মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকার স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছিল

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র আলোচনা সভায় বক্তারা

 আমার দেশ

১৪ ডিসেম্বর ২০২২

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র আলোচনা সভা

বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারই দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছিল। আওয়ামী লীগ গত ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে দেশ শাসন করে আবারো দেশকে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। অর্থপাচার করে শেখ হাসিনার সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের কিনারে নিয়ে গেছে। জনগণ আর তাদের দেখতে চায় না।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম যারা ক্ষমতায় ছিল তারাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট করেছে। তারা সবার অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল। রক্ষীবাহিনী গঠন করে ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ আবারও ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে দেশ শাসন করছে। তারা ২০১৪ সালে বিনাভোটে সংসদ গঠন করেছে। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করেছে। আবারও একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করছে তারা।

তিনি বলেন, বিএনপির সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে এই সরকার। আইনজীবী, সাংবাদিক রাজনীতিবিদ সবাইকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বানোয়াট মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে। সুতরাং সবার দায়িত্ব হচ্ছে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা।

বিএনপির এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশ কিভাবে পরিচালিত হবে সেই রূপরেখা আমরা ঘোষণা করব। আসুন, সবাই বুদ্ধিজীবী ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান প্রতিষ্ঠার শপথ নিই।

স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, বিএনপি অফিসে নারকীয় অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু তাতে সমাবেশে জনস্রোত আটকানো যায়নি। এই অত্যাচার-নির্যাতনের কারণ, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সরকার বন্ধ করে দিতে চায়। এই দেশে গণতন্ত্র হরণকারী সরকারকে মেনে নেয়া হবে না। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। একদলীয় শাসন এদেশের মানুষ কখনও মানেনি, মানবে না।

তিনি বলেন, আজ সবার হাত-পা বাঁধা। বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার স্থান। কিন্তু সেখানেও বেশি কথা বললে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমিরুল ইসলাম খান আলিম প্রমুখ।