- রিন্টু আনোয়ার
- ০৬ মে ২০২২, ২১:৫৭
বৈশ্বিক মহামারীর আকার ধারণ করা করোনাভাইরাস এখন আমাদের দেশে ‘যাই যাই’ অবস্থায়। দেশের মানুষ এই ভাইরাসের কথা দিন দিন ভুলে যাচ্ছে বলে প্রচার আছে। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই বছর দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু হয়েছিল ৬৪ জনের। পরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়তে থাকে। এক দিনে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ২৩০ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দিনে ২০০ ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে আগস্ট মাসের এক-দু’দিন ২৬৪ জনেরও মৃত্যু হয়, যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এরপর বেশ কিছু দিন দুই শতাধিক করে মৃত্যু হয়েছে। সেই সময় দেশে করোনা এক প্রকার মহামারীর আকার ধারণ করে। ২০২০ সালের এপ্রিলের পর ২০২১-এর ১৯ নভেম্বর প্রথম করোনাভাইরাসে ‘মৃত্যুহীন দিন’ পায় বাংলাদেশ। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণেই ছিল; কিন্তু এর মধ্যেই বিশ্বে শুরু হয় ওমিক্রনের ঝড়। দৈনিক শনাক্তের হার ৩ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ছড়াতে থাকে। ফলে সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যায়। অবশ্য কিছু দিনের মধ্যেই ওমিক্রনের ঝড়ও কমতে শুরু করে। পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাপনায় উল্লেøখযোগ্যসংখ্যক মানুষ করোনাভাইরাসের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ টিকার আওতায় চলে আসে, এখনো সেটি চলমান। ফলে দেশে ভাইরাসের পরিস্থিতি এখন প্রায় নিয়ন্ত্রণে।
আনুষ্ঠানিক না হলেও বা কর্তৃপক্ষীয় ঘোষণা না এলেও দেশের মানুষ এখন মোটামুটি করোনাকে গুডবাই দিয়েছে। করোনা গুডবাই দিয়েছে কি না তা করোনাই জানে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, প্রায় ৯০ শতাংশ করোনায় সংক্রমিত রোগীই এখন হাসপাতালের চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে, এখন প্রায়ই করোনায় মৃত্যশূন্য দিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। কোনো দেশের জন্য এটি কত আশীর্বাদের তা অল্পতে বলে শেষ করার মতো নয়।
কিন্তু এর মাঝে হঠাৎ রাজধানীসহ সারা দেশে শুরু হয় ডায়রিয়ার হানা, যা একপ্রকার বিপদ কেটে যেন আপদের মতো উপস্থিত। প্রায় এক দেড় মাস ধরে রোগীর বেদম চাপ ঢাকার মহাখালীর ‘কলেরা হাসপাতাল’ নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ-আইসিডিডিআর,বিতে।
আইসিডিডিআর,বি সূত্র মতে, গত ১৬ মার্চ থেকে এ যাবৎ প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ রোগী ভর্তি হয়েছে এবং প্রতিদিন গড়ে এক হাজার ৭০০ থেকে এক হাজার ৮০০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড তৈরি হয়েছে। প্রায়দিন প্রতি মিনিটে দু’জন রোগী এখানে এসেছে। রোগীর চাপ সামলাতে আইসিডিডিআর,বি প্রাঙ্গণে কয়েকটি তাঁবু টানানো হয়েছে। রোগীদের ছয় থেকে আট ঘণ্টা চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ছেড়ে দেয়া হয়েছে যেন অন্যদের চিকিৎসা দেয়া যায়। আইসিডিডিআর,বি হাসপাতালে বছরের অন্যান্য সময় ৪০০ থেকে ৬০০ রোগী থাকে।
প্রতিষ্ঠানটিতে বিগত ৬২ বছরে রোগীর এমন চাপ দেখা যায়নি বলে উদ্বেগ ও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন আইসিডিডিআর,বি সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা। আরো শঙ্কার খবর হচ্ছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ২৩ শতাংশের মধ্যেই মিলছে কলেরার জীবাণু। এর মূল কারণ দূষিত পানি। অবস্থা এবারের মতো ভয়াবহতায় না গেলেও প্রতি বছরই এই মৌসুমে ডায়রিয়া রোগী সাধারণত বাড়ে। গরমের মধ্যে পানির চাহিদা বাড়লে পানিবাহিত এই রোগটির প্রকোপ দেখা যায়। আইসিডিডিআর,বির সেই আলোকে প্রস্তুতিও থাকে; কিন্তু এবার পরিস্থিতি ধারণাকে ছাড়িয়ে গেছে। এবার আগের হিসাব বা ধারণা মিলছে না। পুরনো মহামারীর নতুন করে আবির্ভাব ঘটলে ভয়াবহতা বেশি হয়। কলেরা নিয়ে বেশি শঙ্কা এখানেই। প্রথম দিকে রোগী বেশি ছিল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মোহাম্মদপুর ও দক্ষিণখান এলাকার। পরে সেখানে যোগ হতে থাকে ঢাকার আশপাশের এলাকার মানুষ। এর মাঝে গবেষণার বিস্তর উপাদান রয়েছে। এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গুজ্বর নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভর করেছিল বৈশ্বিক মহামারী করোনা। এর যাই যাই অবস্থায় হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ। সাথে কলেরার জীবাণু। হঠাৎ কেন ডায়রিয়ার প্রকোপ বা ঢাকাসহ আশপাশ কেন এর হটস্পট- এ-সংক্রান্ত গবেষণা চোখে পড়ে না। যদি থাকে, গবেষণার আওতা আরো বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ভাইরাস নামের অদেখা জীবাণু নতুন নয়। কলেরা, অ্যানথ্রাক্স, পীতজ্বর, গুটিবসন্ত, ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, প্লেগ ইত্যাদি মহামারী পৃথিবী ওলটপালট করে দিয়েছে। একসময় দেশে দেশে কলেরা মহামারীতে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তা মোকাবেলাও হয়েছে। তবে, কোনোটি ফিরে এলে ভয়টা বেশি দেখা দেয়। কলেরা নিয়েও সে ধরনের কিছু আতঙ্ক কাজ করে। কলেরার মহামারী শুরু ১৮০০ সালের শুরুর দিকে। তখন এ দেশে একে ডাকা হতো ‘ওলা বিবি’ নামে এবং বলা হতো ওলা বিবি যেই গ্রাম দিয়ে যায় সেই গ্রামকে নিঃস্ব করে দিয়ে যায়। এর একমাত্র কারণ হলো- এই রোগ নিয়ে সে সময়ের অজ্ঞতা।
কলেরা মূলত একটি পানিবাহিত রোগ। এর পেছনে দায়ী ‘ভিবরিও কলেরা’ নামের ব্যাক্টেরিয়া যা পানি এবং খাবারকে দূষিত করে আক্রান্ত ব্যক্তির মলের মাধ্যমে। এখন কলেরার সেই ভয়াবহতা না থাকলেও, টিকাসহ এর দাওয়াই থাকলেও, সমীক্ষায় কিন্তু বাজে তথ্য দিচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষানুযায়ী প্রতি বছর ২১ হাজার থেকে এক লাখ ৪৩ হাজার লোক মারা যাচ্ছে কলেরায়। সূচনাকাল থেকে এখন পর্যন্ত কলেরার সাতবার মহামারীতে বিশ্বে প্রায় চার কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উনিশ শতকে এর ভয়াবহতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল, একমাত্র রাশিয়ায়, ১৮৪৭-১৮৫১ সালের মধ্যে ১০ লাখেরও বেশি লোক এই রোগে মারা গিয়েছিল। ১৯০০ এবং ১৯২০ সালের মহামারীতে ৮০ লাখের মতো মানুষ মারা গিয়েছিল ভারতে। এ ছাড়াও এর ভয়াবহতার কবলে পড়েছে চীন, ইন্দোনেশিয়াসহ এশিয়ার অনেক দেশ। ইয়েমেনে ২০১৭ সালে এই কলেরার কারণে মাত্র এক সপ্তাহে ১১৫ জনের মৃত্যু হয়। কলেরার মহামারী দেখা গিয়েছিল ২০১০ সালে, ভয়াবহ এক ভূমিকম্পের পর হাইতিতে কলেরায় প্রায় আট লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল এবং সেই মহামারীতে ৯ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। কলেরার একমাত্র চিকিৎসা শরীরের হারিয়ে যাওয়া তরল এবং খনিজ পুনরায় শরীরে ফিরিয়ে আনা।
আপাতদৃষ্টিতে বিদায় হওয়া করোনাভাইরাসের চিকিৎসা আসতে সময় লেগেছে খুব কম। এত কম সময়ে বিশ্বে আর কোনো মহামারীর চিকিৎসা বা প্রতিষেধক আসার নজির নেই। প্লেগ, স্প্যানিশ ফ্লু, যক্ষ্মা, গুটিবসন্তের টিকা পেতে যুগের পর যুগ চলে গেছে। কলেরার দাওয়াই খুঁজতেও তাই; রোগটির কারণ জানতেই লেগে গেছে বছরের পর বছর। উনিশ শতকে বিভিন্ন দেশে কলেরায় লাখ লাখ লোকের মৃত্যুর সময় বিজ্ঞানীদের জন্য বিশাল এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়, এর বিস্তারের রহস্য ভেদ করা। চিকিৎসকরা রীতিমতো হিমশিম খেয়েই গেছেন। ভিক্টোরিয়ান যুগের মানুষ তখন মনে করত দুর্গন্ধময় বাতাসের মাধ্যমে কলেরা ছড়ায়। সেই সময় ব্রিটিশ চিকিৎসক জন স্নো প্রথম ধরতে পারেন কলেরার জীবাণু সংক্রমিত পানির মাধ্যমে ছড়ায় রোগটি। সহজসাধ্য ছিল না তার সেই তত্ত্ব প্রমাণ দাঁড় করানো। দীর্ঘ গবেষণা ও চর্চায় কলেরা বিদায় হয়েছে দুনিয়া থেকে। কলেরা নিয়ন্ত্রযোগ্য বিবেচিত হওয়ার পর এর নাম দেয়া হয়েছে ‘ডায়রিয়া’। খাবার স্যালাইন নামের সামান্য শরবত বা পানীয়তেই সেরে যাচ্ছে এই রোগ। এর মূল দাওয়াই হচ্ছে বিশুদ্ধ পানি।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, মানবদেহের ৭৫ শতাংশই পানি। মানুষের পরিপাক, সংবহন, পুষ্টিকণা পরিবহন, খাদ্য শোষণ, বিপাক, তাপমাত্রা ও ভারসাম্য রক্ষাসহ শরীরে পানির প্রয়োজন হয়। জাতিসঙ্ঘের ভাষ্য অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ৯ জনে একজন বিশুদ্ধ ও পরিষ্কার পানির আওতায় নেই। সংস্থাটির এই বক্তব্যকে সমর্থন করে জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, পরিবেশ ও জলবায়ুদূষণে শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। ফলে এখানেও নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট রয়েছে। কিন্তু পানিবাহিত রোগে ক্ষতিগ্রস্তদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই।
রাজধানীতে প্রায় শতভাগ মানুষের ‘নিরাপদ’ পানির উৎস ওয়াসা (ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ)। ওয়াসা তাদের পানিকে ‘নিরাপদ’ বললেও প্রতিদিন নানাভাবে তা দূষণের শিকার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে পানি ফুটিয়ে পান করলেও তা যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ায় নানা ধরনের রোগ সংক্রমণের ঝুঁঁকি বাড়ছে। ফলে ‘নিরাপদ’ পানির নামে দূষিত পানি পান করছে নগরবাসী।
কেন এ বছর কলেরা-ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে? ওয়াসার পানি কি কোনোভাবে এই বিপদের জন্য দায়ী? উত্তর না পাওয়া গেলেও বিশেজ্ঞদের মতে, বর্তমানে ওয়াসার পানি মাত্রাতিরিক্ত এত বেশি দূষিত যা সরাসরি পান করা বিপজ্জনক। দফতরটি যে পদ্ধতিতে বাসাবাড়িতে পানি সরবরাহ করে সেখানে ব্যবস্থাপনাজনিত অসঙ্গতিতে পানি দূষিত হচ্ছে যা পান করে মানুষ দিন দিন রোগাক্রান্ত হচ্ছে। ফলে ওয়াসার শোধনাগারে বিশুদ্ধ পানি থাকলেও মানুষের রান্নাঘর পর্যন্ত পৌঁছাতে গিয়ে তা নানাভাবে দূষিত হচ্ছে। ফলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশুদ্ধ বা নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার বিষয়টি বরাবরই উপেক্ষিত থাকছে।
বিশেষজ্ঞরা আরো মনে করেন, নিরাপদ পানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ হলো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া মুক্ত থাকা। ওয়াসার পানি অভিসরণের মাধ্যমে কঠিন ধাতু, আর্সেনিক পিএইচ মোটামুটি গ্রহণযোগ্য মাত্রায় পাওয়া গেলেও এ পানিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওয়াসার পানি মূলত সরবরাহ অব্যবস্থাপনায় স্যুয়ারেজ থেকে দূষিত বেশি হয়। তাদের সরবরাহ করা পানি আয়রন, দ্রবীভূত ধূলিকণা জমে পাইপলাইন ক্ষয় করে বাসাবাড়িতে যাচ্ছে। ফলে পানিতে দূষণ ও দুর্গন্ধ হচ্ছে।
কেবল বিশেষজ্ঞরাই নন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বলেছেন, নগরীতে দূষিত পানির কারণেই কলেরার বিস্তার ঘটেছে। তা ছাড়া রাজধানীতে ডায়রিয়া-প্রবণ সব এলাকাতেই পানির সমস্যা প্রকট। ময়লা, পোকা ও দুর্গন্ধে ওয়াসার পানি মুখে নেয়াই দায়। ওয়াসার দূষিত পানিকেই পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ার সবচেয়ে বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা; কিন্তু ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান তা মানতে নারাজ। খাওয়ার জন্য বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলেও তিনি সাফল্যের গল্প শোনাচ্ছেন সমান তালে। বহু বছর একই পদে থেকে কেবল শুনিয়েই যাচ্ছেন। এই কঠিন সময়েও তিনি ‘ড্রিংকিং’ আর ‘ড্রিঙ্কেবল’ ওয়াটারের তফাত বোঝাচ্ছেন। অথচ ওয়াসার পানি ব্যবহার করা রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষের অভিযোগ, চাপকলে আসা ওয়াসার শোধন করা পানি ব্যবহার করেন তারা। কিন্তু ওই পানিকে এখন মুখে দেয়া দূরে থাক ধোয়ামোছার কাজেও অযোগ্য। তাই এলাকার বেশির ভাগ বাসাবাড়িতেই দুর্গন্ধযুক্ত পানি ছাড়া বিকল্প নেই। এভাবেই চলে আসছে দিনের পর দিন। ফলে পোকা, ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহারের পর প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেÑ আছে অনেকেই। এই দূষিত পানি ব্যবহার করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ৮০ শতাংশ মানুষ এখন ডায়রিয়াজনিত অসুস্থতায় ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক এলাকার ফার্মেসিগুলোতে ওষুধ এবং খাবার স্যালাইনের সঙ্কট পড়ে গেছে। কাজেই এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সর্বাত্মক আন্তরিক পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা।