- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭:৩১
ভারতের সামনে লক্ষ্যটা খুব বেশি নয়, মাত্র ১৪৫ রান। কিন্তু সাকিব-মিরাজ-তাইজুলের ঘূর্ণিতে স্বল্প এ লক্ষ্যে পৌঁছাতেই কাঁপন ধরেছে ভারতীয় শিবিরে। আর এর ফলে ভারতীয়দের লক্ষ্যটা এখন পাহাড়সহ। বাংলাদেশের জন্য শেষ বিকেলটাকে মূলত রঙিন করে তোলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান। মিরাজের তিন উইকেট আর সাকিবের ১ উইকেটে প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
শনিবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৪৫ রান। জয়ের জন্য সফরকারীদের দরকার আরো ১০০ রান। আর বাংলাদেশের দরকার ৬ উইকেট।
এর আগে মিরপুর টেস্টে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামে ভারত। লোকেশ রাহুলকে দাঁড়াতেই দেননি সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত ২ রানে সোহানের হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। এরপর চেতেশ্বর পুজারাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
পুজারার বিদায়ে অক্ষর প্যাটেল ও শুভমান গিল প্রতিরোধে চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের জুটি বড় হতে দেননি মিরাজ। সাত রান করা গিলকেও স্টাম্পিংয়ে ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এই অফস্পিনার। শর্টলেগে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বিরাট কোহলি।
সাকিবে শুরু, মিরাজে শেষ। ভারতীয় টপ অর্ডার সাজঘরে ফেরায় নতুন স্বপ্ন নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। দিন শেষে অক্ষর ২৬ এবং নাইটওয়াচম্যান জয়দেব ৩ রানে অপরাজিত অছেন। বাংলাদেশের মিরাজ ৩ ও সাকিব নেন ১ উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয় ২৩১ রানে। এদিকে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২২৭ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ভারত করেছিল ৩১৪ রান। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের লিড দাঁড়ায় ১৪৪ রানের।
আজ শনিবার শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিনের বিনা উইকেটে ৬ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ভারতকে বড় লিড দিতে হলে প্রথম সেশনে দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও জাকির হাসানকে টিকে থাকার বিকল্প ছিল না।
কিন্তু পারলেন না শান্ত। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার। প্রথম ইনিংসে ২৪ রান করা শান্ত এদিন আউট হন মাত্র ৫ রানে। বাংলাদেশের অন্যতম ভরসা মুমিনুল হক। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক করা বাঁহাতি এই ব্যাটার ব্যর্থ হন দ্বিতীয় ইনিংসে।
শান্তর বিদায়ের পর জাকিরের সাথে জুটি গড়ার বিকল্প ছিল না তার। ব্যক্তিগত ৫ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে উইকেটের পেছনে ঋষভ পান্তের হাতে ধরা পড়েন তিনি। মারমুখী হতে গিয়ে দলের বিপদ বাড়ান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জয়দেব উনাদকাটের বলে শুভমান গিলকে ক্যাচ অনুশীলন করান তিনি। অক্ষর প্যাটেলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন মুশফিকুর রহিম (৯)।
অর্ধশতকের পর খুব বেশি সময় টিকে থাকতে পারেননি জাকির। উমেশ যাদবকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ থার্ডম্যানে সিরাজের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ওপেনার (৫১)। শূন্য রানে ফিরেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
নুরুল হাসান সোহানের সাথে ৪৬ রনের জুটি গড়েন লিটন দাস। ২৯ বলে দুটি চার ও একটি ছক্কায় ৩১ রান করে আউট হন সোহান। জীবন পেয়ে ৭৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন।
লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদের জুটিতে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। ক্যারিয়ারের ১৫তম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন লিটন। ব্যক্তিগত ৭৩ রানে মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হন ডানহাতি এই ব্যাটার। এতে ভাঙে দুজনের ৬০ রানে জুটি।