বার্সেলোনায় ফেরার পথে আরো একধাপ এগিয়ে মেসি

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ১১ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০৮
লিওনেল মেসি – ছবি : সংগৃহীত

চলতি জুনের শেষে প্যারিস সেন্ট জার্মেইর (পিএসজি) সাথে শেষ হয়ে যাচ্ছে লিওনেল মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ।

আর্জেন্টাইন এই তারকা ফের ক্যাম্প ন্যুয়ে ফিরে আসছেন বলে আশা করছে বার্সেলোনার সমর্থকরা। তাকে ফিরে পাবার আসায় ব্যতিক্রমী প্রদর্শনীও করেছে কাতালান সমর্থকরা।

সম্প্রতি জিরোনার বিপক্ষে ম্যাচের ১০ মিনিটে বিশ্বকাপ জয়ী ওই তারকার নাম ধরে সুর মিলিয়ে গাইতে থাকে গান। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে কোপা ডেল রের সেমি-ফাইনালেও একই রকম মেসি বন্দনায় মেতে উঠতে দেখা যায় বার্সা সমর্থকদের।

সমর্থকদের এমন আচরণের কারণে বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেন, দলের বর্তমান অবস্থান নিয়ে প্রশংসা করছে ভক্তরা। তবে পাশাপাশি শিরোপা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। কাতালান এই কোচের মতে মেসি নিজেই তাদের মধ্যে এই আশার সঞ্চার করেছেন। দু’টি ম্যাচে তার নাম ধরে গান গাইছে। তবে এই মুহূর্তে অবশ্যই লা লিগার শিরোপা জয়ের দিকে মনোযোগ দিতে হবে বার্সাকে।

এদিকে ৩৫ বছর বয়সি মেসিকে তার বাল্যকালের ক্লাবে ফিরিয়ে আনতে হলে স্প্যানিশ জায়ান্টদের অতিক্রম করতে হবে কিছু আর্থিক বাধা। তাই বিষয়টি কাতালানদের জন্য চ্যালেঞ্জর হতে পারে। তারপরো বাল্যকালের ক্লাবে মেসির ফিরে আসার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।

কারণ ইতোমধ্যে মেসির প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে বার্সা সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার সাথে প্রাথমিক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন তার এজেন্ট ও বাবা হোর্হে মেসি।

আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব না পেলেও ওই বৈঠকটিকে মেসির বার্সেলোনায় প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামীতে মেসিকে পেতে বার্সা আনুষ্ঠনিক বিটে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ক্লাবটি যে পরিমাণ আর্থিক চাপে রয়েছে তাতে এই উদ্যোগ কতাটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

অবশ্য মেসির হাতে বিকল্প উপায়ও আছে। তাকে রেখে দেয়ার বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে পিএসজি। মেজর সকার লিগের (এমএসএল) ক্লাব ইন্টার মিয়ামির লক্ষ্য মেসিকে দক্ষিণ ফ্লোরিডায় উড়িয়ে নেয়া।

সৌদি আরবের প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালও মেসিকে পাবার জন্য মুখিয়ে আছে। তিনি যদি সত্যিকার অর্থে সৌদি আরবে পাড়ি জমান, তাহলে পেয়ে যাবেন চির প্রতিদ্বন্দ্বি ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে। বর্তমানে আল নাসরের হয়ে খেলছেন পর্তুগাল সুপার স্টার।

সূত্র : বাসস