‘বিশ্বকাপ শেষ হলে হতাশ হোন, মন ভরে হতাশ হোন’

বাংলাদেশের সেমিফাইনালে খেলার ক্ষেত্রে এখনো ‘খুব ভালো সুযোগ’ আছে বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেছেন, অন্যান্য দল সহায়তা করছে তাঁদের, এখন নিজেদের কাজটি করার পালা। এত তাড়াতাড়ি হতাশ হলে চলবে না বলেও মনে করেন তিনি।

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ম্যাচের আগে ৪ ম্যাচে ১ জয় পাওয়া বাংলাদেশ পয়েন্ট তালিকায় ছিল ছয় নম্বরে। অবশ্য ছয় থেকে দশ নম্বরে থাকা পাঁচটি দলেরই ২ পয়েন্ট করে এখন। সবারই বাকি ৫টি করে ম্যাচ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে গেলে কার্যত বাকি সব ম্যাচই জিততে হতে পারে বাংলাদেশকে।

প্রথম ৪ ম্যাচে মাত্র একটি জেতা দলের জন্য সেটি যে বেশ কঠিন, তা আলাদা করে বলতে হয় না। তবে সাকিব পেছনের ম্যাচের দিকে ফিরে তাকাতে চান না, ‘আমাদের ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। বিশ্বকাপে আগের ম্যাচে জিতলেন না হারলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। নির্দিষ্ট দিনে কে পারফর্ম করছে সেটিই ব্যাপার।’

দক্ষিণ আফ্রিকার উদাহরণ টেনে তিনি বলেছেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়তে দেখেছি, আবার নেদারল্যান্ডসের কাছে হারতে দেখেছি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবার দুর্দান্ত খেলেছে। এর মানে এসব ব্যাপার ক্রিকেটে হয়, বিশেষ করে বিশ্বকাপে। যেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে চাই, সেভাবেই করব। নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চাই। এরপর দেখব আমরা কোথায় আছি।’

তবে সব মিলিয়ে এ ম্যাচ যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, সাকিব জানেন সেটি, ‘স্বাভাবিকভাবেই অনেক ভালো খেলতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকা ৪টির ৩টি জিতেছে, ওরা অনেক ভালো অবস্থানে আছে। তবে যেটি বললাম, এটার মানে এই না যে সব শেষ। ৫টি ম্যাচ আছে, কাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। জিততে পারলে মোমেন্টাম পেয়ে যাব, খুবই ভালো অবস্থানে চলে আসব। যদিও খুব একটা ম্যাচ জিতিনি, তবে পয়েন্ট তালিকা দেখলে খুব একটা বাজে অবস্থায় নেই (হাসি)।’

সাকিব তাই সেমিফাইনালের আশা ছাড়েননি এখনো, ‘ওই সম্ভাবনা তো এখনো আছে। আমরা না পারলেও অন্যরা আমাদের সহায়তা করছে। ওইরকম যদি হতেই থাকে, আর আমরা যদি নিজেদের একটু সহায়তা করতে পারি, স্বপ্ন সত্যিও হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি দেখেন, এখনো খুব ভালো সুযোগ আছে আমাদের। এত তাড়াতাড়ি হতাশ হবেন না। শেষ হলে হতাশ হোন। মন ভরে হতাশ হোন। কোনো সমস্যা নেই।’

এমন অবস্থানে দলকে উজ্জীবিত করার কাজটিও সহজ হওয়ার কথা নয়। তবে সাকিব বলছেন, সেটির দরকারও নেই, ‘মনে হয় না, বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে কাউকে অনুপ্রাণিত করার দরকার আছে। সবারই নিজস্ব অনুপ্রেরণা আছে। যার যার জায়গা থেকে ভালো করছে। সমন্বিতভাবে ভালো করতে পারিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কয়েকজন ভালোই করেছে। এগুলো আরেকটু ভালো হলে সমন্বিতভাবে আরও ভালো করতে পারতাম।’

প্রথম আলো