ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশে যাওয়ার। এসএসসি পরীক্ষা শেষে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ হয় সন্তান। পরে জানতে পারেন, সন্তান গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর লাশটাও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ছেলে তামিম সিকদার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় বাবা ফারুক হোসেনের এমন অভিযোগ করেন।
ফারুক হোসেন বলেন, গত ২৬ জুলাই তৎকালীন সরকারের নির্দেশে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য প্রকাশ্য দিবালোকে বাইপাল মোড়ে গুলি করে তামিমকে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিতে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আন্দোলনের সহযোগীরা মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ কর্মী ও কিছু পুলিশ সদস্য মরদেহ নিয়ে যান।
তামিমের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলের লাশ আর ফেরত পাইনি। পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখি ছেলে তামিম সিকদারের লাশ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ও অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্যরা পরস্পরে যোগসাজশে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে।’
ফারুক হোসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের কাছে সন্তানের হত্যাকারী, হত্যার নির্দেশদাতা ও হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে নিশ্চিহ্নকারী অপরাধীদের শাস্তির দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নিখোঁজ তামিমের চাচা ফরহাদুল আলম, নাহিদ ইসলাম ও জামাল উদ্দিন, ভাই নাঈমুর রহমান, বন্ধু সানি আহমেদ ও সোহাগ আহমেদ।