বিশ্বকাপ বাছাই : বাংলাদেশের উন্নতি কতটুকু?

Daily Nayadiganta


ফুটবল ফেডারেশন বা ফিফার সদস্য পদ লাভ ১৯৭৪ সালে। এরপর বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব খেলতে বাংলাদেশের লেগেছে ১১ বছর। অর্থাৎ ১৯৮৬-এর বিশ্বকাপ আসরের বাছাই পর্বে লাল সবুজদের অভিষেক। এরপর ২০০৬, ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে খেলার যোগ্যতা হারায় বাংলাদেশ। ছিটকে পড়া প্লে-অফ থেকেই। বাছাই পর্বে জয়ের দেখা নেই গত ২০ বছরে।

এবার নামের পাশে দুই পয়েন্ট যোগ হওয়ায় সুযোগ মিলেছে প্লে-অফ এড়িয়ে ২০২৩ এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে খেলার। এই নিয়েই আপাতত তৃপ্তি খোঁজার চেষ্টা বাংলাদেশ ফুটবল দলের। গতবারের চেয়ে এক পয়েন্ট তো বেশি। কিন্তু আসলে কতটুকু এগিয়েছে বাংলাদেশের ফুটবল? সেই প্রশ্ন আসতেই পারে।

২০০১ ভিয়েতনামের সাথে গোলশূন্য ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সেই ভিয়েতনাম এবার বাছাই পর্বের ফাইনাল রাউন্ডে উঠেছে। আর লাল সবুজরা গ্রুপের সবার নিচে।
১৯৮৫ সালে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ বিশ্বকাপের বাছাই পর্বে বাংলাদেশের দুই জয়। ১৯৯৩ সালে অনুষ্ঠিত ১৯৯৪ বিশ্বকাপ বাছাইয়েও তাদের দুই জয় ছিল। তবে আগের আসরের মতো ভিন্ন দুই দলের বিপক্ষে নয়। ’৮৫-তে নিজ মাঠে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হলেও ’৯৩ সালে বাংলাদেশের দুই জয় দুই পর্বে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তা জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাঠে।

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স এই দুই আসরেই। তবে গ্রুপে তৃতীয় হতে পেরেছে ১৯৯০ আর ২০০২-এর বাছাইয়ে। এরপর এখন পর্যন্ত বাছাইয়ে পাঁচ দলের মধ্যে তলানীতেই অবস্থান বাংলাদেশের।

এ পর্যন্ত বাছাই পর্ব ৪৮ ম্যাচে বাংলাদেশের জয় মাত্র সাতটিতে। ১৯৮৫ সালে ইন্দোনেশিয়া (২-১) ও থাইল্যান্ডের (১-০) বিপক্ষে জয়। ১৯৮৯ সালে থাইল্যান্ডকে (৩-১) পরাজিত করে। ১৯৯৩ সালে দুই জয়ের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা (১-০, ৩-০)। ১৯৯৮ সালের বাছাই পর্বে বিজয়ের হাসি চীনা তাইপের বিপক্ষে (২-১)। এরপর সর্বশেষ জয় ২০০১ সালে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে (৩-০)।

২০১৪-এর বাছাইপর্বের আগে প্লে-অফ আদলে প্রথম রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ ও দ্বিতীয় রাউন্ডে ২-০-তে জয় লেবাননের বিপক্ষে। ২০১৯ সালে প্লে-অফে লাওসের বিপক্ষে ১-০-তে জয়।

১৯৮৯ ও ২০০১ সালে চার দলের গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। ১৯৮৫ ও ১৯৯৮ সালে চার দলের গ্রুপে চতুর্থ, ১৯৯৩ সালে পাঁচ দলের গ্রুপে চতুর্থ, ২০১৮ ও ২০২২-এর বাছাই পর্বে পাঁচ দলের গ্রুপে তলানীতেই অবস্থান বাংলাদেশের।

৪৮ ম্যাচে জয় সাতটিতে, ড্র পাঁচটিতে
দুই জয় ১৯৮৬ ও ১৯৯৩ এর বাছাই পর্বে
গ্রুপে তৃতীয় হওয়া ১৯৯০ ও ২০০২-এর বাছাই পর্বে
গ্রুপে চতুর্থ : ১৯৯৪ সালে আর গ্রুপে তলানীতে ১৯৮৬, ১৯৯৮, ২০১৮ ও ২০২২ বাছাই পর্বে।