তাসনিম খলিল 30 August 2022
বাংলাদেশে বলপূর্বক অন্তর্ধান বা গুম নিয়ে বিতর্কে একটা ইন্টারেষ্টিং ডেভেলপমেন্ট হয়েছে। আয়নাঘরের বন্দীশালা নিয়ে যখন লেফটিস্ট-সেনট্রিস্ট-ইসলামিস্ট দলগুলো এক হয়েছে, তখনই ১৯৭৭ সালে সেনা অফিসারদের বিচার প্রক্রিয়ায় গুম ছিলো কিনা এই আলাপটি সামনে এনেছে শাসক দল আওয়ামী লীগ। এখানে মনে রাখতে হবে যে এই ধরণের মানবতা-বিরোধী অপরাধ তামাদি হয়না এবং পূর্বের কোনও সরকারের অপরাধ বর্তমান সরকারের উপরেও বর্তাবে যদি এই সরকার সেসকল অপরাধের বিচার না করে।
এখানে বিএনপির লোকজন বলতে পারে এবং বলছেও যে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্তওতো গুম হয়েছে। ১৯৭৭ নিয়ে কথা বললে ৭২-৭৫ কেন বাদ যাবে। তাহলে আমরা দেখছি যে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ একটা ইস্যুতে একমত: বাংলাদেশে কোন না কোন সময়ে গুমের মতো অপরাধ হয়েছে।
সেক্ষেত্রে গুমের ভিক্টিমদের পরিবারগুলোর সংগঠন মায়ের ডাকের যেটা দাবি যে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে স্বাধীন তদন্ত হোক এবং দোষীদের বিচার করা হোক সেই দাবি মেনে নিতেতো আওয়ামী লীগের কোনই সমস্যা থাকার কথা না। বিএনপিতো অলরেডি এই দাবি করেছে। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের কাছে ১৯৭২ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত সকল সরকারের নথিপত্র উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক এবং বর্তমান সরকারের আমলের গুমগুলোর তদন্তে এই কমিশনকে নিযুক্ত করা হোক। আওয়ামী লীগ বা বিএনপির বিতর্ক নয়, আমরা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটা নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশনের কাছে জানতে চাই বাংলাদেশে কে গুম করেছে এবং করছে।