বাংলাদেশের জার্সি আর গায়ে দিতে পারবেন না সাকিব?

24খেলাধুলা প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র সাকিব আল হাসানকে নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্ট ঘিরে তার বিরুদ্ধে নতুন করে উঠেছে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ। আর সেই সূত্র ধরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিবকে আর কখনও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না।

সাকিব আল হাসান

রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি পোস্ট দেন সাকিব। এরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন জুলাই আন্দোলনের কয়েকজন অগ্রসেনানী- সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, সাদিক কায়েমসহ অনেকে। পাল্টা অবস্থান নেন সাকিবও। এক পর্যায়ে এই ভার্চুয়াল দ্বন্দ্বে যোগ দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে আসিফ লেখেন, শুধু ভালো ক্রিকেটার বলেই খুনিদের এন্ডোর্স করা যাবে না। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, মানি লন্ডারিং, ফাইনানশিয়াল ফ্রড করা কাউকে জাতীয়ভাবে পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।

এদিকে, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ আরও কঠোর ভাষায় বলেন, তিনি (সাকিব) এখনও আওয়ামী লীগকে ধারণ করেন বলেই শেখ হাসিনার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই প্রমাণ পাওয়ার পর আমি নিশ্চিতভাবে বিসিবিকে জানাবো, সাকিব আল হাসান আর কখনও বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দিতে পারবে না।

তিনি যোগ করে বলেন, বাংলাদেশের পতাকা বহনের অধিকার তার নেই। তাকে আর কোনোভাবেই জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে না।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারসহ অবস্থানরত সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, এটি ছিল তার ব্যক্তিগত মতপ্রকাশের অধিকার। তিনিও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে বলেন, শেখ হাসিনা তো সবসময় খেলা ফলো করতেন, খেলার সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। সেই জায়গা থেকে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আমি শুধু একজন মানুষকে শুভেচ্ছা জানিয়েছি, অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।

রাজনৈতিক বিতর্কের মাঝেই সাকিবের জন্য আরেকটি দুঃসংবাদ এসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে। অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নতুন অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি।