দুজনের গল্পটা দুরকম। একজনের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার থমকে গিয়েছিল ২০২২ সালের এশিয়া কাপের পর। আরেকজন ঘরোয়া ক্রিকেটে তিন সংস্করণের ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে রান করেও সুযোগ পাচ্ছিলেন না। বলা হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলীর কথা। দুজনই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুজনেরই দায়িত্বটা ফিনিশারের। কাকতাল হচ্ছে, মাহমুদউল্লাহ চলমান শ্রীলঙ্কা সিরিজ দিয়ে টি-টোয়েন্টি দলে ফিরেছেন। আলিস আল ইসলামের চোটে দলে সুযোগ পেয়েছেন জাকেরও।
দুজনই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক করে শ্রীলঙ্কার ২০৬ রান প্রায় তাড়া করে ফেলেছিলেন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ৩ রানে হারলেও মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেল খুঁজে পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামীকাল সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের কথায় ছিল সে আভাস।
মাহমুদউল্লাহর ২০ ওভারের ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে হাথুরুসিংহেকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেছেন, ‘সে অনেক অভিজ্ঞতা যোগ করছে। সে যেভাবে বিপিএলে খেলেছে, আমাদের সবাইকে দেখিয়েছে…এখন সে অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলছে। আমি তাকে যখন (ওয়ানডে) বিশ্বকাপে দেখেছি, সে নিজের খেলা নিয়ে খুবই স্বচ্ছন্দ বোধ করছিল। এখন খুব সুন্দর খেলছে।’
জাকেরকে নিয়ে হাথুরুসিংহের দৃষ্টিভঙ্গিটা একটু ভিন্ন। এবারের বিপিএলেই তাঁকে প্রথম দেখেছেন প্রধান কোচ, ‘সে কী করতে পারে, তা দেখে খুব ভালো লাগছে। আমি তার খেলা খুব বেশি দেখিনি। শুধু এবারের বিপিএলেই দেখেছি।’
ফিনিশার হিসেবে যে গুণটা সবচেয়ে বেশি দরকার, তা জাকেরের আছে বলেও মনে করেন হাথুরুসিংহে, ‘সে খুবই শান্ত। এটাই চোখে পড়েছে এবারের বিপিএলে। এই জিনিসটা খুব ভালো লেগেছে। এই একটা গুণ আপনার দরকার, যখন আপনি পাঁচ-ছয়-সাতে ব্যাটিং করবেন। কারণ, বেশির ভাগ সময় আপনাকে কিছু কাজ করতে হবে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যে। সে যা করেছে, তা দেখতে পেরে খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।’
Prothom Alo