ঢাকা
ভাঙারি দোকানের অচল মোটরসাইকেল পুড়িয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ। তিনি বলেছেন, গত শনিবার দিনে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছিল বিএনপি। কিন্তু সেদিন গভীর রাতে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভাঙাড়ি দোকান থেকে অচল মোটরসাইকেল নিয়ে তা পুড়িয়ে বিএনপি নেতা–কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ। তবে এ ঘটনা কোথায় ঘটেছে, তা সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেননি তিনি।
পরে বিকেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে। এভাবে অচল মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ।
সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম চিকিৎসার জন্য ভারতে ছিলেন। তিনি গত শনিবার রাতে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু ওই দিন সকাল ১০টার একটি ঘটনার মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিএনপির নেতা আজিজুল হকের গাড়ি ভাঙচুরের পর তাঁর নামেই উল্টো মামলা দিয়েছে পুলিশ। আর জামালপুরে দলের যেসব নেতা-কর্মী পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, তাঁদেরই আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আজ দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ এমরান সালেহ অভিযোগ করেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। গত শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে, সেখানেও গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, বিদ্যুৎ, গ্যাস, চাল, ডাল, তেল, আটা, লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি। বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, তার একটি বিবরণও দিয়েছেন বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালনের পর নতুন ৪৫টি মিথ্যা ও গায়েবি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় তিন শতাধিক নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ৭০৬ জনকে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৪ হাজার ৫১৭ জনকে।