ভারতীয় পণ্য বর্জনের প্রচারণাকে পাকিস্তান আমলে বস্তাপচা নোংরা রাজনীতির সঙ্গে তুলনা করছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। দলটি বলছে, বয়কট ইন্ডিয়া, ভারতীয় পণ্য বর্জনের রাজনীতি নতুন কিছু না। ১৯৪৭ সাল থেকে রাজনৈতিক মোল্লাতন্ত্র ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সামরিক শাসকেরা ‘ইসলাম বিপদে আছে’ এবং ‘ভারত দ্বারা পাকিস্তানের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিপদগ্রস্ত ও বিপন্ন হচ্ছে’ বলে ভারতীয় জুজুর যে ভয় দেখিয়েছিল, সেই বস্তাপচা রাজনীতিই আবার নতুন করে আমদানি করা হচ্ছে মাত্র।
রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এসব কথা বলেন। তারা আরও বলেন, এই একই কথা বলে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি সংস্কৃতি, বাংলা ভাষা, বাঙালির স্বাধীনতাসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশের বিরোধিতা করা হয়েছে। বাঙালি জাতিকে হীনবল করতে জাতির ওপর অবদমন, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়ন ও ১৯৭১ সালে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
‘বয়কট ভারত’ বা ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন’ কোনো নিষ্পাপ সামাজিক আন্দোলন বা জাতীয় অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী ও শক্তিশালী করার জাতীয় অর্থনৈতিক আন্দোলন নয় বলেও মনে করেন জাসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাঁরা বলেন, যারা ভারতীয় জুজুর ভয় দেখিয়ে ভারত বিরোধিতার রাজনীতি করেছে, তারা অতীত বা বর্তমানে জনজীবনের সমস্যা ও সংকটের সমাধান করে জনজীবনে স্বস্তি ও জীবনমান উন্নয়ন এবং জাতীয় অর্থনীতিকে আরও স্বাবলম্বী, শক্তিশালী ও গণমুখী ধারায় প্রবাহিত করার বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক—অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিতে পারেনি।
বর্তমানে ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ ও ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের রাজনীতি ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে জল ঘোলা করে, উত্তেজনা তৈরি করে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে বিএনপি–জামায়াত ও তাদের রাজনৈতিক সহযোগীরা মোল্লাতন্ত্রের ক্ষমতা পুনর্দখলের রাজনীতিরই একটি ছদ্মবেশ বলেও মন্তব্য করেন হাসানুল হক ও শিরীন আখতার।
prothom alo