কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ জারি করা হয়। আর উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। কেন ও কারা এসব বিক্ষোভ করেছেন, তা জানতে বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে দৈনিক প্রথম আলো এই খবর প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদেন বলা হয়, বিশ্বের নানা প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের কূটনীতিকেরা সেখানকার সরকারের কাছ থেকে বিক্ষোভের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করবেন। এরপর ওই তথ্য ঢাকায় পাঠাবেন।
মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি কয়েকটি পশ্চিমা দেশ, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বাংলাদেশ মিশনের আশপাশে বিক্ষোভ হয়েছে।
এ ব্যাপারে সরকারের কাছে তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বৃহস্পতিবার বিকেলে বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিক্ষোভ হয়েছে, এমন খবর আমরা জেনেছি। তাই বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোয় চিঠি পাঠিয়েছি। আমরা জানতে চেয়েছি কারা, কী বিষয়ে বিক্ষোভ করছে। এ নিয়ে মিশনগুলো যে দেশে কাজ করে, সেখানকার সরকারের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আমাদের জানাবে।’
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এতদিন আমরা আমাদের মিশনগুলোর মাধ্যমে এখানকার পরিস্থিতি তাদের অবহিত করেছি যাতে তারা তাদের দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত গুজব ও অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়। এবার আমরা তাদের সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছি।’
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি বাংলাদেশ মিশনগুলোয় অন্তত ছয়টি চিঠি পাঠিয়েছে।পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দূতাবাসগুলোর সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার থেকে মূল যোগাযোগ বন্ধ ছিল (ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায়)। দিল্লির মাধ্যমে বা বিভিন্ন জায়গা হয়ে মিশনগুলোকে অবহিত করা হয়েছে। দেশের শেষ সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মিশনগুলোকে নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানানো হচ্ছে। মিশনগুলোর প্রতি প্রধান নির্দেশনা হচ্ছে, প্রবাসীরা যাতে গুজব ও বিভ্রান্তির শিকার না হন। প্রায় প্রতিটি চিঠিতেই মিশনগুলোকে দায়িত্ব পালনরত দেশের সরকারের সঙ্গে যুক্ততার পাশাপাশি সেখানকার চিন্তক প্রতিষ্ঠান, গবেষক ও বিদেশি গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন এসেছে। সেই প্রতিবেদনের পাল্টা হিসেবে আমাদের বক্তব্য যাতে তুলে ধরে, সেটি চিঠিতে বলা হয়েছে।’
Bangla Outlook