বাংলাদেশে গুম নিয়ে মিশেল ব্যাচেলেটের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করলো ঢাকার মার্কিন দূতাবাস

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২২

 

আজ ৩০ আগস্ট আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। এ দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে গুমের অভিযোগগুলো গভীরভাবে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। মঙ্গলবার সকালে নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানিয়েছে তারা। এতে বলা হয়, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশে জোরপূর্বক গুমের অভিযোগগুলো নিয়ে যে গভীর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তা পুনর্ব্যক্ত করছে মার্কিন দূতাবাস।

এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ সফরের সময় ব্যাচেলেট বলেছিলেন, সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যে গুরুতর অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি এসব অভিযোগের নিরপেক্ষ, স্বাধীন এবং স্বচ্ছ তদন্তের ওপরে জোর দেন। এছাড়া নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সংস্কারের কথাও বলেন তিনি। মার্কিন দূতাবাস ফেসবুকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে।

ওই পোস্টের সঙ্গে মিশেল ব্যাচেলেটের বক্তব্যের লিংক যুক্ত করে দিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। বাংলাদেশ সফর শেষে ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ব্যাচেলেট। এতে তিনি বলেছিলেন, গত কয়েক বছর ধরে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা গুম নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে যাচ্ছিল। ঢাকায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ নিয়ে তার গভীর উদ্বেগের কথা তিনি জানিয়েছেন।

তিনি সরকারকে একটি স্বাধীন এবং বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বলেছেন, যাতে করে এ ধরণের ঘটনার শিকার ব্যক্তি, পরিবার এবং সিভিল সোসাইটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং গুমের ঘটনাগুলো তদন্ত করা যায়। কিভাবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে এরকম একটি সংস্থা গড়ে তোলা যায় সেজন্যে তার দফতর বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত, তিনি বলেন।

 

উল্লেখ্য, ৩০শে আগস্ট বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস। সারা পৃথিবীতে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে দিবসটি পালিত হয় এ দিনটিতে। ২০০৬ সালের ২০ ডিসেম্বর গুম হওয়া সব ব্যক্তির জন্য আন্তর্জাতিক সনদ হিসাবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়। এরপর ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়্যারেন্স’ সম্মেলনে যে আন্তর্জাতিক সনদ কার্যকর হয় তাতে ৩০ আগস্টকে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ৩০ আগস্ট গুম হওয়া মানুষগুলোকে স্মরণ এবং সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর জন্য দিবসটি পালন করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী।

 

পাঠকের মতামত

কথায় বলেনা চোরের মায়ের বড় গলা। খোদ আমেরিকাই তো তার দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে পারেনা, যে দেশের পুলিশ প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তার মধ্যে তার দেশের নাগরিকদের গলায় পা দিয়ে চেপে ধরে হত্যা করে, তারা আবার অন্য দেশকে মানবাধিকারের জ্ঞান দেয়। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাশকে আমার পরামর্শ আগে নিজের দেশের নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিত করুন, তারপর নাহয় অন্য দেশকে মানবাধিকার বিষয়ে জ্ঞান দিয়েন।

 Enamul Haq
৩০ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

অবশ্যই এই সব ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত এত লোক গুম হচ্ছে সরকার বলছে আমি জানিনা সেই জন্য সব ব্যপারটা খতিয়ে দেখা দরকার গুমের সাতে কারা জড়িত

 মো.শরিফুল ইসলাম
৩০ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ৮:৫০ পূর্বাহ্ন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উচিত জাতিসংঘের তত্বাবধানে তদন্ত করার কথা বলা। যারা গুমের ঘটনার সাথে জড়িত তারা কখনো স্বীকার করবেনা এবং সহযোগিতাও করবেনা। বেশি চাপ পড়লে মানসিক বিকারগস্ত করে দিয়ে একেকজনকে যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে আসবে। মানসিক বিকারগস্ত করার ফলে ফিরে এসে তাঁরা কিছুই বলতে পারবেননা। পরিণামে গুম হওয়া লোকগুলো সারাজীবন অসুস্থ হয়ে জীবনের বোঝা বয়ে বেড়াতে হবে। কাজেই আর বেশি সময় না দিয়ে তড়িঘড়ি করে জাতিসংঘের তত্বাবধানে তদন্ত করা হোক। জাতিসংঘকেও তাঁরা তদন্তের অনুমতি দেবেনা। বলপূর্বক করতে হবে।

 আবুল কাসেম
৩০ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ২:১১ পূর্বাহ্ন

গুম,খুনসহ সকল বেআইনী কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে অসমর্থনযোগ্য। রাষ্ট্র পরিচালনার একমাত্র ভিত্তি হওয়া উচিত আইনের শাসন।

 আমজনতা
৩০ আগস্ট ২০২২, মঙ্গলবার, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন

গুম হওয়া পরিবারগুলি ব্যাচেলেট এর সফরের সময় কি ঘুমিয়ে ছিলো বাংলাদেশে !? তারা রাজপথে শান্তিপূর্ণ কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি করলোনা? তারা এবং তাদের পৃষ্টপোষকরা ব্যাচেলেট এর সফরের সময় তার ও মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষনে চরম ব্যার্থতা দেখিয়েছে।

 Salam—
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১১:৫৬ অপরাহ্ন

দেশে গুম খুনের কোন অস্তিত্ব নাই মিশেল ব্যাশলেটকে সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে। যারা গুম খুন হয়েছে বলে প্রচারণা চালাচ্ছে তাদেরকেও সরকার বলে দিয়েছে প্রেমপিরিতি,সংসারের রাগ বিরাগ, পরকিয়া, লেনদেন মিটাতে না পেরে অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছে। আত্মগোপনে গিয়ে যাওয়ার পথে ভূমধ্য সাগরে কেউ কেউ ডুবে মরেছে। কেউ কেউ পাগল সেজে দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারের এই পরিচ্ছন্ন তদন্ত রিপোর্টের পরও আবার কিসের তদন্ত? সরকার খু্বই আন্তরিক গুমের রহস্য উৎঘাটনে! মিশেল ব্যাশলেট আসছে গুম খুনের সাথে কে জড়িত জানতে আর তার কাছে রিপোর্ট দিতে। সরকার ত দিয়েছে। নতুন তদন্তের আহ্বান জানানো কি বোকামী নয়? আসলে সরকার নয় দেশের মানুষই পাগল হয়ে গেছে।

 আলমগীর
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১১:০৯ অপরাহ্ন

Bangladesh has the only and unique problem – Sheikh Hasina’s greed for power and she has been doing whatever she likes/feels fit & necessary, in connivance with RAW and their local agents, to stay in power. She declared openly and publicly that she wants power and absolute power. It’s an abnormal gesture by any human.

 Citizen
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১১:০৬ অপরাহ্ন

তাহলে বাংলাদেশের ভন্ড মন্ত্রীগুলা আমাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে? ন্যায় কথা সরকারের বিপক্ষে গেলে তা আবার দমিয়ে রাখা হয়। এই হলাম আমরা, দুর্ভাগা জাতি।

 এদেশের নাগরিক
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

আমি কেবল বাংলাদেশের গুম নিয়ে ভাবছি না, বিশ্বের সব গুম নিয়ে ভাবছি। বাংলাদেশে যে গুম হচ্ছে তা তো সর্বাংশে সত্য। তবে সৌদি আরব, মিসরসহ রাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে সংঘটিত গুম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নীরব কেন? আফগানিস্তান, পাকিস্তানের অসংখ্য মানুষকে গুম করে গুয়ান্তানামো বে বন্দিশালায় র্নিযাতন চালানো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কি কখনও ক্ষমা চেয়েছে? সেসব কি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ নয়?

 গোলাম রব্বানী
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

The government and its direct involvement is unprecedented in the history of Bangladesh.All of the involved personnel and agencies will be taken to account.No one can escape from the retribution including the existing juduciary.All expats are contributing to report all the heinious crimes to the department of justice of the resident countries.

 d.Akash
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১০:৪৪ অপরাহ্ন

সহমত

 WASIM UDDIN
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১০:২৫ অপরাহ্ন

Indian RAW is directly involved in this kind of crime. Yes currently our army intelligence is also involved but they are controlling by RAW. We are requesting to United nation please do something for us. This country is unofficially captured by India because our govt sold this country to them. Please help us otherwise Indian will capture this country by their army and that time we will loose our freedom.

 Tanweir
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১০:১১ অপরাহ্ন

Probably H.E. Ambassador of the USA is unaware of the fact that Bangladesh is mostly inhabited by Banglaman, a kind kind of sub-species of the homo sapiens. Banglaman cannot learn, think or behave like humans and definitely not like civilized human beings. Let us lament the fact.

 Muhammad Nurul Islam
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ১০:০৩ অপরাহ্ন

গুম এর সাথে কারা জড়িত? বা এদের কি আদৌ বিচার হবে?

 Raju
২৯ আগস্ট ২০২২, সোমবার, ৯:৫৯ অপরাহ্ন