বড় ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি, পালিয়ে আসছেন বিজিপির সদস্যরা

ইরাবতীর প্রতিবেদনের একাংশের স্ক্রিনশট

মিয়ানমারে লড়াইরত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আক্রমণে সরকারি বাহিনীর আরেকটি বড় ঘাঁটির পতন হয়েছে। থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মিয়ানমারের কিছু নাগরিক পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে দেশটির সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিজিপির একটি বড় ঘাঁটি দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। শুক্রবার মংডু শহরতলিতে বিজিপির সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। শহরটিতেও ঢুকে পড়েছেন আরাকান আর্মির সদস্যরা।

আরাকান আর্মির সদস্যরা বৃহস্পতিবার বিজিপির কিয়ে কান পিন বর্ডার গার্ড পুলিশ সদর দপ্তরে আক্রমণ করেন। মিয়ানমার সরকারের পুলিশ ও সেনাসদস্যরা তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। কিন্তু হামলার মুখে টিকতে না পেরে একপর্যায়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা।

কিয়ে কান পিন গ্রামটি মংডুর ১২ কিলোমিটার উত্তরে। সেখানকার ঘাঁটিটি আরাকান আর্মির হাতে পতন হওয়ার আগে জান্তা সরকার হেলিকপ্টারে করে কমান্ডারদের উদ্ধার করে। অবশ্য মংডু শহরের পূর্ব দিকের দুটি তল্লাশিচৌকি এখনো জান্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাখাইনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মিয়ানমার বাহিনীর অন্তত ৫০ সেনা আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, আরাকান আর্মির হামলার মুখে জান্তা বাহিনীর সেনারা বাংলাদেশে পালিয়েছেন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সদস্যরা গতকাল শনিবার ও আজ রোববার নাফ নদী পার হয়ে আসা মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের অন্তত ১২৮ জন সদস্যকে আটক করে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

এর আগেও কয়েক দফায় ৬১৮ জন মিয়ানমার সেনা, বিজিবি ও ইমিগ্রেশন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর মধ্যে ২৮৮ জনকে গত ২৫ এপ্রিল এবং ৩৩০ জনকে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাহাজে করে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।

pothom alo