বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের নিশ্চয়তা কী

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কাঙ্ক্ষিত সংস্কারের নিশ্চয়তা কী

বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করেছেন চরমোনাই পীর তথা ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, অস্বস্তির সঙ্গে লক্ষ্য করছি, বিএনপি নেতারা নির্বাচন প্রধান্য দিচ্ছেন। ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবেন ঘোষণা দিচ্ছেন। তারাই ক্ষমতায় যাচ্ছেন– এ নিশ্চয়তা কোথায় পেলেন? ক্ষমতায় গেলেও জনগণের কাঙ্ক্ষিত সংস্কার হবে নিশ্চয়তা কী?

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত আমিরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে চরমোনাই পীর বলেন, কোনো কোনো বড় রাজনৈতিক দলের অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ। তাদের শীর্ষ নেতারা ফ্যাসিস্ট দল নিষিদ্ধের বিরোধিতা করছেন। কেউ আবার খুনিকে ক্ষমা করে দিচ্ছেন, ফ্যাসিস্ট বলায় অনীহা প্রকাশ করছেন। চোরকে চোর বলাই ইনসাফ। ফ্যাসিস্টকেও ফ্যাসিস্ট বলাই ইনসাফ।

রেজাউল করীমের প্রশ্ন, ওয়ান-ইলেভেনের সরকার এবং তাদের হাত ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের জন্ম কী বিএনপির ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপপ্রয়াসের ফসল নয়? তাই স্বৈরাচারের উত্থান রোধে সাংবিধানিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পর নির্বাচনের আলাপ তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।

আনুপাতিক পদ্ধতিতে আবারও নির্বাচনের দাবি জানায় ইসলামী আন্দোলন। দলীয়প্রধান বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এর পক্ষে। বিএনপি ভিন্নমত পোষণ করছে। তাদের বলব, কেন্দ্রীভূত ক্ষমতায় স্বৈরাচার জন্ম দেয়।

সরকারের ১০০ দিনের মূল্যায়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বৈরাচারী ব্যবস্থার বিলোপে সরকারকে সফল হতেই হবে। ব্যাংক খাতে নৈরাজ্য বন্ধ করা, রিজার্ভের পতন রোধ, স্বৈরশাসনের হোতাদের একাংশকে বিচারের মুখোমুখি করা, প্রশাসনে ধীরগতিতে হলেও শুদ্ধি অভিযান চালানো, সংস্কার কমিশন গঠন, আন্তর্জাতিক অপরাধ  ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণহত্যার বিচারের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি।

রাষ্ট্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ স্পষ্ট, প্রশাসনের নিয়োগে দোদুল্যমানতা পরিহার, উপদেষ্টাসহ সব নিয়োগে স্বচ্ছতা, দ্রব্যমূল্য ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ এবং স্বৈরাচারের বিচার ত্বরান্বিত করতে সরকারকে পরামর্শ দেন চরমোনাই পীর। তিনি বলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে জনগণ মেনে নেয়নি। পতিত স্বৈরাচারের সুবিধাভোগীকে বাদ দেওয়া হোক। অভ্যুত্থানে আহতদের অজুহাত ছাড়াই দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব ইউনুছ আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক আল মাদানী, আশরাফ আলী আকন, গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

samakal