বিদেশি চাপ সামলাতে সরকারের দিশাহারা অবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তাঁরা বলেন, মিথ্যাচার করে ধরা খেয়ে সরকারের লেজে–গোবরে অবস্থা। বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার স্বপ্ন তাদের পানসে হয়ে গেছে। বিএনপিকে ‘মাইনাস তারেক’ করে সমঝোতায় যাওয়ার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে সরকার চোখে এখন শর্ষে ফুল দেখছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে বিএনপি ঘোষিত অবরোধের সমর্থনে আয়োজিত এক সমাবেশে জোটের নেতারা এসব কথা বলেন। এর আগে অবরোধের সমর্থনে ওই এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিরোধীদের মিথ্যা অপবাদ ও অভিযোগ দিয়ে জেলে ভরে রেখে একা নির্বাচন করার খেলা দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে না বিধায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখানোর উদ্দেশ্যে সরকার এখন বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভয়ভীতি ও লোভলালসা দেখিয়ে নির্বাচনে আনার অশুভ খেলায় মেতে উঠেছে।
গত ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকেও সরকার জনগণের মন জয় করতে পারেনি বলে দাবি করেন নেতারা। অভিযোগ করে তাঁরা বলেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় থেকে বাঁচার জন্য সরকার একের পর এক নোংরামি করে অস্তিত্ব রক্ষার উপায় খুঁজছে। নিজেরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ হত্যা করে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে। আওয়ামী লীগ পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগে থেকে মহড়া দিয়ে মহাসমাবেশের দিন নাটক মঞ্চস্থ করেছে।
নেতারা আরও বলেন, দেশ ও জনগণের সেবায় মনোযোগ না দিয়ে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, বাজার সিন্ডিকেট এবং ব্যাংক লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করে দেশটাকে ফোকলা বানানো হয়েছে। জনমত এখন সম্পূর্ণ সরকারের বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় বিএনপির একটি বড় অংশকে ভাগিয়ে এনে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সরকার যা–ই করুক, রক্ষা পাবে না। দিন শেষ হয়ে এসেছে। এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সব বন্দীকে মুক্তি দিয়ে হয় সমঝোতায় শেষ সুযোগ গ্রহণ করতে হবে। নতুবা দেশ ছেড়ে পালানোর উপায় খুঁজতে হবে। সরকারের সামনে তৃতীয় কোনো পথ খোলা নেই।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নোয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন প্রমুখ।
প্রথম আলো