বেকহামদের ছাড়িয়ে গেলেন বেলিংহাম

বেকহামদের ছাড়িয়ে গেলেন বেলিংহাম

সর্বশেষ এল ক্ল্যাসিকোতেই জয়ের নায়ক বনে যান জুড বেলিংহাম। ২০২৩ সালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দলটির ত্রাতার আসনে বসেন তিনি। এ পর্যন্ত লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে যে কয়েকজন ব্রিটিশ ফুটবলার মাঠে নেমেছেন, তাদের মধ্যে অভিষেক রাঙানোয় আগের সবাইকে পেছনে ফেলেছেন বেলিংহাম।

সব মিলিয়ে সাতজন রিয়ালের হয়ে ফুটবল খেলেছেন, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচিত যে দু’জন ডেভিড বেকহাম ও মাইকেল ওয়েন; তাদেরও টপকে গেলেন এই তরুণ। অভিষেকে তাঁর মতো এতটা রং ছড়াতে পারেননি কোনো ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত মাদ্রিদ খেলোয়াড়।

বেলিংহাম বুন্দেসলিগায়ও ছিলেন উজ্জ্বল। নিজের শেষ মৌসুমটা দারুণ কেটেছিল তাঁর। যদি না শেষ পর্যন্ত চোখের জলে ভিজে যায় শিরোপার স্বপ্নটা। এর পর রিয়ালে এসেই শুরুর দিকের ম্যাচগুলোতে দ্যুতি ছড়ান। এর পর মাঝে চোটের কারণে কিছুটা ছন্দে হেরফের হয়। এখন আবার চেনা রূপে ফিরেছেন বেলিংহাম।

চলমান মৌসুমে এখন পর্যন্ত রিয়ালের হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৬ ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। যেখানে ২১ গোলের পাশাপাশি অ্যাসিস্ট করেছেন ১০ বার। যদিও তাঁর মূল কাজ আক্রমণভাগে নয়। তবু অ্যাটাকিং মিডফিল্ড পজিশনকে বানিয়েছেন প্রতিপক্ষকে বশে আনার দারুণ এক হাতিয়ার হিসেবে। আক্রমণভাগের সতীর্থদের সহায়তা নিয়ে প্রায় ম্যাচে রক্ষণ চুরমার করে দেন তিনি। যার ফলও তাঁর দল রিয়াল পাচ্ছে হাতেনাতে। লিগে এখন রিয়াল আছে শিরোপার শক্ত অবস্থানে। আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা চেনা পথে। দুই-দুইটি শিরোপার পথে এতদূর আসার পেছনেও বেলিংহামের অবদান অনেকখানি। ৩৬ ম্যাচের মধ্যে আটটিতেই ম্যাচ উইনিং গোল করেছেন তিনি।

সামনের ম্যাচগুলো আরও গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোতে যদি বেলিংহাম আলো ঠিকঠাক পায় রিয়াল, তাহলে হয়তো হতাশ হওয়ার কোনো জায়গা থাকবে না তাদের। কোচ কার্লো আনচেলত্তিও তাঁকে সেভাবে ব্যবহার করতে চাইবেন। তার আগে বেকহাম-ওয়েনদের নিয়েও রিয়ালে কম হইচই হয়নি। তখন অভিষেক থেকেই এই দু’জনকে নিয়ে আলোচনার রেণু ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এতদিন পর যে তাদের টেক্কা দেওয়ার মতো কেউ আসবেন, সেটা হয়তো অনেকে ভাবেনওনি।

samakal

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here