- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৯ জানুয়ারি ২০২৩, ২০:২০
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করব। আমরা অঙ্গীকার করছি, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই, ইনশাআল্লাহ।’
আজ সোমবার রাতে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে এসে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে আজই সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। সেখান থেকে বের হয়ে নয়াপল্টনের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তারা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে সরকার। তারা ভেবেছিল গ্রেফতার করে কারাগারে আটকে রেখে, অফিস ভাঙচুর করে, হত্যা করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে তারা স্তব্দ করে দেবে। কিন্তু তারা কি পেরেছে? আন্দোলন আরো শক্তিশালী হয়েছে, আরো বেগবান হয়েছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা যেখানে সমাবেশ করেছেন সেখানে লাখ লাখ লোক উপস্থিত হয়েছে। গণমিছিল করেছেন, সেখানে লোকে ঢাকা সয়লাব হয়েছে। গোটা বাংলাদেশ প্রতিবাদের ঝড়ে কম্পিত হয়েছে। আমাদেরকে হত্যা, আটক করে, গ্রেফতার করে দমন করতে পারবে না। এদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করব। আমরা অঙ্গীকার করছি, বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা চলতেই থাকবো (আন্দোলন চালিয়ে যাব), চলতেই থাকবো ইনশাআল্লাহ।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা সরকারকে বারবার বলেছি আমরা একটা বিভাগীয় সমাবেশ করব, অন্য বিভাগগুলোর মতো। এটা অন্য কোনো সমাবেশ না। কিন্তু সরকার কেন জানি ভীত হয়ে গেল! আমরা নাকি বসে পড়ব রাস্তায়।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সরকার পক্ষকে বলেছিলাম, আপনারা পছন্দমতো আমাদের একটা জায়গা দেন। আমরা সেখানে সমাবেশ করব। কিন্তু সরকার তা দিতে পারেনি।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘সরকার চেয়েছিল সমাবেশ আমরা যেন পল্টনেই করি। জোর করেই করি। তারা একটা মারামারি করে বিএনপির ওপরে দোষারোপ করবে। আমি চেয়েছিলাম কোনো সংঘাত নয়, শান্তিপূর্ণ একটা সমাবেশ হবে। সরকারকে যে সংঘাতের সুযোগ দিলাম না এটাই আমার অপরাধ। আমরা চেষ্টা করেছি সংঘাত এড়িয়ে সমাবেশ করার।’
এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।