কিছু স্থানে যুবলীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, মারামারি, লাঠিপেটা ও ধরপাকড়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৬৬টি সাংগঠনিক জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি। আজ শনিবার চার জেলায় সংঘাতে ৫৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ১২৩ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। সাত জেলায় পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বিএনপির কেন্দ্রঘোষিত এই কর্মসূচি। এক জেলায় কর্মসূচির আগে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে বেশির ভাগ স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কুমিল্লার দেবীদ্বার ও চান্দিনায় পুলিশের সংঘর্ষে বিএনপির অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ১৩টি রাবার বুলেট ছুড়েছে। কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে গাজীপুরে ছাত্রদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। ঝালকাঠিতে পদযাত্রায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
নেত্রকোনায় পদযাত্রায় অংশ নিতে জড়ো হওয়া নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নাটোরে কর্মসূচির আগে মোটরসাইকেল বহর থেকে বিএনপির কার্যালয়ের পাশে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। বাগেরহাটে পদযাত্রায় বাধা দিয়ে পুলিশ অন্তত ৪০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নীলফামারীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা’ দাবিতে শনিবার জেলায় জেলায় পদযাত্রা কর্মসূচির ঘোষণা করে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন।
কর্মসূচিতে বাধা, আটক
বাগেরহাটে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের ৪০ নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। সকাল পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শহরের মুনিগঞ্জ, পুরাতন বাজার ও থানার মোড় এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ ঘটনায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে করে জেলা বিএনপি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, পদযাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়ে অন্তত ৪০ নেতা-কর্মীকে বিনা কারণে আটক করেছে। এ ছাড়া গত রাত থেকে জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হানা দেয় পুলিশ।
তবে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, আজ আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের কর্মসূচি ছিল। শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে পরে কর্মসূচি পালনের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আগ্রাসীভাবে কর্মসূচি পালন ও নাশকতার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
মাগুরায় পুলিশের বাধায় ২০০ মিটার গিয়েই শেষ হয় বিএনপির পদযাত্রা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শুরু করে পাশেই নবগঙ্গা নদীর শেখ কামাল সেতুতে গেলে পুলিশের বাধায় কর্মসূচি শেষ করতে হয়। বিএনপির অভিযোগ, কর্মসূচি ঘিরে গত কয়েক দিনে পুলিশ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে এক ডজনের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। তবে বিকেলে শহরের নোমানী ময়দানের সামনে রাস্তা বন্ধ করে শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ বলেন, গত রাতে বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি করেছে পুলিশ। গতকালই এক ডজনের বেশি নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। অথচ একই সময়ে শহরে ক্ষমতাসীনেরা প্রকাশ্যে রামদা, হকিস্টিক নিয়ে মহড়া দিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ কিছুই বলেনি।
যশোরে পদযাত্রা কর্মসূচির আগের রাতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৪০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকালই তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। এদিকে ধরপাকড়ের মধ্যে যশোরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক বলেন, কর্মসূচি পণ্ড করতে পুলিশ আগের রাতে ৪০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) বেলাল হোসাইন বলেন, বিএনপির অভিযোগ সত্য নয়। যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা আছে, শুধু তাঁদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফেনীতে পুলিশের বাধায় পদযাত্রা সংক্ষিপ্ত করেছে বিএনপি। বেলা ১১টার দিকে শহরের ইসলামপুর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। তাকিয়া রোড হয়ে ট্রাংক রোডে পৌঁছানোর পর পুলিশ বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মাত্র ২০০ গজ সামনে প্রেসক্লাব চত্বরে পৌঁছালে পুলিশ সড়কে ব্যারিকেড দেয়। বাধ্য হয়ে তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসূচি শেষ করেন।
টাঙ্গাইলে পুলিশের বাধায় আংশিক কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। শহরের ব্যাপারীপাড়ার সামনে থেকে পদযাত্রা বের হয়ে শান্তিকুঞ্জ মোড় এলাকায় পৌঁছালে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাধা দেয়। পরে সেখানেই পদযাত্রা শেষ করেন তাঁরা। এর আগে ব্যাপারীপাড়া এলাকায় সমাবেশ করে বিএনপি।
পটুয়াখালীতে শহরের বনানী এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রথমে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে জেলা বিএনপি। সমাবেশ শেষে পদযাত্রা শুরু হয়ে পৌরসভা মোড়ে যাওয়ার পথে পুলিশ পেছন থেকে ধাওয়া দিয়ে লাঠিপেটা শুরু করে। এতে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
গাজীপুরে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দুপুর ১২টার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শিববাড়ি-রাজবাড়ি সড়কে পদযাত্রা বের করা হয়। তবে পদযাত্রাটি দলীয় কার্যালয় থেকে জোড়পুকুর পর্যন্ত যাওয়ার কথা থাকলেও পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয়। পরে পুলিশের বাধায় দলীয় কার্যালয় থেকে ৫০ গজ সামনে গিয়ে পদযাত্রাটি শেষ হয়।
এদিকে পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে শহরের রথখোলা এলাকায় সাইফুল ইসলাম (২১) নামের ছাত্রদলের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা পদযাত্রা শেষ করে চলে আসার পর ঘটনাটি ঘটেছে। কারা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। এ ছাড়া তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ঝালকাঠিতে জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সকাল ১০টার আগেই শহরের আমতলা সড়কের দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ অবস্থান নেয়। নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে পদযাত্রা শুরু করেন। মিছিলটি সাধনার মোড়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ বাধা দেয়।
ঝালকাঠি সদর থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের তিন কর্মকর্তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
হামলা-সংঘর্ষে আহত
আওয়ামী লীগের হামলায় নেত্রকোনায় পদযাত্রা করতে পারেনি বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নেত্রকোনায় বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা শহরের পারলা বাসস্টেশন, বনোয়াপাড়া, কুড়পাড়, মোক্তারপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে জড়ো হতে থাকেন। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে সেখানে হামলা করেন।
এ সময় ব্যানার, ফেস্টুন ছিনিয়ে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ভাঙচুরসহ বেশ কিছু ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কুড়পাড় এলাকায় পুলিশ ফাঁকা গুলিও ছোড়ে। হামলায় বিএনপির অন্তত ২৮ জন আহত হন। এ সময় পুলিশ বিএনপির পাঁচজন নেতা-কর্মীকে আটক করে। এ ছাড়া আগের দিন রাতে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেননি। বিএনপির নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে মারামারি করে কেউ আহত হতে পারেন।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, আজ সকালে শহরের বেশ কটি স্থানে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঝামেলার চেষ্টা করেছিলেন। সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে।
কুমিল্লায় পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ ও ফাঁকা গুলিতে বিএনপির অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের দুজন সদস্য আহত হন। এতে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়। বিকেলে দেবীদ্বার উপজেলার খাদঘর ও চান্দিনার কেরনখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি নগরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে।
উত্তর জেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. শাহজাহান মোল্লা বলেন, পুলিশ গোমতা এলাকায় কর্মসূচি করতে গেলে প্রথমে বাধা দেয়। পরে দেবীদ্বার উপজেলার খাদঘর এলাকায় পদযাত্রা করতে চাইলে পুলিশ বিনা উসকানিতে লাঠিপেটা, কাঁদানে গ্যাস ও গুলি চালায়। এতে ২ নেতা গুলিবিদ্ধসহ ১০-১২ জন আহত হন।
দেবীদ্বার উপজেলার ভানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ঝামেলা হয়। চান্দিনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দীন খান বলেন, বিএনপির নেতারা পদযাত্রার নামে মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচলে সমস্যা করছিলেন। পুলিশ তাঁদের মহাসড়ক থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। আত্মরক্ষায় পুলিশ ১৩ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘পুলিশ বিনা উসকানিতে ঝামেলা করে। লাঠিপেটা ও ফাঁকা গুলি করে। আমরা কোনোভাবেই মহাসড়ক অবরোধ করিনি।’
নীলফামারীতে শহরের পৌর সুপারমার্কেটের সামনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শান্তি সমাবেশ শুরু করে জেলা আওয়ামী লীগ। একই সময়ে পাশে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পদযাত্রার জন্য সমবেত হন জেলা বিএনপির একাংশের নেতা-কর্মীরা। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাস্থল থেকে কয়েকজন যুবক বিএনপির সভাস্থলে হামলা চালিয়ে তাঁদের টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে চেয়ার ভাঙচুর করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক বলছেন, তাঁরা সভা শুরু করলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উসকানিমূলক ও অশ্লীল বক্তব্য দিতে থাকেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে জেলা জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আক্তারুজ্জামান বলেন, বিনা উসকানিতে আওয়ামী লীগ হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এতে বেশ কিছু নেতা-কর্মী আহত হন।
নাটোরে বিএনপির পদযাত্রা শুরুর আগে মোটরসাইকেলের বহর থেকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের পাশে একে একে ছয়টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। পরে পুলিশবেষ্টিত অবস্থায় বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ করে।
এর আগে ১১ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে পদযাত্রা করেছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো। এতে অন্তত ৪০টি জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কর্মসূচিতে হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। এরপর ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেটসহ ১১টি মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি করে দলটি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগরের উত্তর ও দক্ষিণে দুটি পদযাত্রা কর্মসূচি হয়।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]