২১ জুলাই ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতদের যৌথ বিবৃতি নিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদের পর একহাত নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বললেন, বিদেশী রাষ্ট্রদূতদেরকে গণমাধ্যম গুরুত্ব দেয় বলেই তারা নিজেদেরকে বাংলাদেশের সম্রাট মনে করেন। দলবেঁধে মন্তব্য করে বেড়ান। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এমনটা দেখা যায় না।
ঢাকা ১৭ আসনে ফ্যাসিবাদী স্টাইলে অনুষ্ঠিত ভোটারবিহীন উপ-নির্বাচনের দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনাসহ সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ১৩ রাষ্ট্রদূতের যৌথ বিবৃতি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন একথা বলেন।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি সিলেটের উদ্যোগে নগরের পূর্ব শাহী ঈদগাস্থ একাডেমি মিলনায়তনে সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আবদুল মোমেন।
আবদুল মোমেন বলেন, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪০ জন মারা গেলো। একটা দেশও কথা বলেনি। আমাদের দেশে কে কী করলো সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার। এটি অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ। যা জেনেভা কনভেনশনের ধারেকাছেও নেই। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ বলে তারা এটা করে।
তারা নিজেদের মধ্যম আয়ের দেশ বলে চিৎকার করলেও এখন মোমেন নিজেই বলছেন, গরীব দেশ বলে বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা সরকারের কর্মকাণ্ডে যৌথ বিবৃতি দিচ্ছে। এছাড়া এক সময় তাদেরকে দেখা গেছে ক্ষমতার জন্য বিদেশীদের পেছনে দৌড়াতে এবং তিনি নিজেই ঘোষণা দিয়ে বলেছিলেন ইন্ডিয়া গিয়ে বলে এসেছেন শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য। অথচ, এই আবদুল মোমেনই এখন বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের বিবৃতি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করলেন।