মঙ্গলবার মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোতে মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের পিএসজির বিপক্ষে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের মাঠে সে ম্যাচে দলের মূল তারকা করিম বেনজেমাকে পুরো সময় পাওয়া যাবে, সে আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে রিয়াল। এমন মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসটা খুব জরুরি ছিল রিয়ালের। কিন্তু ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে আজ গোলশূন্য ড্র করে উল্টো প্রতিপক্ষের আশাই বাড়িয়ে দিয়েছে তারা।
ভিয়ারিয়ালের মাঠে বহু চেষ্টাতেও গোল পায়নি রিয়াল। ওদিকে আজই এলচেকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দুইয়ে থাকা সেভিয়া। রিয়ালের এভাবে পয়েন্ট খোয়ানোয় লা লিগা শিরোপাদৌড়ে শীর্ষ দুই দলের মধ্যে পয়েন্টের পার্থক্য ৪-এ নেমে এসেছে।
করিম বেনজেমা কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটা আরও একবার টের পেল রিয়াল মাদ্রিদ। মৌসুমের শুরু থেকেই লা লিগার শীর্ষে লস ব্লাঙ্কোরা। সেটা বেনজেমা ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সুবাদে। চোটের কারণে বেনজেমা মাঠে নেই, এতে যেন দম হারিয়েছেন ভিনিসিয়ুসও। আজও বারবার বাঁ প্রান্তে প্রতিপক্ষের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ ছিলেন, কিন্তু ডি-বক্সে গিয়ে আর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার।
বেনজেমা নেই, লুকা ইয়োভিচের ওপর কোচের ভরসা নেই। মারিয়ানো তো স্কোয়াডেই থাকেন না। মূল স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন আজ গ্যারেথ বেল। বহুদিন পর রিয়ালের মূল একাদশে থাকার আকস্মিকতায় হোক, আর অনেক দিন বসে থাকার কারণে, বেল আক্রমণে কোনো প্রভাব ফেলেননি।
প্রথমার্ধে কাসেমিরোর দারুণ এক থ্রু বলে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে গিয়েছিলেন। দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে বল নামিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণেও এনেছিলেন ওয়েলশ উইঙ্গার। কিন্তু ভিয়ারিয়াল গোলকিপার জেনেরিমো রুইকে এড়াতে পারেননি। বেলের শট রুইয়ের হাতে আটকে যায়। প্রথমার্ধে রিয়ালের সেরা সুযোগ ছিল এটিই। সুযোগ সৃষ্টিতে ভিয়ারিয়ালই এগিয়ে ছিল। একবার পোস্ট তাদের গোল পেতে দেয়নি।
দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল সে তুলনায় ভালো খেলেছে। মার্কো আসেনসিও, বেল বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার শটে সম্ভাবনাও জাগিয়েছেন। কিন্তু কখনো ক্রসবার, কখনো রুইয়ের হাত রিয়ালকে এগিয়ে যেতে দেয়নি।
না দেখে ম্যাচের একাদশে না থাকা লুকা মদরিচকে মাঠে নামান আনচেলত্তি। বেলের বদলি ইয়োভিচ এবং আসেনসিওর বদলি রদ্রিগো নামেন মাঠে। ভিনিসিয়ুসকে তুলে হ্যাজার্ডকেও নামানো হয় শেষ মুহূর্তে। কিন্তু গোলের সম্ভাবনা জাগানোর মতো খেলাই খেলতে পারেনি রিয়াল। যোগ করা সময়ে দারুণ সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেছে ভিয়ারিয়াল। ৯২ মিনিটে গোলকিপারকে একা পেয়ে গোল প্রায় করেই বসেছিলেন ইয়োভিচ। কিন্তু তাঁর শট ক্রসবারে লেগেছে।