প্রকাশ : মঙ্গলবার, ২৩ জুন
করোনা পরিস্থিতিতেও সরকার জনগণের কাছ থেকে বিদ্যুৎ-গ্যাসের ‘ভুতুড়ে বিল’ আদায় করছে বলে অভিযোগ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর। গতকাল দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট শূন্য ভান্ডার পূরণ করতে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের গলায় ছুরি বসিয়ে টাকা আদায় করছে। এর একটি হচ্ছে বিদ্যুৎ-গ্যাসের বিল। অবিশ্বাস্য ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল দেশবাসীর ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, ভুতুড়ে বিল জুন মাসের মধ্যে পরিশোধ করা না হলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের অস্বাভাবিক বিল আদায়ে দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট একটি অমানবিক দুষ্টচক্র কাজ করছে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস যেমন মানুষের নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেয় ঠিক তেমনিভাবে সরকারও জনগণের শ্বাস টেনে ধরেছে। তারা এতটাই নির্বিকার ও বেপরোয়া যে হরিলুট হওয়া সরকারি অর্থের ঘাটতি পূরণে গরিব মানুষের শরীর থেকে রক্ত টেনে নিচ্ছে। বাড়ি ভাড়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভাড়াটিয়ারা খুবই আতঙ্কের মধ্যে আছে, কখন তাদের বাসা থেকে বের করে দেয়। তবে করোনাকালে আমরা বেশ কয়েকজন মানবিক বাড়িওয়ালাকে দেখেছি যারা ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ভাড়া মওকুফ করে দিয়েছেন। আবার অনেক বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে করছে নির্দয় আচরণ। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কথা বলে বাড়িওয়ালারাও ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে নানাভাবে মাশুল আদায় করছেন।
যারা ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা তাদের সুদ মওকুফের ঘোষণা দেওয়া হলেও সুদ আদায় করা হচ্ছে। তারা দেউলিয়া হওয়া অর্থনীতি সচল রাখার জন্য স্বল্প আয়ের মানুষকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিচ্ছে।