পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়, বলা হয়, এই বাজেট গণবিরোধী, গরিব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী আছে, তারা চোখে ভালো কিছু দেখেনি। গত ১৫ বছরে প্রতিটি বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘আবার যাঁরা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন, তাঁরা কোনো কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী, এটা তো বোঝানো যায় না। সে জন্য সবকিছুতে ভুল ধরা উনাদের অভ্যাস। সে জন্যই তাঁরা বলেন যে এই বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য নয়। সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি, এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।’
বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১ গুণ বেড়েছে, বলেন মন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, মাথাপিছু আয় সাড়ে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ছয় গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদরিদ্র ২২ শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।
বাজেট যদি গরিবের উপকারে না আসত, তাহলে দারিদ্র্য ও অতিদরিদ্র কমত না, বলেন মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিকেরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধভাবে করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমনভাবে হয়, সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বক্তব্য দেন।
Prothom ali