বুয়েটে জঙ্গিবাদের কারখানা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখছি: ওবায়দুল কাদের

বুয়েটে জঙ্গিবাদের কারখানা হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখছি: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ঘটনার তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কিনা, সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এ রকম কিছু পাওয়া গেলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।

রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে চট্টগ্রাম বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এতে দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় টিমের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও বিভাগটির সাংগঠনিক জেলাগুলোর নেতারা এবং দলীয়, স্বতন্ত্র এমপিসহ জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে সেদিন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আর আমি রাজনীতি করি বলে বুয়েটে যেতে পারব না, এটা কোন ধরনের আইন? কোন ধরনের নিয়ম?

শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডেও নেতাকর্মীর দণ্ড হয়েছে। এসবের বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে এগিয়ে চলছি।

উপজেলা নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সেতুমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। ইসি যদি কোনো অনিয়ম মনে করে তারা ব্যবস্থা নেবে। আর আমরা এমপি-মন্ত্রীরা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকলে বিনা প্রতীকে নির্বাচন করার নেত্রীর উদ্দেশ্যটা সার্থক হবে। কেউ ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না। যার নির্বাচন করার ইচ্ছা আছে করবেন, সেই স্বাধীনতা আছে। জনগণ যাকে ইচ্ছা নির্বাচিত করবে।

তিনি বলেন, সেই পাকিস্তানি আমল থেকে যে ভাষায় আইয়ুব খান কথা বলেছেন, আজ সেই ভাষায় কথা বলছে বিএনপি। ভোটে পরাজিত হয়ে তাদের সব ইস্যুই মার খেয়েছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতবিরোধিতা। রিজার্ভ নিয়েও বিএনপি মিথ্যাচার করছে।

বাজারদর নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাজার ওঠানামা করবেই। বিশ্ব সংকট এর জন্য দায়ী।

স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিতর্কের জবাবটা আমরা মোটা দাগে বলি– পাঠক কখনও ঘোষক হতে পারেন না।

দলের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি গঠন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলন করে সেখানে কমিটি গঠন করা হবে। ঢাকা থেকে প্রেস রিলিজ দিয়ে কেন কমিটি গঠন করতে হবে?

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।

সমকাল