আড়াই বছর ধরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করেন মো. মানিক। তিনি জানালেন, ছয় দিন ধরে তাঁর বিক্রিতে মন্দা। আগে বিকেল হলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা জড়ো হতেন। এখন কার্যালয়ের আশপাশেও তাঁদের কেউ ঘেঁষছেন না, সেখানে শুধু পুলিশের উপস্থিতি।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সেদিন থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। কার্যালয় ভবনের সামনের অংশটুকু বাদ দিয়ে রাস্তার দুই পাশে এখন দিন–রাত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছেন।
নির্বাচন কমিশন আগামীকাল শনিবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা করবে। বিএনপি এতে অংশ নিচ্ছে না।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মিছিল করার বিষয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর কিছুটা ভীতিকর পরিস্থিতি আছে, নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার–আতঙ্কও রয়েছে। বিএনপির আন্দোলনের শরিক হিসেবে গণ অধিকার পরিষদ তাদের কার্যালয়ের সামনে মিছিল করায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে শক্তির সঞ্চার হবে।’
বিএনপি কার্যালয়ের আশপাশে বেশ কয়েকটি বিপণিবিতান রয়েছে। বিএনপিসহ বিভিন্ন দল ও জোটের এক দিনের হরতাল ও তিন দিনের অবরোধে এসব দোকানের অধিকাংশই বন্ধ ছিল। আজ এসব বিপণিবিতান খুললেও লোকজন না আসায় ব্যবসা হয়নি। ফুটপাতের দোকানিদেরও একই অবস্থা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতায় তাঁদেরই বেশি ক্ষতি হয়।
কার্যালয়ের পাশের জোনাকি সুপারমার্কেটের নিচতলার কাপড়ের দোকান নুসরাত এন্টারপ্রাইজের কর্মী মো. জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসার অবস্থা খারাপ। রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে এদিকে লোকজন কম আসে।’
গত বছরের মাঝামাঝি থেকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে প্রায় প্রতিদিন বিকেলে নেতা-কর্মীদের ভিড় থাকত। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন। কার্যালয়ের আশপাশ এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে।
এ বিষয়ে পুলিশের মতিঝিল অঞ্চলের সহকারী কমিশনার গোলাম রুহানি প্রথম আলোকে বলেন, ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর বিএনপির নেতারা ব্রিফ করে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে কার্যালয়ে আসতে কোনো বাধা নেই।
প্রথম আলো