- ক্রীড়া প্রতিবেদক, কাতার থেকে
- ২৫ নভেম্বর ২০২২, ২২:৪০, আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ০৭:৫৭
আর্জেন্টিনার জার্সীতে লিওনেল মেসির ১৬৬ ম্যাচ। এর মধ্যে মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলা হয়েছে পাঁচটি। এই পাঁচ ম্যাচের কোনোটিতেই হারেনি আর্জেন্টিনা। চারটিতে জয়। ড্র অপর ম্যাচ। মেক্সিকানদের বিপক্ষে এই ম্যাচ গুলোতে মেসির গোল তিনটি। আর অ্যাসিস্টের সংখ্যা দুই। উত্তর আমেরিকার বিপক্ষে মেসির এই ম্যাচগুলো হলো- ২০০৬ ও ২০১০ বিশ্বকাপ, ২০০৭ সালের কোপা আমেরিকা এবং বাকি দুটি ফিফা প্রীতি ম্যাচে। এই কোপায় মেসির গোলটি তার ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা। বক্সের উপর থেকে চিপ করে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে বল জালে পাঠান।
গত সিজনে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের হয়ে নিজেকে সেভাবে তুলে ধরতে পারেননি মেসি। তবে এবার ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। নিজে গোল করেছেন। করিয়েছেন সতীর্থদের দিয়ে। এবার ফরাসী ক্লাবটির হয়ে তার করা গোল ১২টি। অ্যাসিস্ট ১৪ গোলে। এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ১৯টি ম্যাচ। তাই আশা করা হয়েছিল সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সেই চিরচেনা রুপেই দেখা যাবে আর্জেন্টিার এ জীবন্ত কিংবদন্তীকে। কিন্তু সেভাবে নিজেকে তুলে ধরে ব্যর্থ। গত বিশ্বকাপে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করলেও এবার এই স্পট কিকে সফল। ব্যাস, সৌদিদের বিপক্ষে এ পর্যন্তই ছিল মেসির দৌড়। নিজে কাউকে দিয়ে গোল করাতে পারেননি। সাথে ওপেন প্লেতেও বল জালে ঠেলতে পারেননি। খেলার শুরুতে তার শট রুখে দেন সৌদি কিপার। শেষ সময়েও তার হেডে বাধা বিপক্ষ পোস্টের প্রহরী। এই হেডটি তিনি ড্রপ আকারে নিলেই হার এড়াতে পারত আর্জেন্টিনা।
মেসির এই অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের কারণে ব্যাপক সমালোচনা। তাই হারের পরের দিন তাকেসহ পুরো একাদশের সবাইকে বিশ্রামে পাঠানো হয়। মেসিরা সময় কাটান পরিবারের সাথে। সবই আজ ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জয় পেতে। গত দু’দিন কঠোর অনুশীলন করেছে আর্জেন্টিনা। কাল ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আনা হয়নি মেসিকে। আসেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার এবং গত ম্যাচে অফসাইডে কারণে দুটি গোল না পাওয়া লাউতারো মার্টিনেজকে।