বড়াল নদ হত্যার ইতিকথা
ড. শামসুল আলম | ২০:১২:০০ মিনিট, এপ্রিল ০৯, ২০১৮
কৃষি, পরিবেশ, শিল্পায়ন ও জীবনধারণ বিবেচনায় নদী ব্যবস্থাপনার বিষয় চলমান বাংলাদেশের এক বড় চ্যালেঞ্জ। বড়ালের মতো অসংখ্য নদ-নদী ও শাখা নদী এখন বিপন্নপ্রায়। বড়াল পদ্মার একটি শাখা নদ, যার উত্পত্তি রাজশাহী জেলার চারঘাট উপজেলায়। এটি রাজশাহীর পর নাটোরের চলনবিল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সিরাজগঞ্জের হুরাসাগরে পড়েছে। হুরাসাগরে পতিত হওয়ার আগে পাবনার শাহজাদপুর উপজেলায় করতোয়া নদীর সঙ্গেও এর মিলন ঘটে। পাবনায় প্রবেশের পর এ নদ সদর উপজেলার উত্তর দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাটমোহর উপজেলাকে অতিক্রম করে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ধাবিত হয়েছে। ভাঙ্গুড়া উপজেলায় এ নদের ওপর বড়াল সেতু তৈরি করা হয়েছে।
এ নদের মোট দৈর্ঘ্য ১৪২ কিলোমিটার; যার মধ্যে রাজশাহী অংশ ২১ কিলোমিটার, নাটোর অংশ ৭১ কিলোমিটার (চলনবিল এলাকা) ও পাবনা অংশ ৫০ কিলোমিটার। বড়াল এখন পদ্মা নদী থেকে শুধু বর্ষা মৌসুমে পানি পেয়ে থাকে। এছাড়া বাকি সময়ে এ নদ মূলত তার পানিপ্রবাহের জন্য বৃষ্টির পানি এবং চলনবিলের ছোট-বড় খাল ও খাঁডির পানির ওপর নির্ভর করে। তবে পাবনায় প্রবেশ করার পর ভাঙ্গুড়ার পূর্ব পাশে ফরিদপুর গ্রামের কাছে গুমানি চ্যানেলের মাধ্যমে আত্রাই নদী থেকে বড়াল কিছুটা পানিপ্রবাহ পায়। এ নদের নিষ্কাশন এলাকা আনুমানিক ২৩০ বর্গকিলোমিটার। এ নদের দুই কূলে উল্লেখযোগ্য উপজেলা/গ্রোথ সেন্টারগুলো হচ্ছে— চারঘাট, বড়াইগ্রাম, বাগাতিপাড়া, গুরুদাসপুর, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও বেড়া। নাটোরে শুকিয়ে যাওয়া বড়ালের নিম্নাঞ্চলকে বলা হয় মরা বড়াল।
বড়াল নদ ব্যবস্থাপনার ক্রমানুসার
এ নদীর বিষয়ে সবচেয়ে পুরনো উল্লেখ আছে ১৮ শতকের ভূগোলবিদ জেমস রেনেলের লেখায়। একসময়ের ‘প্রমত্তা বড়াল’ বাংলাদেশের অন্য অসংখ্য নদীর মতো এখন মৃতপ্রায়। যতদূর জানা যায়, প্রথম এ নদে নদী শাসন/ব্যবস্থাপনার কাজটি করা হয় আটঘরিয়া-জোনাইল (কাচুটিয়া) এলাকায়। সে সময় নাটোরের জমিদারদের খননকৃত ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ নন্দকুজা খালের মাধ্যমে বড়ালের মূল প্রবাহ থেকে পানি আহরণের কারণেই মরা বড়াল তৈরি হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেছেন এ অঞ্চলের অনেক বর্ষী মানুষ। বড়ালের গড় প্রশস্ততা হাজার ফুট থেকে কমে এখন দাঁড়িয়েছে ২০০ ফুটে, কোথাও কোথাও তারও কম। একসময় এ নদের প্রায় ৩০টি ছোট-বড় শাখা-প্রশাখা ছিল। নিকট অতীতে বড়াল নদ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি শুরু হয় ১৯৮২-৮৩ সালে। এর আগে বড়ালের তীরবর্তী মানুষ বন্যা মোকাবেলায় নিজেদের উদ্যোগে মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করত। ১৯৮২-৮৩ সালে প্রথম এ নদের ওপর দুটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ রেগুলেটর তৈরি করা হয়। এর একটি উৎসমুখ অর্থাৎ চারঘাটে, অন্যটি হাঁপানিয়া/আটঘরিয়ায়। এ রেগুলেটরগুলো পাউবো আইডিএর আর্থিক সহায়তায় তৈরি করে। প্রতিটি রেগুলেটর ৬০ ফুট চওড়া, যাতে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের তিনটি ওপেনিং রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণেই মূলত এগুলো করা হয়েছিল।
এসব রেগুলেটর স্থাপনের আগেই বড়াল নদের দুই তীরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। বর্ষা মৌসুমে যেন পদ্মার অতিরিক্ত পানি ভেতরে প্রবেশ করে প্রবাহিত অঞ্চলগুলোয় বিশেষ করে চলনবিল এলাকায় বন্যা সৃষ্টি না করতে পারে, মূলত সে উদ্দেশ্য থেকেই এ রেগুলেটরগুলো স্থাপন করা হয়।
স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, রেগুলেটর তৈরির পর বেশ কয়েক বছর তা ভালোভাবে কাজ করেছে। পরবর্তীতে পদ্মায় পানিপ্রবাহ কমে আসায় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪-৯৫ ও ২০০২-০৩ সময়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জিওবি অর্থায়নে ‘বড়াল বেসিন উন্নয়ন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়। এ প্রকল্পের আওতায় চারঘাট থেকে আটঘরিয়া পর্যন্ত ৪৬ কিলোমিটার অংশে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখার উদ্দেশ্যে স্লুইস গেট/রেগুলেটর স্থাপন করা হয়। স্থানীয় জনগণের মতে, এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ধীরে ধীরে নদীতলে পলি জমে উঁচু হয়ে যায়। ফলে শুষ্ক মৌসুমে পানি ধরে রাখা বা পানিপ্রবাহের বিষয়টি ব্যাহত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীদের সঙ্গে আলাপে জানা যায়, মূলত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই এ ৪৬ কিলোমিটার অংশে পানি ধরে রাখার কাজটি ব্যাহত হচ্ছে। জানা যায়, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৫ সালেও স্লুইস গেটগুলো অকেজো ছিল এবং বিভিন্ন সময়ে তা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অপারেটরের সংকট ছিল। অমনোযোগ ও সময়মতো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এবং একই সঙ্গে প্রতি বছর জমাকৃত পলি সরানো বা ড্রেজিংয়ের কোনো কার্যক্রম হাতে না নেয়ার ফলে নদের প্রবাহ প্রায় শুকিয়ে যায়। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে বড়াল নদ পুনরুদ্ধারে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। ওই টাস্কফোর্স অন্যগুলোর মধ্যে ‘বড়াল নদের ওপর নির্মিত স্লুইস গেট/রেগুলেটর ভেঙে সেতু নির্মাণ ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বিধায় নির্মিত স্লুইস গেট/রেগুলেটরগুলো সচল রাখা’র পরামর্শ প্রদান করে। এ পরামর্শ বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই পরামর্শগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশনা প্রদান করেন। হাইকোর্টের এ নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে স্লুইস গেট/রেগুলেটরগুলো সচল রাখা হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ নদের উজানে ১ হাজার ৩৫০ মিটার এবং ভাটিতে ৩০০ মিটার খনন করা হয়েছে, যা অপর্যাপ্ত। উল্লেখ্য, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং বড়াল নদের বহমানতা পুনরুদ্ধারে কী করা যায়, সে বিষয়ে একটি সমীক্ষা হাতে নিয়েছে। সমীক্ষা সমাপ্তির পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে— এমন প্রত্যাশাই স্থানীয় জনগণ করছে।
সরেজমিন পরিদর্শনের চিত্র
বড়াইগ্রাম উপজেলা সদর, মৌখারা বাজার, দয়ারামপুর প্রভৃতি স্থানে বড়াল নদের বর্তমান অবস্থা দেখার জন্য আমাদের সরেজমিন পরিদর্শনে বেশকিছু বিষয় সামনে উঠে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হলো, অবৈধভাবে নদ দখল। নদ দখলের ফলে কোনো কোনো স্থানে বড়াল শীর্ণকায় নালা বা খালের রূপ নিয়েছে। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নদী ভরাট। স্থানে স্থানেই স্থানীয় জনগণ বড়াল নদের ওপর পিলার দিয়ে আবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরি করেছে। এমনকি কোনো ক্ষেত্রে ভূমিহীনদের আশ্রয়ণের জন্য মৃতপ্রায় নদের ওপর আবাসিক স্থাপনা ও বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। এ কাজ করতে গিয়ে নদ ভরাট করা হয়েছে। আসলে প্রকৃতি যতটা না, মানুষই নদীগুলোকে মেরে ফেলছে বললে অত্যুক্তি হবে না। একই সঙ্গে ময়লা আবর্জনা, পলিথিন ফেলা ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নদীতে উন্মুক্ত করায় পলি জমার পাশাপাশি আবর্জনা দিয়ে নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সারা দেশে নদী মৃত্যুর এ কাহিনী প্রায় এ রকমই।
নদী ব্যবস্থাপনার দিক বিচার করলে দেখা যায়, নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব নদের প্রবাহ কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গতানুগতিক অপর্যাপ্ত বরাদ্দ ও ব্যয়, নির্মিত স্লুইস গেট ও রেগুলেটরকে সঠিকভাবে সময়মতো ব্যবহার করতে না পারা, প্রয়োজনীয় ড্রেজিং না হওয়ায় নদের তলদেশ দ্রুত ভরাট হয়েছে। ফলে পানিপ্রবাহ মারাত্মকভাবে হ্রাস পায়। শুধু ড্রেজিং নয়, নদীতীর ব্যবস্থাপনাও আশানুরূপ হয়নি। কাজের গুণগত মানও অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ড্রেজিংয়ের সাহায্যে নদের তলদেশ থেকে তুলে আনা পলি নদ থেকে মাত্র কয়েকশ মিটার দূরে ফেলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বাজেট না থাকায় উত্তোলনকৃত মাটি/বালি দূরে নেয়া হয় না, এ বিষয়টি সামনে উঠে এসেছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নদ খননে উত্তোলিত বালি/পলি ব্যবস্থাপনা। এ বিষয়ে দেশে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার ফলে ড্রেজিংয়ের আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। তীরের খুব কাছেই খননে উত্তোলিত বালি/পলি ফেলে রাখার কারণে তা বর্ষা মৌসুমে আবার নদে গিয়ে পড়ছে। ফলে তা নদের তলদেশ ভরাটের প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করছে। নদী ব্যবস্থাপনায় সারা দেশেই প্রায় এমন চালচিত্র।
মৃতপ্রায় বড়াল নদ পুনরুদ্ধারে কী করা যায়
সরেজমিন পরিদর্শন এবং স্থানীয় জনগণ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বারবারই মৃতপ্রায় এ নদ খনন করে পানিপ্রবাহ পুনরুদ্ধারের বিষয়টি জোর দাবি হিসেবে উঠে এসেছে। সঙ্গে এ কথাও স্পষ্ট যে, বড়াল নদের এ মৃতপ্রায় অবস্থার পেছনে ব্যবস্থাপনাগত সমস্যা এবং নদী এলাকার ইচ্ছাকৃত যথেচ্ছ ব্যবহার মূল ভূমিকা পালন করেছে। একই সঙ্গে জনগণের সচেতনতা, দখলদারিত্ববিরোধী কঠোর আইন এবং এর প্রয়োগ একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। সার্বিক বিবেচনায় বড়াল নদকে পুনরায় প্রবহমান করার জন্য নিচের পরামর্শগুলো বিবেচনা করা যেতে পারে:
পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার স্থাপনাগুলো (রেগুলেটর/স্লুইস গেট) যথাযথভাবে পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ওপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়মিতভাবে প্রয়োজনীয় এবং সময়মতো অর্থায়ন করা আবশ্যক। প্রণয়নাধীন ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০-তে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে মোট বরাদ্দের ২৫ শতাংশ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা কার্যকর হলে রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বরাদ্দের অপ্রতুলতা থাকবে না মর্মে আশা করা যায়;
যথাযথ সমীক্ষা সম্পাদন করে স্থানীয় জনগণের গ্রহণযোগ্য মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে নদী ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম গ্রহণ করা;
সমন্বিত নদী ব্যবস্থাপনায় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। বিশেষ করে স্থাপনাগুলো সংরক্ষণ, নদীতীরে অবৈধ স্থাপনা তৈরি প্রতিরোধে সচেতনতা, নদীদূষণ প্রতিরোধে জনগণের অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় সরকারকে এসব বিষয়ে সম্পৃক্ত করা আবশ্যক;
জনগণের সহায়তায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নদী থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ পুনরুদ্ধার। নদীকে দখল ও হত্যা প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সরকারকে আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে;
নিয়মিতভাবে নদীর তলদেশ ড্রেজিং এবং নদীতীর সংরক্ষণকাজ সম্পাদন করতে হবে;
খননকৃত বালি/আবর্জনা নদীতীর থেকে যতদূর সম্ভব দূরে ফেলা প্রয়োজন। নিম্নাঞ্চল ভরাটের কাজেও এসব পলি/বালি ব্যবহার করা যেতে পারে। জাতীয়ভাবে এ-সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করা এখন জরুরি;
খননকৃত বালি/মাটি ইটের ভাটা ও অন্যান্য কাজে পুনর্ব্যবহারসংক্রান্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে;
বড়াল নদের উৎসমুখ অর্থাৎ চারঘাট এলাকায় নিয়মিত খনন এবং পদ্মা থেকে পানি উত্তোলনের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন;
চলনবিলে পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধিতে চলনবিলের খালগুলো পুনরুদ্ধারে নানা উদ্যোগ গ্রহণ। চলনবিলে পর্যাপ্ত পানি থাকলে তা বড়ালের নাব্যতা রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পানি সংরক্ষণাগার হিসেবে এসব নদী-খালকে ব্যবহার করতে হবে।
নদীকে তার স্বাভাবিক প্রবাহের সুযোগ দিতে হবে। স্বাভাবিকতা রক্ষা করে প্রয়োজনীয় নদী ব্যবস্থাপনাই হবে বড়ালের মতো সব নদ-নদীর বহমানতা পুনরুদ্ধারে কার্যকর উপায়। নদীগুলোকে বাঁচতে না দিলে কৃষি ও পরিবেশ বিপর্যয়ে সভ্যতার ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। নদীর কান্না না শুনলে কাঁদতে হবে সবাইকে। আমাদের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সব পরিকল্পনাই হতে হবে পরিবেশ, প্রতিবেশ ও পানি ব্যবস্থাপনার ওপর ভিত্তি করে, যেখানে নদীগুলোর সচলতা হতে হবে প্রধান বিবেচ্য বিষয়।
লেখক: সদস্য (জ্যেষ্ঠ সচিব), সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন
ডঃ শামসুল আলম সাহেবের শোনা বড়াল নদের কান্না তাঁর কলমে বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। বড়ালের কান্না যদি সকলকে নাড়িয়ে দিতে পারে, তবে বড়াল হয়ত অনিচ্ছাকৃত হত্যা থেকে বেঁচে যাবে। বাঙলাদেশের কাছে সে এক চ্যালেঞ্জ।
শুভেচ্ছা রইলো সেই সংবাদ শোনার।
লেখনীতে চিত্ররূপ তুলে ধরার জন্য আলম সাহেবকে ধন্যবাদ।