আইসিসি চায় না বাবর আজম ভালো পারফর্ম করুক এবং এ কারণেই তিনি আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়ে গেছেন—এমন অদ্ভুত দাবি করেছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার বাসিত আলী। আইসিসিকে বাবরের ‘দুশমন’ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। সর্বশেষ হালনাগাদের পর সতীর্থ শুবমান গিলকে টপকে দুইয়ে উঠে এসেছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা, বাবর রয়ে গেছেন আগের মতোই শীর্ষে।
বাবর সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে। বাবর, রোহিত ও গিলের পর শীর্ষ পাঁচে আছেন ভারতের বিরাট কোহলি ও আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টর। র্যাঙ্কিং প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাসিত বলেছেন, ‘আমি যখন আইসিসি র্যাঙ্কিং দেখলাম, বাবর আজম শীর্ষে। দুইয়ে রোহিত শর্মা, তিনে শুবমান গিল এবং এরপর চারে বিরাট কোহলি। পরের নামগুলো পড়ার প্রয়োজন বোধ করিনি। কারণ, আমি ট্রাভিস হেড ও রাচিন রবীন্দ্রকে দেখিনি।’
পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে ৬৯টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাসিত এরপর বলেন, ‘আমার মনে হয়, আইসিসি চায় যাতে বাবর পারফর্ম না করুক। সে ওয়ানডেতে ১ নম্বর হয়েই খুশি থাকুক। এই র্যাঙ্কিংগুলো কারা করে? কিসের ভিত্তিতে বাবর আজম ও শুবমান গিল এখানে (শীর্ষে) থাকে!’
বাসিতের দাবি, এত দিন আগে ওয়ানডে খেলা কারও র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘বাবরের শেষ ওয়ানডে ছিল বিশ্বকাপে। আমরা বিশ্বকাপে রাচিন রবীন্দ্র, কুইন্টন ডি কক, ট্রাভিস হেড ও বিরাট কোহলিকে দেখেছি। তারা তিন-চারটি করে সেঞ্চুরি করেছে। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান সেঞ্চুরি করেছিল। বাবরের তো (সেঞ্চুরি) ছিল না। মাফ করেন। এ কী রকম র্যাঙ্কিং দিচ্ছে!’
বাসিত সেখানেই থামেননি। এরপর বলেছেন, ‘বাবরের দুশমন তো হচ্ছে আইসিসি। বাবরকে জিজ্ঞাসা করলে সেও এখন ওয়ানডের ১ নম্বর হিসেবে অন্য কারও নাম বলবে, নিজের নাম বলবে না।’
অবশ্য বাসিত যেভাবে বলছেন, আইসিসি র্যাঙ্কিং ঠিক সেভাবে কাজ করে না। এটি পুরোপুরি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া। মূলত এটি কোনো খেলোয়াড়ের সমন্বিত পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা। মানে আগের পারফরম্যান্সের তুলনায় উন্নতি নাকি অবনতি—সেটি অনুযায়ী রেটিং পয়েন্ট এবং তার ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান নির্ধারিত হয়।
লম্বা একটা সময় ওয়ানডে না খেলেও বাবরের শীর্ষে থাকার কারণ মূলত এটিই। এ সময়ের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই অন্য কেউ রেটিং পয়েন্টে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি তাঁকে। আবার এ সময়ে আইসিসির পূর্ণ সদস্যদেশগুলো খুব বেশি ওয়ানডে খেলেওনি। কারণ, এ সময় ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
prothom alo