মেঘনা-তেতুলিয়ায় মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ

 


মেঘনা-তেতুলিয়ায় দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের। সামান্য যা ধরা পড়ছে তা দিয়ে মাছ ধরার খরচই উঠছে না। পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম কষ্টে দিন কাটছে জেলেদের। এনজিওর কিস্তি আর চড়া সুদের ঋণ যেন দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়েছে। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, ভারি বৃষ্টিপাত হলেই সমস্যা লাঘব হবে।

উত্তাল মেঘনা ও তেতুলিয়ায় সরব জেলেরা। দিনের আলো ফুটতেই পাড়ের নৌকা নদীতে ভাসাচ্ছে ভোলার জেলেরা। কিন্তু দিনভর জাল টেনেও ধরা পড়ছে না মাছ। জেলেরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে, ইলিশ শিকারে গুনতে হচ্ছে বেশি টাকা। কাঙ্খিত ইলিশ না পাওয়ায় পরিবারের খাবার জোগানো তো দূরের কথা ট্রলারের তেল খরচও উঠছে না। হতাশায় পড়েছে মৎস্যজীবীরা।

একই হাল লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর একশ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রমেও। বছর জুড়ে কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর ভরা মৌসুমেও ধরা পড়ছে না ইলিশ। ফলে দাদন আর ঋণের চাপে গ্রাম ছেড়েছে অনেক জেলে। নদীতে মাছ না মেলায় আড়তগুলোতেও নেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাকডাক। বিপাকে আড়তদার। তবে স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলছেন, এই সংকট সাময়িক। ভারী বৃষ্টি হলেই কেটে যাবে সমস্যা।

নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে ভোলার আড়াই লাখ আর লক্ষ্মীপুরের ৬০ হাজার জেলে।

/এডব্লিউ