়ামে টস হেরে বোলিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তোলে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ৪৩ রান করেছেন সৌম্য সরকার।
টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোভমান পাওয়েল। ওপেনিংয়ে নামেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। প্রথম দুই ওভারেই তারা তুলে নেন ১৫ রান। তবে পরের ওভারেই ভেঙে যায় এই জুটি। ১১ বলে মাত্র ৬ রান করে আকিল হোসেইনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান তানজিদ হাসান তামিম। তার বিদায়ে ১৫ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পরের বলে লিটন দাস আকিলকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আফিফ হোসেনকেও হারায় বাংলাদেশ। রোস্টন চেজের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে সোজা থার্ড ম্যানে আকিল হোসেনকে ক্যাচ দেন ৮ রান করা আফিফ। ফিরতে পারতেন সৌম্যও। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। চেজের বলে সৌম্যকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিলে দেখা যায় বল সৌম্যের ব্যাটে লাগেনি।
৩০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও জাকের আলী অনিক। এই জুটিতে ভর করে শুরুর ধাক্কা কিছুটা উঠতে থাকে বাংলাদেশ। তবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই এই জুটিকে থামান রোমারিও শেফার্ড। রোমারিও শেফার্ডের বলে রভম্যান পাওয়েলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান জাকের। আউট হওয়ার আগে করেন ২৭ বলে ২৭ রান। তার বিদায়ে ভাঙে ৫৭ রানের জুটি।
জাকেরের বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরে যান একপ্রান্ত আগলে রাখা সৌম্য সরকার। ৩২ বলে ৪৩ রান করে ওবেড ম্যাককয়ের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তার বিদায়ে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
এরপরেই জুটি গড়েন শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও শেখ মেহেদী হাসান। ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটির ৪৯ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
samakal