- by নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউনিয়ন পরিষদ, ইউপি, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে গণনার সময় বাধা ও হামলা চালায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ৪ জন নিহত এবং অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। বুধবার, ৫ জানুয়ারি, সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বালিয়াদীঘি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— আব্দুল রশিদ, কুলসুম আক্তার, মো. আলমগীর এবং খোরশেদ আকন্দ। নিহত কুলসুম এক নারী ইউপি সদস্য প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন। এ ছাড়া স্থানীয় কালাইহাটা গ্রামের আব্দুল (৪৫), ছহিরউদ্দিন (৫৫) ও রাকিব (১৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, ভোটগ্রহণ শেষে গণনার সময় প্রার্থীর সমর্থকরা ভোটকেন্দ্র আক্রমণ ও হামলা করে। উদ্ভূত পরিস্থিতি কারণে গুলি চালাতে বাধ্য হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রে ভোট গণনা না করে ব্যালট বাক্স নিয়ে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার সময় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি খুব জটিল হলে পুলিশ ও বিজিবি গুলিবর্ষণ করে।
ওই ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউএনও, আসিফ আহমেদ গুলি চালানোর বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কেন্দ্রে ভোট গণনা করতে গেলে এক চেয়ারম্যন প্রার্থীর সমর্থকরা তাতে বাধা দেয়। এমনকি আমরা ভোট গণনা শুরু করলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরো বলেন, ‘এ সময় আমার এক পা ভেঙে দেওয়া হয়। হামলা চালানো হয় প্রিজাইডিং অফিসার, আনসার সদস্য ও অন্য আইনশৃখলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর। প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে গুলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।’ নিবার্চনী দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইউনুছ আলী এ বিষয়ে বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তারা কালাইহাটা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষে তা গণনা না করে ব্যালট বাক্স উপজেলায় নিয়ে যেতে চান। এর বিরোধিতা করে আমার সমর্থকরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এক পর্যায়ে গুলিবর্ষণ করলে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক হতাহত হয়।