ভারতের মানবাধিকার সংগঠনের বিবৃতি: সীমান্তে প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধে হাসিনা-মোদির আলোচনা না হওয়া হতাশাজনক

মাসুমের সম্পাদক কিরীটি রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, এ বিষয়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু হলো না। দুই রাষ্ট্রপ্রধানের যৌথ বিবৃতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দিনাজপুরে গুলি চালিয়ে এক কিশোরকে হত্যা ও মরদেহ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। এটা সীমান্তের দুই পারের মানুষের জন্যই উদ্বেগের ও দুঃখজনক।’
সংগঠনটি বলেছে, ‘সীমান্তে হত্যা হঠাৎ বেড়েছে বলে আমাদের পরিসংখ্যান বলছে। যদিও দুই প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে হত্যা কমে যাওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’

সীমান্তে মানব পাচার, পশু চোরাচালান ও মাদক চালানের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মদদ ছাড়া সম্ভব নয় বলেও মাসুমের বিবৃতিতে দাবি করা হয়।

কিন্তু দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বা বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে আলোকপাত না করার বিষয়টিকে হতাশাজনক উল্লেখ করে সীমান্তে প্রতিবছর কত মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, তার বিস্তারিত পরিসংখ্যান দাবি করেছে সংগঠনটি।

তবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে একমত হয়েছেন যে, সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার ক্ষেত্রে কাজ করার মতো বিষয় এখনো রয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। মাসুমের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যদি দুই দেশের সরকারের এমন লক্ষ্য থাকে, তাহলে হত্যার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে তা শুরু হতে পারে।