11 June, 2022 Shipping Express BD
বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ৩৩ একক রপ্তানি পণ্যভর্তি কন্টেইনার চারদিন ধরে পড়েছিল। আল রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্সে তৈরী এই বিপদজনক রাসায়নিক গত ১ জুন ডিপােতে পৌঁছে। ডিপােতে প্রবেশের সময় কাস্টমসের অনুমতি নিয়ে সেই রাসায়নিক ডিপােতে প্রবেশের কথা। কিন্তু কাস্টমসের রেজিস্ট্রারে সেটি নিবন্ধিত নেই। ফলে এই পণ্যের সঠিক গন্তব্য দেশ কোথায় তা নিয়েও দুই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।
মুলত পণ্যের তৈরীকারক প্রতিষ্ঠান এবং বিএম কন্টেইনার ডিপো দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক একই চট্টগ্রামভিত্তিক স্মার্ট গ্রুপ। এই কারণে তারা এই বাড়তি সুবিধা পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আল রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্সের নামে গত মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ভর্তি কন্টেইনার রপ্তানি হয়। সেগুলো মায়ের্কস লাইনের জাহাজে করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভিয়েতনামের হোচিমিন বন্দর পৌঁছে বিপদজনক কন্টেইনার রাখার শেডে রাখা হয়। এর কয়েকদিন পরই সেই বন্দরে একটি কন্টেইনার বিস্ফোরন ঘটে। সেই বন্দরে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। এই অবস্থায় ভিয়েতনামের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটির সাথে টানাপোড়েন চলছিল বাংলাদেশি আল রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্সের। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আনা ৩৩ কন্টেইনারের আমদানিকারকও ছিল সেই ভিয়েতনামি প্রতিষ্ঠান। এই টানাপোড়েনের কারণে বিএম ডিপো থেকে কন্টেইনার জাহাজীকরণে বিলম্বিত হয়। আর এর মাঝেই ভয়াবহ বিস্ফোরন ঘটে বিএম ডিপোতে।
তবে মায়ের্কস লাইনের এক কর্মকর্তা বলেন, ভিয়েতনামে আমাদের একটি কন্টেইনার বিস্ফোরনের পর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বহনকারী কয়েকটি শিপিং লাইনকে বিষয়টি অবহিত করে আমরা সতর্ক করি। বিদেশি আরেকটি শিপিং কম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন মায়ের্কস লাইনের ঘটনার পর আমরা আমাদের কেন্দ্রীয় অফিসকে বিষয়টি জানাই। এরপর থেকেই নতুন করে বিপদজনক রাসায়নিক পণ্য পরিবহন বুকিং বন্ধ করে দেয়া হয়। এখন নতুন করে আমরা কোন বিপদজনক পণ্য বুকিং নিচ্ছি না।
আল রাজী কেমিকেল কমপ্লেক্সে তৈরী হাইড্রোজন পার অক্সাইড ৩০ কেজির প্লাস্টিক জারে পরিবহন কতটা কতটা নিরাপদ ছিল ভিয়েতনামে দুর্ঘটনার পর এখন নতুন করে বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। ভিয়েতনামে যেই কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে, একই কারণে চট্টগ্রামের বিএম ডিপোতে দুর্ঘটনা কিনা এখন তা মুল আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।