যুব এশিয়া কাপে অপ্রতিরোধ্য দল ভারত। গত ৯ আসরে আটবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। সেই ভারতকেই সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করলো বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়নদের ৪ উইকেট আর ৪৩ বল হাতে রেখে হারিয়ে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের বোলাররাই। ৪২.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানে থামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। জবাবে আরিফুল-আহরারের ব্যাটে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে যুবা টাইগাররা।
বাংলাদেশের লক্ষ্য খুব বড় না হলেও শুরুর দিকে ঘাবড়ে দিয়েছিলেন যুবারা। ১৮৯ রান তাড়া করতেই ৩৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সে ধাক্কা থেকে বাংলাদেশের যুবারা ঘুরে দাঁড়ায় আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিনের ১৩৮ রানের দারুণ জুটির সৌজন্যে। লক্ষ্য থেকে ১৭ রান দূরে থাকতে আরিফুল ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৯০ বলে ৯ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রান করেন তিনি।
তবে আরিফুল ফিরলেও বাংলাদেশের জয় ছিল তখন সময়ের অপেক্ষা। শেষদিকে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে আউট হন মোহাম্মদ শিহাব (৯)। উইকেট বিলিয়ে আসেন আরিফুলের সঙ্গে ম্যাচ জেতানো জুটি গড়া আহরারও। ১০১ বলে ৪৪ রান করেন তিনি। ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিয়ে দলকে জেতান জীবন। ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রাব্বি।
এদিকে ভারতকে কম রানে আটকে দিতে অবদান রাখা মারুফ মৃধা হয়েছেন ম্যাচসেরা। প্রথম তিনটিসহ মোট চার উইকেট নেন তিনি ৪১ রান দিয়ে।
এর আগে বল হাতে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ, একটা সময় ৬১ রানে ৬ উইকেট তুলে ভারতকে একশ’র আগে গুটিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছিল যুবা টাইগাররা। তবে মুরগান ও মুশির অর্ধশতকে ৪২.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানে থামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে ৩ উইকেট হারায় ভারত। তিনটি উইকেটই তুলে নেন ১৭ বছরের মারুফ। এরপর ৩৬ রানে শচীন দাসকে হারিয়ে চতুর্থ উইকেটের পতন হয় ভারতের।
এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৬ উইকেট হারায় ভারত। তবে মুশির খান ও মুরগান অভিষেকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় চাপ সামাল দেয় তারা। এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৮৪ রানের জুটি। মাঝে ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশির। দলীয় ১৪৫ রানে রাব্বির বলে আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মুশির।
বাকি ব্যাটাররা মিলে ভারতকে আর বেশিদূর নিতে পারেনি। ইনিংস সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন মুরগান। বাংলাদেশের হয়ে মারুফ ৪১ রানে ৪ এবং শেখ পারভেজ জীবন, রোহানাত ২টি করে উইকেট নেন।
সূত্র : সমকাল