ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশ্বকাপ থেকে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের বিদায়

একটু ঘাম ছুটলেও ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত। – ছবি : সংগৃহীত

গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এমন বাজে ব্যাটিং পরাজয় ত্বরান্বিত করেছিল। পরে কানাডা ও আমিরাতের মতো দুর্বল দলের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লেখায় বাংলাদেশ। কিন্তু ইংলিশদের বিরুদ্ধে সেই ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ।

তা দেখা গেল শক্তিশালী ভারতের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে। একজন ছুঁতে পারল ৩০, দুজন ছাড়াতে পারলেন দুই অঙ্কের রান। আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের স্কোরটা টেনেটুনে ১১১।

এমন লক্ষ্য স্পর্শ করতে একটু ঘাম ছুটলেও ৫ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ভারত।

যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায়ঘণ্টা বাজল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের। যা বড়ই হতাশার। গত আসরে এই ভারতকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা। এবার সেই হারের শোধ তুলে ভারত চলে গেল যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার আগে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.১ ওভারে বাংলাদেশ অল আউট হয় মাত্র ১১১ রানে। জবাবে ভারত জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১১৫ বল হাতে রেখে, ৫ উইকেটে।

জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা ভারতকে শুরুতেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই তানজিম ফেরান ভারত ওপেনার হারনুর সিংকে। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ভারতকে ম্যাচে ফেরায় রাঘুভাংসি ও শেখ রশিদ। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৭০ রান পর্যন্ত। জয়ের ভিত্তি মূলত গড়ে দেয় এই জুটি। রিপন মন্ডলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে রাঘুভাংসি করেন ৪৪ রান।

এরপর ৯৭ রানের মধ্যে ভারত হারায় আরো তিন উইকেট। তিন উইকেটই নেন রিপন মন্ডল। ম্যাচে আসে বাড়তি উত্তেজনা। তবে ষষ্ঠ উইকেটে ভারত অধিনায়ক ইয়াশ ধুল ও কুশল টাম্বে ঠিকই দলকে নিয়ে যায় জয়ের বন্দরে। শেখ রশিদ করেন ২৬ রান। ইয়াশ ২০ ও কুশল থাকেন ১১ রানে অপরাজিত।

বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে রিপন মন্ডল নেন সর্বোচ্চ চার উইকেট। বাকি উইকেট পান তানজিম হাসান সাকিব।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দিশেহারা ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভার থেকে উইকেট পতন শুরু। ১৪ রানে পড়ে ৩ উইকেট। ৩৭ রানে নেই ৫ উইকেট। ৫৬ রানে ৭ উইকেট পড়ার পর মনে হচ্ছিল ১০০’র অনেক আগে অল আউট হয়ে যাবে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেষের দিকে মেহরব ও আশিকুরের ব্যাটে শতক পার করতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।

৪৮ বলে ছয়টি চারে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে মেহরবের ব্যাট থেকে। ১৬ রান করেন আশিকুর জামান। টপ অর্ডারের মধ্যে একমাত্র আইচ মোল্লা করেন ১৭ রান। বাকিদের রান ছিল দুই অঙ্কের নিচে। দুই ওপেনার মাহফিজুল (২) ও ইফতেখার (১) কিছুই করতে পারেননি। ওয়ান ডাউনে নামা নাবিল করেন ৭ রান।

আরিফুল ইসলাম ২৭ বলে করেন ৯ রান। ফাহিম রানের খাতা খুলতে পারেননি। অধিনায়ক রাকিবুল করেন ১৮ বলে ৭ রান।

বল হাতে ভারতের হয়ে রবি কুমার তিনটি, ভিকি দুটি, রাজভর্ধন, কুশল ও রাঘুভাংসি নেন একটি করে উইকেট।