সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী একটি পোস্টে লাভ রিয়্যাক্ট দেওয়ার কারণে ভারতের আসামের শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এনআইটি) এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাছাড়ের পুলিশ সুপার (এসপি) নুমাল মাহাট্টা দাবি করেছেন, তাকে বিতাড়িত করা হয়নি। বরং বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এসপি জানান, ওই ছাত্রীর নাম মাইশা মাহাজাবিন। তিনি শিলচরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির ইলেকট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। তাকে সিলেট সীমান্তবর্তী ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলার সুতারকান্দির ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের (আইসিপি) মাধ্যমে গতকাল সোমবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে পুলিশ কর্মকর্তা নুমাল মাহাট্টা বলেছেন, ফেসবুকে শাহাদাত হুসাইন আলফি নামক একজনের ভারতবিরোধী পোস্টে মাইশা লাভ রিয়্যাক্ট দিয়েছিল। আলফিও এনআইটির শিক্ষার্থী ছিলেন। ছয়মাস আগে তিনি কোর্স সম্পন্ন করে বাংলাদেশে ফেরত যান।
এই ধরনের পোস্ট দেখে অনেকেই যেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, সেখানে মাইশা লাভ রিয়্যাক্ট দিয়েছে। মাহাট্টা দাবি করেছেন, এ ঘটনার পর মাইশা নিজেও এনআইটি কর্তৃপক্ষের কাছে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন।
মাইশা তার কোর্স শেষ করতে ফিরে আসবেন কি-না, জানতে চাইলে এসপি বলেন: ‘তিনি এখনও তার কোর্স শেষ করেননি। পড়াশোনা শেষ করতে আবার ফিরে আসবেন কি-না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের সমঝোতা অনুযায়ী, বর্তমানে মোট ৭০ জন বাংলাদেশি এনআইটি শিলচরে পড়ছেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী।
নুমাল মাহাট্টা বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে ছাত্রদের সাথে দেখা করেছি এবং তাদের কোনো ভুল কাজ না করার জন্য বা কোনো ভারতবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।’
mirror asia