বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য

logo

এম এম মাসুদ

২৭ জুলাই ২০২৩, বৃহস্পতিবার

দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী, গতিশীল, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের পতাকাবাহী পণ্যের প্রসার ঘটাতে কাজ করে যাচ্ছেন দেশের সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ। অর্থনীতির এসব কর্মকা-কে আরও বেগবান করতে তিনি এবারের আসন্ন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) নির্বাচনে পরিচালক পদপ্রার্থী। জানান, এফবিসিসিআই নির্বাচনকে ঘিরে নানা পরিকল্পনার কথা।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের যে ভূমিকা সেটাকে কীভাবে আরও ত্বরান্বিত করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
গোলাম মুর্শেদ: আমাদের অর্থনীতি ক্রমবর্ধমান। তবে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পুরো পৃথিবীর অর্থনীতিতে যে মন্দা নিয়ে এসেছে সেটা না হলে এতদিনে আমরা কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের অনেকটা পথ এগিয়ে যেতাম। পুরো সংকটকালীন সময়ে সরকার ব্যবসাীয়দের পাশে ছিলেন। বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ, বিভিন্ন পলিসি সাপোর্ট দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। যেটা এদেশের ইন্ডাস্ট্রিজগুলোর জন্য একেবারেই পরিহার্য ছিল। সংকটের মধ্যেও টিকে থাকা এবং অর্থনীতিকে সচল রাখার যে পরিকল্পনা ছিল সেটাও ব্যবসায়ীদের দূরদর্শিতা।

আপনার দৃষ্টিতে আগামীর বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এবং পরিধি কেমন হবে?
গোলাম মুর্শেদ: আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়া। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করবো। দেশে ইন্ডাস্ট্রি তৈরির ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলোকে ওভারকাম করা।

বিজ্ঞাপন

ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পলিসি মেকারদের কাজ করার ক্ষেত্রেগুলোকে আরও মজবুত করা।

আসন্ন এফবিসিসিআই নির্বাচনে আপনার প্যানেলের মূল লক্ষ্য কি?
গোলাম মুর্শেদআমি আগেই বলেছি, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ীরা যাতে নেতৃত্ব দিতে পারেন, সেজন্য আমাদের প্যানেল কাজ করবে। এজন্য বিজ্ঞ, প্রবীণ ও নতুনদের নিয়ে আমাদের প্যানেল সাজানো হয়েছে। এ প্যানেল নির্বাচিত হলে আমরা এফবিসিসিআইয়ে নতুন ধারা দেখতে পাবো।

বাংলাদেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হলে কী পরিমাণ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জিডিপিতে এর অবদান কী পরিমাণ দাঁড়াতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
গোলাম মুর্শেদ: আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হলে আমাদের কর্মসংস্থান বাড়বে তিনগুণ। যা বর্তমান সময়ের চেয়ে জিডিপিতে আরও বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

দেশের অন্যতম বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের অংশিদার হিসেবে আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক্স শিল্পের বিকাশ নিয়ে আপনার ভাবনা কি?
গোলাম মুর্শেদ: ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ স্মার্ট যুগে প্রবেশ করেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইলেক্ট্রনিক্স ইন্ড্রাস্ট্রির উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করতে চাই। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের পতাকাবাহী পণ্যের প্রসার ঘটাতে কাজ করতে চাই। এখানে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে চাই।

জনসাধারণের জন্য আপনাদের প্যানেল কী ভাবছে?
গোলাম মুর্শেদ: আমাদের প্যানেলে নতুন যারা আছে তারা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সবাই কাজ করার প্রচুর আগ্রহ নিয়ে এখানে এসেছি। বাংলাদেশে সাড়ে ৪ কোটি ব্যবসায়ী আছেন। সবার জন্য আমরা কাজ করবো। ব্যবসা ও জনগণ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাউকে ছেড়ে কাউকে চিন্তা করা যাবে না, ব্যবসা যখন ভালো থাকবে জনগণ ভালো হবে। জনগণ বাঁচলে ব্যবসা বাঁচবে।