সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি হতে মনোনয়নপ্রত্যাশীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগে। বিগত কয়েকটি সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপিদের পাশাপাশি মাঠে নেমেছেন আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের দুই শতাধিক নারী নেত্রী। আছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীরাও। ক্ষমতাসীন দলের টিকিট পেতে লবিং-তদবির শুরু করেছেন চলচ্চিত্র, সংগীত, নাট্যজগতের তারকাসহ একঝাঁক সংস্কৃতিকর্মী। সরকার সমর্থক ব্যবসায়ী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার খ্যাতিমান নারীদের তৎপরতাও থেমে নেই। আলোচনায় রয়েছেন আন্দোলন-সংগ্রাম ও দুঃসময়ে দলের জন্য ভূমিকা রাখা প্রয়াত নেতাদের পরিবারের সদস্যরাও।
সংসদ নির্বাচনের পরপরই সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। সময় এগিয়ে আসার সঙ্গে বাড়ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতাও। বেশির ভাগই এখন দলের নীতিনির্ধারক ও প্রভাবশালী নেতা এবং মন্ত্রীদের অফিস ও বাসায় ধরনা দিচ্ছেন। দলীয় দপ্তরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে নিজেদের সম্পৃক্ততা ও প্রার্থিতার যোগ্যতার প্রমাণ দেখাচ্ছেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী নেত্রী অনেকে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখাও করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানগুলোতে ভিড় জমিয়ে দলীয় প্রধানের সান্নিধ্যে আসতে চাচ্ছেন।
জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন-২০০৪ অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ৫০টি সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদের ভোট শেষ করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দু’দিন পর ৯ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই হিসেবে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু এবং ৯ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে ইসিকে। চলতি মাসের শেষ দিকে সংরক্ষিত আসনের তপশিল ঘোষণা হতে পারে বলে ইসি সূত্র জানিয়েছে। নতুন সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে মধ্য ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন ও শপথ শেষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে। ৩০ জানুয়ারি এই সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হচ্ছে।
এ ছাড়া এবারের সংসদে জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ও কল্যাণ পার্টির একটি করে আসন রয়েছে। ফলে তারা স্বতন্ত্র দু’জন এমপির সমর্থন দিয়ে প্রার্থী দিলে একজন নারী এমপি নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। আর স্বতন্ত্ররা জোটবদ্ধ হতে না পারলে আইন অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এসব আসনে প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পাবে। সেই হিসেবে স্বতন্ত্র এমপিদের সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত নারী এমপির সংখ্যা ৪৭ জনে দাঁড়াতে পারে।
আলোচনায় যারা
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদের মনোনয়ন দৌড়ে এবারের জাতীয় নির্বাচনে দলের মনোনয়নবঞ্চিত কিংবা জোট-মহাজোট শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার কারণে আসন ছেড়ে দেওয়া নারী এমপি ও হেভিওয়েট প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। একাদশ সংসদসহ বিভিন্ন সময়ের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপিরাও আলোচনায় রয়েছেন। বিবেচনায় আসবেন বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রাখা ও ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাসহ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত দল ও সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী ও জনপ্রিয় নারী নেত্রীরাও। বরাবরের মতো জেলা কোটায় সুযোগ পাবেন কয়েকজন জেলা নেত্রী।
একাদশ সংসদের এমপিদের মধ্যে সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান খুলনা-৩ আসনে দলের মনোনয়ন পাননি। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীও হননি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ দলের মনোনয়ন পেলেও দ্বৈত নাগরিকত্বের জটিলতায় নির্বাচন করতে পারেননি। সংরক্ষিত এমপি পদে এই দু’জনকে বিবেচনা করা হতে পারে। তবে শাম্মী আহমেদের ক্ষেত্রে আইনগত জটিলতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হবে।
আলোচনায় আরও রয়েছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পরও শরিকদের জন্য আসন ছেড়ে দেওয়া তিনজন নারী নেত্রী। তারা হচ্ছেন– লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দলের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, গাইবান্ধা-১ আসনের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরুজা বারী এবং গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক হুইপ মাহাবুব আরা গিনি। তবে আফরুজার আসনে ‘ডামি প্রার্থী’ হিসেবে নির্বাচন করে জিতেছেন তাঁর মেয়ে আবদুল্লাহ নাহিদ নিগার। ফলে আফরুজার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।
এবারের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে হেরেছেন তিন সাবেক এমপি ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য সানজিদা খানম, গাজীপুর-৫ আসনে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এবং মানিকগঞ্জ-২ আসনে কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে ফরিদপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। পরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন তিনি। এ ছাড়া যুব মহিলা লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন ঢাকা-১৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হেরেছেন। এই পাঁচজনও এবার সংরক্ষিত মহিলা এমপি হতে আগ্রহী।
একাদশ সংসদের সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের কয়েকজন এবার দলীয় মনোনয়নে সরাসরি নির্বাচন করেছেন। কেউ কেউ নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিদের বেশির ভাগই সংরক্ষিত মহিলা এমপি হতে চাইছেন। একইভাবে নবম ও দশম সংসদের সংরক্ষিত মহিলা এমপিদের কয়েকজনও একই পদে আসতে চাইছেন। এই তিন সংসদের সাবেক মহিলা এমপিদের অনেকেই দল ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকায় তাদের দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হতে পারে। জেলা কোটায়ও কেউ কেউ মনোনয়ন পেতে পারেন।
একাদশ সংসদের দলীয় মহিলা এমপিদের মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হচ্ছেন– সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, ওয়াসিকা আয়শা খান, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, সৈয়দা রুবিনা আক্তার মীরা, শবনম জাহান শিলা, আদিবা আনজুম মিতা, নার্গিস রহমান, কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, বাসন্তী চাকমা, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, খোদেজা নাসরিন আক্তার সেলিনা, শামীমা আক্তার খানম, সুবর্ণা মুস্তাফা, আরমা দত্ত, শিরিন আহমেদ, নাহিদ ইজাহার খান, তামান্না নুসরাত বুবলী প্রমুখ।
নবম ও দশম সংসদের মহিলা এমপিদের মধ্যে আছেন– আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর স্ত্রী নিলুফার জাফরউল্লাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, আখতার জাহান, মাহজাবিন খালেদ বেবী, জাহানারা বেগম, শিরীন নাঈম পুনম, নাসিমা ফেরদৌসী, আসমা জেরিন ঝুমু, আজিজা খানম কেয়া, জিন্নাতুল বাকিয়া, রোজিনা নাসরিন রোজী, নূরজাহান বেগম মুক্তা, শাহিদা তারেখ দীপ্তি, উম্মে রাজিয়া কাজল, চেমন আরা তৈয়ব, রওশন জাহান সাথী, নাজমা আক্তার, অধ্যাপক অপু উকিল, নাভানা আক্তার, সেলিনা জাহান লিটা, রোকসানা ইয়াসমিন ছুটি প্রমুখ।
আলোচনায় আরও রয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুন নাহার চাঁপা, ডা. রোকেয়া সুলতানা, পারভীন জামান কল্পনা, সফুরা বেগম রুমি এবং মারুফা আক্তার পপি।
সহযোগী সংগঠনের নেত্রীদের মধ্যে আলোচনায় আছেন মহিলা আওয়ামী লীগের নাজমা হোসেন, আলেয়া পারভীন রনজু, হোসনে আরা রানী, ব্যারিস্টার সীমা করিম, সাবিনা সুলতানা, ইসমত আরা হ্যাপী, হাসিনা বারী চৌধুরী, সাবেরা বেগম, পারুল আক্তার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজী সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি, কেন্দ্রীয় নেতা জেসমিন শামীমা নিঝুম, শারমিন জাহান মেরী, তানিয়া সুলতানা হ্যাপী, তানিয়া হক শোভা, ঢাকা মহানগর নেতা তাহেরা খাতুন লুৎফা, শামীমা রহমান, ফারজানা ইয়াসমিন, নিলুফার রহমান প্রমুখ।
সরকার সমর্থক বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেত্রী ও বিশিষ্টজনের মনোনয়ন দেবে আওয়ামী লীগ। দলের দুর্দিনে ত্যাগী ও নিবেদিত প্রয়াত নেতা-মন্ত্রীদের স্ত্রী-কন্যাদের যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত, তারাও মনোনয়ন পেতে পারেন। তাদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইনের স্ত্রী সেলিনা হোসাইন, প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর স্ত্রী ও মৌলভীবাজার-৩ আসনের সাবেক এমপি সৈয়দা সায়রা মহসীন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা মহিউদ্দিন, চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোছলেম উদ্দিন আহমদের স্ত্রী শিরিন আহমদ, নাটোর-৪ আসনের প্রয়াত এমপি আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে ও যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রয়াত এমপি ডা. আফছারুল আমীনের স্ত্রী ডা. কামরুন নেছা, সিলেট সিটির প্রয়াত মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রয়াত গোলাম রব্বানীর স্ত্রী ও সাবেক এমপি শামছুন নাহার বেগম (শাহানা রব্বানী), শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামালের ভাতিজি নেহরিন মোস্তফা দিশি, শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে ও অভিনেত্রী শমী কায়সার, শহীদ আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।
মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নারী নেত্রীদের মধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হচ্ছেন– চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের মা কামরুন নাহার, রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের স্ত্রী রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শাহীন আক্তার রেনী, বঙ্গবন্ধুর ভাগনে ও বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর স্ত্রী লুনা আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদের স্ত্রী মুমতাহীনা ঋতু, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, চট্টগ্রামের নারী নেত্রী জোবাইরা নার্গিস খান, শামীমা হারুন লুবনা, দিলোয়ারা ইউসুফ, অ্যাডভোকেট বাসন্তী প্রভা পালিত, অ্যাডভোকেট জুবাইদা সরোয়ার নিপা, রেখা আলম চৌধুরী, আন্জুমান আরা বেগম, অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরী, রাজশাহীর মর্জিনা পারভীন, অ্যাডভোকেট নাসরিন আক্তার মিতা, রোকসানা মেহবুবা চপলা, নিঘাত পারভীন, সিলেটের নাজনীন হোসেন, ডা. নাজরা আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা, আমাতুজ জাহুরা রওশান জেবীন রুবা, বরিশালের মেহেরুন নেছা সুমি, সুনামগঞ্জের অ্যাডভোকেট রীপা সিংহা, বরগুনার মাধবী দেবনাথ, জাকিয়া এলিট, পিরোজপুরের লায়লা পারভীন, ভোলার অধ্যক্ষ শাফিয়া খাতুন, খাদিজা আক্তার স্বপ্না, সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রী ও ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক তানজিদা খালেক তুলি প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে তৎপর রয়েছেন তারকাশিল্পীরাও। আলোচনায় রয়েছেন– অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, চিত্রনায়িকা অরুণা বিশ্বাস, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, তানভীন সুইটি, শাহানুর, অভিনেত্রী তারিন জাহান, জ্যোতিকা জোতি, নুসরাত ফারিয়া, নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্যাঙ্গনের বেশ ক’জন। তাদের প্রায় সবাই বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের বিভিন্ন পদে রয়েছেন। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে পরাজিত চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিও রয়েছেন আলোচনায়।
এদিকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলের নেতারা আশানুরূপ বিজয় না পাওয়ায় সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব কমে গেছে। এই বিবেচনায় শরিক দলগুলোর দু-একজন নারী নেত্রীকে সংরক্ষিত মহিলা এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নৌকার মনোনয়নবঞ্চিত ফেনী-১ আসনের তিনবারের এমপি ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অগ্রাধিকার পাবেন। এ ছাড়া কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েও পরাজিত জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী ও দলটির সহসভাপতি সাবেক সংরক্ষিত মহিলা এমপি আফরোজা হক রীনাকেও বিবেচনায় আনা হতে পারে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সমকালকে বলেছেন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলের মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে নারী নেত্রীদের যোগ্যতা, গ্রহণযোগ্যতা ও দক্ষতা বিবেচনায় নেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এবং মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেত্রীরা প্রাধান্য পান।
samakal