লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল অলি আহমদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, এদেশের জনগণ মনে করে বাংলাদেশের গণতন্ত্র হত্যা ও একদলীয় শাসন কায়েমের জন্য ভারত সরকারই দায়ী, ভারতের জনগণ নয়। ভারতের ভ্রান্ত পররাষ্ট্রনীতির কারণে আজ প্রত্যেকটি প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। কেন এমন হল, একবার ভেবে দেখুন। শুক্রবার বিকালে মগবাজারে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অলি আহমদ বলেন, ভোট চুরির জন্য বা দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করার জন্য আওয়ামী লীগকে কারা সাহায্য করেছে, তা আজ কারো অজানা নাই। আপনাদের নিশ্চয় স্মরণ আছে ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে মিসেস সুজাতা সিং ঢাকায় কি বলেছিলেন? তিনি ভারত সরকারের একজন দায়িত্ববান কর্মকর্তাও ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনে কেউ অংশগ্রহণ করুক বা না করুক নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি কিভাবে এ ধরণের বক্তব্য দিলেন? কে বা তাকে এই ক্ষমতা দিয়েছিল। আমাদের স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে ভারত সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ।
তিনি বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু, শত্রু নই। দুই দেশের সম্পর্ক হবে জনগণের মধ্যে, যা হবে স্থায়ী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেছিলেন, ভারত- বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মত।
তিনি একজন নির্লজ্জ, বেহায়া। বলা উচিত ছিল, সম্পর্ক হবে বন্ধু সুলভ। প্রথম প্রথম বুঝতে কষ্ট হলেও এখন পরিস্কারভাবে বুঝতে পেরেছি, কেন জনগণ ভারতের পণ্য বর্জনের কথা বলছে। অবৈধভাবে চাকুরীরত ভারতীয়দের দেশ ছাড়ার বিষয়ে জনগণ কেন সোচ্চার হয়েছে। মানুষ মনে করে, এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস ও একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য ভারত সরকার দায়ী। ভারতের জনগণের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই।
কর্নেল অলি বলেন, বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানির জন্য ইতিমধ্যে সরকার শুল্ক ছাড় দিয়েছে। মাননীয় অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, এরফলে দ্রব্যমূল্য কি কমেছে। বরং দিন দিন দ্রব্যমূল্য বেড়েই চলেছে। কারণ আপনার দলীয় ও সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা এর সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও ফুটপাত, রাস্তা, বাস, ট্রাক, মিনিবাসসহ বিভিন্ন অফিসে অহরহ দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। ফলে বুঝা যাচ্ছে, সরিষার মধ্যেই ভূত, এই ভূত তাড়াবে কে?
অলি আহমদ আরও বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষিত যুবকেরা বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছে। দেশকে মেধা শূন্য করার পরিকল্পনা সুপরিকল্পিতভাবে সরকার বাস্তবায়ন করছে। নিজেদের শিক্ষিত যুবকেরা চাকুরি পাচ্ছে না, অথচ বিদেশিরা অবৈধভাবে চাকুরী নিয়ে বাংলাদেশে শ্বশুর বাড়িতে জামাই আদরে বসবাস করছে।
সূত্র : মানব জমিন