
Facebook entry of Nazmus Sakib
ক্যান্সারের চিকিৎসার কথা বলে কর্নেল (অব:) জিহাদ রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী ডক্টর ইউনূসের কাছ থেকে আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের অনুমতি নেন
বিশেষ প্রতিবেদন: সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের থাইল্যান্ড গমনের অনুমতি লাভের ক্ষেত্রে মূল সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন তার শ্যালক জামায়াত নেতা কর্নেল (অব:) জিহাদ খান এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের ডিআইজি মোয়াজ্জেম হোসেন।
তবে কেউ কেউ প্রশ্ন রেখেছেন, রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী কর্তা, অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূসের অনুমতি ব্যতীত, জিহাদ এবং মোয়াজ্জেম কিভাবে হামিদকে সেফ এক্সিট দিতে পারলো? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে আবদুল হামিদ ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং বর্তমানে স্টেজ ফোর ক্যান্সারের কারণে তাকে নিয়মিত কেমোথেরাপি নেয়া লাগে। গত সাড়ে আট মাসে ঠিকমতো কেমোথেরাপি না নেয়ার কারণে; তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। এমতাবস্থায় হামিদের উন্নত চিকিৎসার আবেদন নিয়ে; ডক্টর ইউনূসের শরণাপন্ন হয়েছিলেন আবদুল হামিদের শ্যালক, কিশোরগঞ্জ ৩ আসনের জামায়াতের প্রার্থী কর্নেল(অব:) জিহাদ খান।
বিমানবন্দরে হামিদকে নিয়ে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন যাতে হওয়া না লাগে, সেটার নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন ইমিগ্রেশন পুলিশের ডিআইজি, জামায়াতপন্থী মোয়াজ্জেম হোসেন। অর্থাৎ জিহাদ এবং মোয়াজ্জেমের পরিকল্পনায়, আবদুল হামিদকে মিটিকুলাস প্ল্যানের মাধ্যমেই সেফ এক্সিট দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার উদ্দেশ্যে, অন্যায়ভাবে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তিনজন নিরাপরাধ পুলিশ কর্মকর্তা: হাছান চৌধুরী,তাহসিনা আরিফ এবং সোলায়মানকে। আমরা ডক্টর ইউনূসের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই: আবদুল হামিদের প্রতি আপনার এরকম মানবিকতা দেখানোর কারণ কি?
জামায়াত নেতা জিহাদ খানের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, একদিকে আপনার দল যমুনাতে গিয়ে আন্দোলন করে, অন্যদিকে আপনি আপনার দুলাভাই আবদুল হামিদের বিদেশ গমনের সুপারিশ নিয়ে, ডক্টর ইউনূসের কাছে ধরনা দেন, কেন আপনাদের এই দ্বিচারিতা?এয়ারপোর্টের ডিআইজি মোয়াজ্জেমের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, আপনার পরিকল্পনাতে ফ্যাসিবাদের দোসরকে দেশ ছাড়তে সহায়তা করে, আপনি উল্টো কেন নিরাপরাধ তিনজনকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করালেন?
—
নাজমুস সাকিব,
৯ মে, ২০২৫
কার্টুন কার্টেসি: মেহেদী হক